ঠাকুরগাঁওয়ে স্টেশন মাস্টারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে স্টেশনমাস্টারকে লাঞ্ছিত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনের কর্মকর্তাদের ধাক্কাধাক্কি করছেন এবং কলার ধরে হুমকি দেওয়ার মতো কিছু ইশারা করছেন।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় ভিডিওটি।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা যায় অনেককে। তবে টিকিট হয়রানির অভিযোগ তুলে অনেকে ছাত্রলীগের পক্ষেও কিছু মন্তব্য করেছেন।
আমির হাসান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, ‘এদের কাছে এর থেকে আর কী আশা করা যায়? তবে বিচারের আওতায় আসবে বলে মনে হয় না।’
জামিউল হাসান নামে এক যুবক আক্ষেপ করে মন্তব্য করেছেন,‘কাউন্টারের লোকজন নিয়ম ভেঙেই টিকিট কালবাজারি করে। তাই কাউন্টারে কোনো টিকিট পাওয়া যায় না। সাধারণ জনগণ দিতে পারেনি, তাই এত দিন উত্তমমাধ্যম খায়নি, যা হয়েছে ভালোই হয়েছে।’
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের রেলস্টেশন কাউন্টারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার ও ছাত্রলীগ কর্মী প্রিন্স মাহমুদসহ কয়েকজন যুবক টিকিট কিনতে যায়। সেই সময় তারা লাইনে না দাঁড়িয়ে নিয়ম ভেঙে টিকিট চাইলে কর্তৃপক্ষ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতেই তারা ক্ষেপে গিয়ে স্টেশনের কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে হুমকি-ধামকি দেয়।
তবে কিছু অভিযোগ অস্বীকার করে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার বলেন, আমি সেখানে অনেক পরে গিয়েছি। গিয়ে ঘটনার মিমাংসা করেছি। এ ঘটনায় জড়িতরা ছাত্রলীগের কর্মী। বিষয়টি নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার আখতারুল ইসলাম বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকারসহ তার অনুসারীরা লাইনে না দাঁড়িয়ে নিয়ম ভেঙে টিকিট চেয়েছিলেন। টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা স্টাফ টিকিট ওভাবে দেননি। পরে ভেতরে প্রবেশ করে আমরা বাধা দেই। সে সময় তারা জোর করে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ধাক্কাধাক্কি করেন। আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এসএন