হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্মেলনে হট্টগোল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
নোয়াখালীতে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বাষিক সম্মেলন চলাকালে হট্টগোল ও বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর অডিটোরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্য রতন কৃষ্ণ পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণ।
নোয়াখালী পূজা উদযাপন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তপন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সকাল ১০টা থেকে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌর অডিটোরিয়ামে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শুরু হয়। সম্মেলন শুরু হওয়ার পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা নারায়ণ দাস বক্তৃতা চলাকালে সম্মেলনটি বিধি মোতাবেক হয়নি বলে উপস্থিত একজন প্রতিবাদ জানান। এ সময় হলরুমে উপস্থিত অনেক সাধারণ সদস্য তার পক্ষে সমর্থন দেন। এর জের ধরে সম্মেলন আয়োজক কমিটির অনুসারী ও প্রতিপক্ষ গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে চারজন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে দীপক সাহা এবং সুমন নামে দু’জনকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্য রতন কৃষ্ণ পাল বলেন, ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের কথা না বলেই তারা সম্মেলন করায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। এ ঘটনার জের ধরে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নোয়াখালী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের একাধিক সিনিয়র নেতার ফোনে কল করা হলে তারা কেউ-ই ফোন কল রিসিভ করেননি।
তবে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তারা একটা অনুষ্ঠান করেছে। তবে ওই অনুষ্ঠান করতে আমাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বক্তৃতা চলাকালে এক ব্যক্তি প্রতিবাদ করে। পরে এটা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
এমএসপি