রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে

বৈশ্বিক মহামারি করোনা’র (কোভিড-১৯) পর এবার ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ কাজে। এ ছাড়া নির্মাণ সামগ্রির দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের অনেক প্রয়োজনীয় মালামাল কেনাও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদেশ থেকে কেনা মালামাল পরিবহনে জাহাজ ভাড়াও বেড়েছে অনেক।

এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এরপরও প্রকল্প কাজ এগিয়েছে ৬৯ শতাংশ। তবে রেলওয়ে আশা করছে, আগামী বছরের জুনেই অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রকল্প কাজ শেষ হবে।

এ ব্যাপারে প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে শুরুতেই প্রকল্প কাজে সময়ক্ষেপণ হয়। এরপর এলো করোনার ধাক্কা। সবকিছু এড়িয়ে প্রকল্প কাজ এগুতে থাকে। এমন সময় বাঁধে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ শুরুর পর দেশের সব প্রকল্পের মতো রেলপথ নির্মাণের এ প্রকল্পেও প্রভাব পড়েছে।প্রকল্প কাজের জন্য মালামাল আনতে হয় দেশের বাইরে থেকে। সেইসব মালের দাম বেড়েছে। আবার বিদেশ থেকে কেনা পণ্য জাহাজে পরিবহন করা হয়। সেই জাহাজ ভাড়াও বেড়েছে। সব কিছু মিলিয়ে প্রকল্প কাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। চলতি বছরের জুনের পরিবর্তে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বর্ধিত করার বিষয় আবেদনে বলা হয়েছে। আমরা আশা করি, ২০২৩ সালের জুনেই প্রকল্প কাজ শেষ হবে।

২০২৩ সালের মধ্যে প্রকল্প কাজ শেষ হলে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হলো কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জুনেই শেষ হবে কাজ। ট্রেনও চলাচল শুরু হবে। বাকি এক বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত অবজারভেসন পিরিয়ড। এই সময় প্রকল্পের ত্রুটি বিচ্যুতি খুঁটিনাটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হবে। এটাই বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে নিয়ম।

রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। প্রকল্পের ৬৯ শতাংশই কাজই এখন শেষ। বাকি ৩১ শতাংশ কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করছে রেলওয়ে। আর আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে চলবে ট্রেন।

প্রকল্প কাজে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিরামহীভাবে চলছে কাজ। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের কাজে কোনো ধীরগতি নেই। মাঝে করোনার সময় কাজ কিছুটা ব্যহত হয়। এখন পুরোদমে চলছে নির্মাণ কাজ।

প্রকল্প বাস্তবায়নে দিন-রাত কাজ করছেন শ্রমিকরা। একসঙ্গেই চলছে রেললাইনে মাটি ভরাট, ব্রিজ ও পাস নির্মাণ, রেলস্টেশন তৈরির কাজ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলপথ ৩২০ কিলোমিটার। চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার।

চাপ কমবে সড়ক পথে:
এক সময় চট্টগ্রাম-দোহাজারি ৫০ কিলোমিটার রেলপথে আট জোড়া ট্রেন চালু ছিল। এ পথে যাত্রী সংখ্যাও ছিল প্রচুর। রেলপথে যাত্রী চাহিদার কারণে ওই সময় টিকিটই পাওয়া যেত না। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে রেলওয়ের প্রচুর কর্মীকে বিদায় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর কর্মচারী সঙ্কট, যাত্রী সঙ্কটের কথা বলে এ রেলপথে একে একে লাভজনক বেশিরভাগ ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চে করোনার সংক্রমন শুরুর পর চলাচলকারী একজোড়া ট্রেনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইঞ্জিন সঙ্কটের কথা বলে এই পথে যাত্রীবাহী আর কোনো ট্রেন চালু করা হয়নি। চলছে একসেট ডেমু ট্রেন। তাও শুধু নির্ধারিত কয়েকটি গন্তব্যের যাত্রী পরিবহন করে ট্রেনটি। ফলে, যাত্রী চাহিদা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে বেড়েছে সড়কের উপর চাপ। রেলপথে ট্রেন চলাচল কম থাকায় দক্ষিণ চট্টগ্রামে সড়ক পথে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। এতে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অথচ ট্রেনে পর্যাপ্ত যাত্রী পরিবহন হলে সড়কে চাপ কমত। সাশ্রয়ী মূল্যে যানজটহীনভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গন্তব্যে সহজে যাতায়াত করা যেত বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্প কাজে জড়িত এক প্রকৌশলী জানান, রেল লাইনের পাশাপাশি স্টেশন নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, হারবাং এবং রামু এলাকায় ২৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৭৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের পাশাপাশি চলছে সিগনেলিং তার টানার কাজও। মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে ৮৫ শতাংশ। ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে মেজর ও মাইনর ব্রিজ এবং কালভার্টগুলোর। তাই প্রকল্প কাজের বড় কোন বাধা আর নেই।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চকরিয়া থেকে কক্সবাজার অংশে ২০টি সেতুর মধ্যে ১৭টির কাজ শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে সাড়ে ১২ কিলোমিটার রেললাইন। দোহাজারি-চকরিয়া অংশে ১৯টি সেতুর মধ্যে সাঙ্গু নদীর উপর ১টি, মাতামুহুরী নদীর উপর ২টি এবং বাঁকখালী নদীর উপর ১টি বড় রেলসেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর নির্মাণকাজ চলমান আছে।

কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনসহ সব মিলিয়ে ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে এই রেলপথের জন্য। এর মধ্যে দুলাহাজরা রেল স্টেশনের কাজ শেষের দিকে। দোহাজারি, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ঈদগাঁও এবং কক্সবাজার রেলস্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। শুরু হয়েছে সাতকানিয়া এবং রামুতে রেল স্টেশন নির্মাণের কাজও। রেলপথ বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় মাটির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে রেললাইন বসেছে ২৫ কিলোমিটার পথে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৬ জুলাই ‘চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের ঘুমধুম সীমানা পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (প্র্র্র্র্র্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। প্রকল্পের অধীনে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মানের কথা ছিল। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর প্রায় আট বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল ট্র্যাকের এই রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে মিয়ানমার সরকারের সম্মতি না থাকায় আপাতত রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ হচ্ছে না। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। পরে ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার নিয়োগ করা হয় ২০১৭ সালে। ওই সময় প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০২২ সালের জুনে। তবে জমি অধিগ্রহণ, বনাঞ্চল নিরাপদ রাখার জটিলতাসহ নানাভাবে প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হয়। এখন আরও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থেকে ৭ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন। আইকনিক স্টেশনটিকে সৈকতের ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হচ্ছে।

আইকনিক রেলস্টেশন ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা এ ভবনটির বিভিন্ন অংশে অবকাঠামো নির্মাণে কাজ চলমান আছে। নির্মাণাধীন এই আইকনিক ভবন ঘেঁষে হচ্ছে রেলওয়ের প্লাটফর্ম। এর পাশেই রেলওয়ের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আটটি ভবনের কাজ শেষ পর্যায়ে।

স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দিনে ৪৬ হাজার মানুষ এই স্টেশন দিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এখন সিঙ্গেল লাইন স্থাপন করা হলেও ভবিষ্যতে ডাবল লাইন স্থাপনের জায়গা অধিগ্রহণ করা আছে। চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো সময় এটি ডাবল লাইন করা হবে। তখন সিঙ্গেল লাইন দিয়েও ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনে ৮ ঘন্টায় যাতায়াত করা সম্ভব হবে।

এমএসপি

Header Ad
Header Ad

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দরাবাদে গণবিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিশাল গণবিক্ষোভের আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (AIMPLB)।

এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি এই আইনকে “সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে” উল্লেখ করে বাতিলের জোর দাবি জানান।

“এই আইন আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে। যতদিন না এটি বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চলবে,”— বলেন ওয়াইসি।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করায় মুসলিম সমাজে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তা মেনে নেওয়া যায় না।

সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুসারে, অ-মুসলিমদেরও ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য করা সম্ভব হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাত। এই আইনকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন মুসলিম নেতারা।

এই ইস্যুতে ইতোমধ্যেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মে মাসে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

 

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে পাস হয়েছে। আন্দোলন এখন হায়দরাবাদ ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন ক্রমেই সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার নিয়েও গভীর প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায়ে এবং গণআন্দোলনের চাপে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

Header Ad
Header Ad

ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে গরম পানির গলির একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- কুলসুম আক্তার (২৫), রিয়াজ হোসেন (২১), কামরুন্নেসা রোজিনা (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা উপজেলায়। বর্তমানে ফকিরাপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আজ দুপুরের দিকে রান্না করার সময় বিস্ফোরণে আহত হন তারা। পরে আমরা প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আজ দুপুরের দিকে ফকিরাপুল থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ তিনজনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। দগ্ধের পরিমাণ পরে জানাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

Header Ad
Header Ad

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ পরিকল্পনাকে তারা ইসলামিক এবং খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘পদ্ধতিগত উসকানি’ হিসেবে দেখছে।

জেরুজালেমের ‘স্ট্যাটাস কু’ অনুযায়ী, আল-আকসা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ এবং ধর্মীয় কার্যক্রম বেড়েছে। এখন তারা সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বর্তমানে রাফা শহরের কাছে ঘাঁটি গেড়ে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামাস জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। সংগঠনের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়া শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির ভিত্তিতেই আলোচনা করতে চায়, যার আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আংশিক চুক্তিগুলো ব্যবহার করছে এবং সব জিম্মিকে বলি দিতে প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত দেড় বছরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এই অব্যাহত মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দরাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও