পটুয়াখালীতে একের পর এক অকেজো হচ্ছে গভীর নলকূপ
পটুয়াখালীতে একের পর এক অকেজো হচ্ছে গভীর নলকূপ। পানি না ওঠায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে টিউবওয়েল গুলো। অধিকাংশ এলাকায় পানির সংযোগ থাকলেও খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপের উপর নির্ভর করেন পটুয়াখালী পৌরসভার বাসিন্দারা। বিশেষ করে পৌরসভার পানির লাইনটা দীর্ঘ এলাকায় বিস্তৃত হওয়ায় এই পানি পানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না তারা। তবে কয়েক বছর ধরে পৌরসভা যে পানি সরবরাহ করে তাও এখন ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পানির জন্য অনেক বাসা-বাড়িতে বসানো সাব মারসিবল পাম্পের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
পটুয়াখালী শহরের কলেজ রোড এলাকায় এক সময় চার-পাঁচটি বাড়ি মিলিয়ে একটি গভীর নলকূপ ছিল। তবে এসব নলকূপের অধিকাংশেই এখন পানি ওঠে না। এ কারণে পানির জন্য ওই এলাকার একটি বাড়ির সামনে বিকাল থেকে মানুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। সবাই কলসি নিয়ে সরাসরি গভীর পাম্প দিয়ে পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন।
শুধুমাত্র কলেজ রোড নয়, শহরের সব এলাকায় এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, পটুয়াখালী শহরে আগে মাটির গভীরে ৮০০-৯০০ ফুটে পানির স্তর পাওয়া গেলেও বর্তমানে ১১০০ ফুট গভীরে নলকূপের পাইপ বসাতে হচ্ছে। ফলে ৮০০ কিংবা ৯০০ ফুটে যেসব টিউবওয়েল বসানো হয়েছিল সেগুলো দিন দিন পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য ভূগর্ভস্থ পানির যাচ্ছেতাই ব্যবহারকে দায়ী করছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, ‘এ শহরের মানুষ সব কাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করছে। বিশেষ করে নির্মাণ কাজে অস্বাভাবিকভাবে পানির উত্তোলন করে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে দিনকে দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তবে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের পানি পরিশোধনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরবরাহে পৌরসভা এরইমধ্যে একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য শহরের পশ্চিম প্রান্তে পায়রা নদী থেকে পানি উত্তোলন করে তা পরিশোধন করা হবে।'
এসআইএইচ