সড়ক প্রকল্পের মেয়াদ শেষে নির্মাণকাজ হয়েছে অর্ধেক
খুলনা নগরীর শেরেবাংলা সড়ক চার লেন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পেরে ৭ এপ্রিল প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। তবে সড়ক বিভাগের দাবি, প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ এক মাস হয়, দুই মাস বন্ধ থাকে। সড়কে গর্ত খুঁড়ে এবড়োথেবড়ো বানিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে কালভার্ট। সেই কাজেও নেই গতি। এতে ওই পথে থাকে নিত্য যানজট। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে দানা বেঁধেছে অসন্তোষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নগরের ময়লাপোতা মোড় থেকে গল্লামারী হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্সের সঙ্গে চুক্তি করে সড়ক বিভাগ। কাগজে-কলমে এ প্রকল্পের নাম ‘খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা শহরাংশে চার লেনে উন্নীতকরণ' হলেও সড়কটি শেরেবাংলা সড়ক নামেই নগরবাসীর কাছে পরিচিত। প্রায় চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ৭ এপ্রিল এ প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, সড়ক বিভাগ রমজানের আগে কার্পেটিং শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিল। কথা রাখেনি তারা। এভাবে চলতে থাকলে সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ করা যাবে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, কাজ বন্ধ নেই। তবে পাথর না পাওয়ায় কাজের গতি একটু কম।
এ বিষয়ে খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, শুরুতে বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তরে সময় লেগেছে। মাঝে বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ ছিল। পাথরের দাম বাড়ার কারণে সড়কে কার্পেটিং বন্ধ রয়েছে।
তিনি জানান, কাজের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
টিটি/