টাঙ্গাইলে সিএনজিতে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ২
টাঙ্গাইলেরে ভূঞাপুর ও কালিহাতীতে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এ দুই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে যাচ্ছিল। একটি সিএনজি ভূঞাপুরের আমুলা রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিটি খাদে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে সিএনজি চালক জাহিদুল ইসলাম (২৮) ঘটনাস্থলেই মারা যান। যাত্রী বাদশা মিয়া (৪৫) ও রবিউল ইসলামকে (৩৫) গুরুতর আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান তিনি বাদশা। রবিউল ইসলাম টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার খানুরবাড়ী গ্রামের আবজালের ছেলে ও বাদশা মিয়া ঘাটাইল উপজেলার ডাকিয়া পটল গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে।
এ বিষয়টি ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতীর সল্লা এলাকায় লোটন পরিবহন নামে একটি বাসের চাপায় জুবায়েল (২৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মোটরসাইকেল চালককে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জুবায়েল বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে। আহত শাহনেওয়াজ গাইবান্ধা জেলার সেকান্দর আলীর ছেলে। দুজনেই ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার সহকারী উপপরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানান, শনিবার ছুটি শেষে জুবায়েল ও শাহনেওয়াজ মোটরসাইকেল যোগে ঢাকায় কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সল্লা এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে লোটন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই জুবায়েলের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, পরে গুরুতর আহত শাহনেওয়াজকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটিকে আটক করতে পারলেও ঘাতক বাস চালক পালিয়ে যান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এসএন