শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাঁধে ভাঙন: হাওরে হু হু করে ঢুকছে পানি

ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরের গুরমার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের বোরো ধান।

রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ফলে উপজেলার গুরমার হাওরের বাঁধ ভেঙে হু হু করে পানি ঢুকছে। এ ছাড়া হাওরে পানি বাড়ার কারণে এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জের বৃহত্তম শনির হাওর ও মাটিয়ান হাওরের ধান।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এটা নতুন কোনো বাঁধ নয়। এ হাওরের পুরনো স্থায়ী বাঁধ। শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে প্রবল বৃষ্টি হয়ে হাওরে ব্যাপক পানির চাপ সৃষ্টি হয়ে সকালে বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে।

তারা আরো বলেন, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড গুরমা বাঁধের এ অংশটুকুর প্রায় তিনশ গজ বাঁধে কোনো কাজ করেনি। ফলে বাঁধের উপর দিয়েই উপচে এ বছর পানি হাওরে প্রবেশ করছে।

রবিবার সকাল ৯টার দিকে উজানের পানি বাড়তে থাকায় টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ারসংলগ্ন বর্ধিত গুরমার ২৭ নং প্রকল্পের মাটি দেবে যায় ও স্থায়ী বাঁধ (আপর) উপচে হাওরে পানি ডুকতে শুরু করে। যার কারণে গুরমা হাওর অংশের খাউজ্যাউরি, নোয়াল, আইন্যা, কলমা ও গলগলিয়া ও ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুন্ডা এলাকার হাওরগুলোর ফসলেও প্রবেশ করেছে পানি।

স্থানীয় কৃষক সুলাইমান মিয়া বলেন, এটা নতুন কোনো বাঁধ নয়। এটা হাওরের পাড়ে পুরোনো স্থায়ী বাঁধ। ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানি নদীতে অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরে ব্যাপক পানির চাপ সৃষ্টি হয়। আজ সকালে থেকে বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে।

সমাজকর্মী আহমদ কবীর বলেন, গুরমার হাওরে আপর উপচে পানি ঢুকছে। আমরা সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে আপরে বাঁশের চাটাই, বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টায় কাজ করছি। গত ১০ দিন ধরে ইউএনও স্যারসহ আমরা বাঁধে দিন-রাত পাড় করছি।

তাছাড়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় দুটি ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে পড়েছে। রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কুশিয়ারা নদী-তীরবর্তী রমাপতিপুর গ্রামের গলাখাল বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে পড়ে। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে নলজুর নদের পানি আধাকান্দি হাওরে ঢুকে।

স্থানীয় কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার গোড়ারগাঁও ফসল রক্ষা বাঁধ, খাশিলা গ্রামের পাঠার হাওর বেড়িবাঁধ, সনুয়াখাই বেড়িবাঁধ, আধাকান্দি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ, রমাপতিপুর হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ, নলুয়ার হাওরের ভূরাখালী বেড়িবাঁধ ও হামহামিয়া জলকপাট বাঁধ রক্ষায় গত শুক্রবার রাতে ও শনিবার কৃষকেরা কাজ করেন।

আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জে নদীতে বাড়ছে পানি, বাড়ছে উদ্বেগ

গতকাল সকালে পাঠার হাওর বেড়িবাঁধে ফাটল দিয়ে হাওরে পানি ঢুকে পড়ার উপক্রম হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপম দাস, পাউবোর মাঠ কর্মকর্তা হাসান গাজী উপস্থিত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে বাঁধ রক্ষায় কাজ করেন।

জগন্নাথপুর উপজেলার রমাপতিপুর গ্রামের বাসিন্দা আকরাম আলী বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে আজ বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে পড়ে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি ফসল রক্ষা বাঁধটি রক্ষার জন্য। হাওরের অধিকাংশ ধান কাটার উপযোগী না হওয়ায় কৃষকেরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

তাহিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান, আমি বর্তমানে শনির হাওরে অবস্থান করছি। পানির চাপে বাঁধগুলো দুর্বল হচ্ছে। এ হাওরের কুমাইরা খাল স্থায়ী বাঁধের (আপর) নিচের ফুলফা দিয়ে পানি ডুকছে। এ ছাড়া ভগিয়ানীর পশ্চিমের বাঁধের অবস্থা ভালো না।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ছিল পাঁচ দশমিক ৮৭ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া জেলার সীমান্তবর্তী যাদুকাটায় এ সময়ে পানি বেড়েছে ৭১ সেন্টিমিটার, পাটলাই নদে ৪৩ সেন্টিমিটার। সুনামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩ মিলিমিটার।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর জানান, পাটলাই নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় অবস্থা এখন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ারসংলগ্ন বাঁধে মাটি ও বাঁশের চাটাই দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা চলছে।

এমএসপি

Header Ad

যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি মহাসচিব

ছবি: সংগৃহীত

১০ দিনের সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে ১০ দিন থাকার পর ১১ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের সকালে ৮টা ২০ মিনিটের বিজি ২০১ নম্বর ফ্লাইটে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

জানা যায়, লন্ডনের এই সফরে বিএনপির বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন মির্জা ফখরুল। দেশের চলমান পরিস্থিতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সংস্কারের অগ্রগতি, আগামী নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে।

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারেন ১৩ ডিসেম্বর। সে জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়া প্রথমে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা করাবেন। এরপর সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রেও যেতে পারেন

Header Ad

‘সাইফুলকে ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের দোষররাই হত্যা করেছে’

ছবি: সংগৃহীত

ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের গুন্ডারাই আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে খুন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

শুক্রবার (২৯/১১/২০২৪) বিকেলে নগরীর সিআরবির শিরীষতলায় এক গণসংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা ও ইসকনের লোকজন তাকে হত্যা করেছে। ইসকনের ব্যানারে করা হয়েছে যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর দায় চাপে এবং মুসলিমরা ক্ষেপে হামলা করে। আর যাতে এর ছবি তারা আমেরিকায় পাঠিয়ে দিতে পারে।’

তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর দায় চাপে এবং মুসলিমরা খেপে হামলা করেন। যাতে হামলার ছবি তারা আমেরিকায় পাঠিয়ে দিতে পারে। আমরা দেখলাম, রয়টার্সের মতো সংবাদমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হয়েছে যে চিন্ময় দাসের আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এই হচ্ছে তাদের পরিকল্পনা। বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে পশ্চিমা দেশের কাছে এমনভাবে হাজির করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী এখানে নিরাপদ নয়।

আওয়ামী লীগ অভ্যুত্থানকে ও সরকারকে ধ্বংস করতে চায় উল্লেথ্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আপনারা তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছেন। চট্টগ্রামে কোনো হামলা হতে দেননি। এ যে হামলা হচ্ছে না, তার ফলে আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী নিজেরাই এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করছে। যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করবে তারা ফ্যাসিস্টদের দোসর, দেশি-বিদেশি এজেন্ট। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানকে, এ সরকারকে ধ্বংস করতে চায়। তারা পশ্চিমাদের কাছে প্রমাণ কতে চায়, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী বাংলাদেশে নিরাপদ নয়।’

Header Ad

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২ টি স্বর্ণের বারসহ মালয়েশিয়ার নাগরিক আটক

ছবি: সংগৃহীত

১২টি স্বর্ণের বারসহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে মালয়েশিয়া থেকে আসা এক যাত্রী আটক হয়েছেন। উদ্ধার স্বর্ণের বারগুলোর প্রতিটির ওজন ১ কেজি বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের যুগ্ম কমিশনার আল আমিন বলেন, শুক্রবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে মালয়েশিয়া থেকে আসা ফ্লাইট এমএইচ ১৯৬ শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। অবতরণের পর বিমানটির এক যাত্রীকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। তিনি মালয়েশিয়ার নাগরিক। আর্চওয়েতে স্ক্যান করার পর তার শরীরে লুকিয়ে রাখা ১২টি স্বর্ণের বারের সন্ধান পান কাস্টমস কর্মকর্তারা। প্রতিটি বারের ওজন এক কেজি হিসেবে স্বর্ণের বারগুলোর মোট ওজন ১২ কেজি।

জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো হয়েছে এবং একইসঙ্গে ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলছে বলে জানান এই কাস্টমস কর্মকর্তা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি মহাসচিব
‘সাইফুলকে ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের দোষররাই হত্যা করেছে’
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২ টি স্বর্ণের বারসহ মালয়েশিয়ার নাগরিক আটক
সিরিজ রক্ষার মিশনে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর