বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুদের ছোবলে বাবাহারা ৩ ভাইবোন!

সুদ ও ঋণের টাকা পরিশোধ করার চাপ সহ্য করতে না পেরে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ঘোষপাড়া গ্রামের মাছ চাষি সেলিম সরকার (৩৫) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার আত্মহননে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তিন শিশু সন্তান। বাবাকে হারিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে।

বুধবার (২৩ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবচেয়ে ছোট্ট ৪ বছরের শিশু ওমর ফারুক শুধু ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখছিল চারদিক। বাবার জানাজায় শরিক হতে আসা স্বজনদের ভেতরে যেন খুঁজে ফিরছিল তার বাবাকে। কিন্তু সে জানে না তার বাবা আর ফিরে আসবেন না। তার বড় বোন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া বৈশাখী বারবার মূর্ছা যাচ্ছিল! কাঁদতে কাঁদতে চোখের নিচে যেন কালি পড়ে গেছে! তাকে থামানোর চেষ্টা করছিল স্বজনরা। তার কান্না আর আহাজারিতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিল না স্বজনরা। তার বড় ভাই ১৫-১৬ বছরের সায়েদ শুধু কেঁদেই চলছিল। প্রায় ১০ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকেই সে অসুস্থ। পড়া মনে না থাকায় বাদ হয়েছে স্কুলে যাওয়া। বাড়িতে বসে বসে দর্জির কাজ শিখছে। এখনও মাঝে মাঝে তার কান দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ে। বাবাকে অকালে হারিয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ সায়েদকে থামাতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন স্বজনরা!

এ সময় তাদের তিন ভাইবোনের এতিম হয়ে যাওয়ার কষ্ট অনুভব করছিল কেউ কেউ।

এদিকে তাদের কান্না আর হাহাকার দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকে। বিক্ষুব্ধ স্বজনরা বার বার সুদি কারবারিদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের গোষপাড়া গ্রামে ঋণের বলি হয়ে বিষপান করে আত্মহননের পথ বেছে নেন মাছ চাষি সেলিম সরকার। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকালে তার মৃত্যু হয়। নিহত সেলিম সরকার ওই গ্রামের মৃত ইউনুস সরকারের ছেলে।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, ওই যুবক দীর্ঘদিন থেকেই পুকুরে মাছ চাষ করেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি জমিতে ধান চাষ ছাড়াও বাড়ির পাশেই চায়ের দোকান করেন তিনি। কিন্তু পুকুরে মাছ চাষ করতে গিয়ে পাশের গ্রামের একজনকে শেয়ার নেওয়া ছাড়াও আনুষাঙ্গিক খরচ যোগাতে স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নেন। এর বাইরে একটি এনজিও থেকেও ঋণ নেন তিনি। সম্প্রতি ওই সুদি ব্যবসায়ীরা তাকে সুদসহ টাকা দিতে চাপের পাশাপাশি হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। এ নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সেলিম ও তার পরিবার। এছাড়া, ওই এনজিওর লোকজন মঙ্গলবার, দুপুরে তার বাড়িতে এসে বকেয়া কয়েকটি কিস্তি দিতে চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি তার স্ত্রীকে কড়া ভাষায় কথা বলে যান। দুপুরের পর বাড়ি ফিরলে তার স্ত্রী এ ব্যাপারে সেলিমকে জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে পুকুরে ব্যবহারের জন্য ঘরে রাখা তরল বিষ পান করেন সেলিম। পরিবারের সদস্যরা তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে বিকালে তার মৃত্যু হয়। বুধবার বিকালে জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আরএ/

Header Ad

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ছবি: সংগৃহীত

নয় দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন এ পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।

এ সময় দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে একজন যুগ্মসচিবের অপসারনের দাবিও জানান তিনি। দাবি আদায়ে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সকল আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জৈষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান। কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের ৫০% মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা। ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।

পূর্বের ন্যায় ১০০% পেনশন গ্রাচুইটি প্রথা চালু করা, সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।

চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছরের ০৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা, সচিবালয় কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, সিনিয়র নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (বামে) এবং চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য একান্তই তার নিজস্ব, যার কোনো দায়ভার ইসকন নেবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঘিরে ভারতের মন্তব্যে বা অবস্থানের সঙ্গেও ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো দেশের কোনো ব্যক্তি চিন্ময়কে নিয়ে কি উদ্যোগ নিলো বা কি বললো তার জন্য ইসকন দায়ী নয়।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যায় ইসকনকে অন্যায়ভাবে জড়িয়ে মিথ্যাচার চলছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায়ও ইসকন দায়ী নয়। শিশুর সঙ্গে খারাপ কাজসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে অনেক আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর বিবৃতি দেয় ইসকন। যেখানে ভারতকে আলোচনা করতে বলা বাংলাদেশের সঙ্গে। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তুললে সেখানে হট্টগোল করে ইসকনের সমর্থকরা। ভাঙচুর চালানো হয় মসজিদে। এ সময় একজন আইনজীবীকে তুলে নিয়ে কুপিয়েও হত্যা করে ইসকন সদস্যরা। যদি এসব বিষয় এখন অস্বীকার করছেন তারা।

Header Ad

ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ

সোহেল তাজ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে গিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে শেষ করে ছাত্র-জনতার ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে যেয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।’

সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘কত বড় নির্লজ্জ বেহায়া হলে দেশটাকে এক মুহূর্তের জন্য শান্তিতে থাকতে দিবে না। প্রথমে ডিজিটাল জুডিশিয়াল কু’র চেষ্টা, তারপর একের পর এক অপচেষ্টা আনসার বাহিনী দিয়ে, ব্যাটারি রিকশা, নূর হোসেন দিবসে “ট্রাম্প” কার্ড, ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শাহবাগে মানুষের জমায়েত করার চেষ্টা বিভিন্ন কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা আর এবার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা।’

স্ট্যাটাসটিতে তিনি মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ ও ‘অন্তরালে হত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী’ বই দুটো সবাইকে পড়তে অনুরোধ করেন।

এ ছাড়া তিনি লেখেন, ‘নীতি আদর্শবিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নাই—আমি আপাদেরকে চিনি। নষ্ট পচা নীতি/আদর্শবিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলব অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেইজটি আনফলো করতে আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মোপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম