টিকিট বিক্রি শুরু
ঈদ যাত্রায় ঢাকা-বরিশাল রুটে ২৬ বিলাসবহুল লঞ্চ
ঈদে ঘরমুখী লঞ্চযাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও ভোগান্তি লাঘবে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এ বছর যাত্রীসেবায় ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ২৫ থেকে ২৬টি অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করবে। এসব লঞ্চে যাত্রী বোঝাই হলেই ঘাট ত্যাগ করতে হবে বলে নিশ্চিত করেছে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ অফিস।
এ ছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে শুরু হবে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য এই রুটে চলাচলকারী বেসরকারি লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধ, ঈদের আগে ও পরে নদীতে বাল্কহেডসহ ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা, নদীতে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর টহল নিশ্চিত করা, মেরিন ক্যাডেট, স্কাউট, গার্লস গাইডের সদস্যরা যাত্রীদের লঞ্চে ওঠা-নামসহ সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, থানা, নৌ-পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা নৌ-বন্দর এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। লঞ্চগুলোতে পর্যাপ্ত জীবনরক্ষাকারী বয়া আছে কি না তা নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে, লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ঢাকা থেকে শুরু হবে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস। এ সময় এ রুটে সরাসরি যাত্রীসেবা দেবে সুরভীর ৩টি, পারাবতের ৪টি, এমভি অ্যাডভেঞ্চারের ২টি, কুয়াকাটার ১টি, মানামীর ১টি, প্রিন্স আওলাদের ১টি, সুন্দরবন ২টি ও কীর্তনখোলার ২টি লঞ্চ।
ঈদের বারতি চাপের কারণে অগ্রিম টিকিট বুকিং-ব্যবস্থা করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। কিছু কোম্পানি ছাড়া বাকিরা আগে আসলে আগে টিকি দিচ্ছেন যাত্রীদের।
ঈদের আগে ও পরে দীর্ঘ ছুটির কারণে আগামী ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিলের পর লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কম থাকবে বলে মনে করেন বরিশাল লঞ্চ-মালিক সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম পিন্টু।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ঘরমুখী মানুষের চাপের ওপর নির্ভর করবে এই রুটে বিশেষ সার্ভিসে কতগুলো লঞ্চ চলাচল করবে। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্তে ঈদ উপলক্ষে অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল ২৬টি লঞ্চ চলাচল করবে। এসব লঞ্চে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বাঁধা থাকবে না। লঞ্চে যাত্রী বোঝাই হলেই ঘাট ত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া এই অঞ্চলের অন্যান্য রুট মিলিয়ে এক ও দুই তলা বিশিষ্ট মোট ৬০টিরও অধিক লঞ্চ ও সরকারি স্টিমার চলাচল করবে।
এমএসপি