বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগী
বরগুনায় রোটা ভাইরাস ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে সবথেকে বেশি আক্রান্ত আমতলী উপজেলায়। এক সপ্তাহে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অর্ধশতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিকের বেশি।
আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এক সপ্তাহে অর্ধশতাধিক রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ জন ভর্তি হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এখনও ২০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে না এসে গ্রামের পল্লী চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় রোগীরা হাসপাতালের মেঝেতে চাদর বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরকারি তথ্যমতে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশতাধিক হলেও বেসরকারি তথ্যমতে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিকের বেশি।
রোগীদের স্বজনরা জানায়, শয্যা সংকট থাকায় মেঝেতে চাদর বিছিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না অনেকের।
স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে শুধু স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আর কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে বাইরে থেকে তাদের ওষুধ কিনতে হচ্ছে।
ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছয় মাস বয়সী নিপা। বাবা ইলিয়াস বলেন, হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের শুধু স্যালাইন ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হচ্ছে না।
একই কথা বলেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেড় বছর বয়সী তামিমের বাবা মাসুম হাওলাদার।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে রোটা ভাইরাস ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।
তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া সামাল দিতে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইভি স্যালাইন মজুদ রয়েছে। যা ডায়রিয়া আক্রমণ রোগীদের দেওয়া হচ্ছে।
টিটি/