রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
১০ বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি স্বাধীনতা স্মারকের
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি ১০ বছরেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে প্রথমেই চোখে পড়ে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা স্মারক। অযত্নে শ্যাঁওলা পড়েছে স্বাধীনতা স্মারকের গায়ে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মু. আব্দুল জলিল মিয়ার আমলে জনতা ব্যাংকের অনুদানে স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী ভাস্কর্যটির মূল ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু কিছু দিন পর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ এর নির্মাণকাজ শুরু করলেও আবারো কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদের আমলে এখনও নির্মাণকাজ শুরু হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে প্রথমেই চোখে পড়ে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা স্মারক। অযত্ন-অবহেলায় এর গায়ে কালো শ্যাওলার দাগ পড়েছে। যদি পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মাণ করা হতো তাহলে এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বেড়ে যেত।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন বলেছেন, নির্মাণ শুরুর দীর্ঘ সময়েও মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নির্মাণ সম্পন্ন করতে না পারাটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী কমলেশ চন্দ্র সরকার বলেন, স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণকাজ শুরুর পর নানান জটিলতায় বার বার বন্ধ হয়ে যায়। আমরা আশা করছি সব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এখনও স্বাধীনতা স্মারকের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এটি অনেক আগেই নির্মাণ করার দরকার ছিল।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেছেন, স্বাধীনতা স্মারক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য। এটি সঠিক সময়ে নির্মিত হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও শিক্ষার ধারণা দিত। এটি চোখে পড়লেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা মনে হতো। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ প্রায় এক যুগেও মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নির্মাণ করতে না পারাটা দুঃখের বিষয়। নতুন ভিসি মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য দ্রুত নির্মাণ করবেন বলে আশা করছি।
এসএন