টিটু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মামুন গ্রেপ্তার
কদমতলীর টিটু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মামুনকে মেঘনা ঘাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার মেঘনা ঘাট এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর কদমতলী থানাধীন আউটার সার্কুলার রোডে নোয়াখালী পট্টিতে, নান্নু জেনারেল স্টোর এর সামনে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটে। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিরা হলেন, মামুন, সোহাগ ওরফে বড় সোহাগ, সোহাগ ওরফে ছোট সোহাগসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন।
এরপর এই মামলাটি র্যাব তদন্ত করে। র্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হুমায়ুন কবির টিটু’কে গুলি করে। এতে তার মাথার ডান পার্শ্বে লেগে গুরুতর জখম হয়। আহত টিটু’কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
র্যব জানায়, জাহাজের মিস্ত্রির পেশার আড়ালে মামুন মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও ডাকাতি করত। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে ধলপুর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।
অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, মামুন শেখ বিগত ২০১০ সালে টিটু হত্যা মামলার ২ নং আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয় এবং ২০১৪ সালে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করে। সে জামিন লাভ করার পর থেকে পলাতক রয়েছে। ২০১৭ সালে মামুন শেখ এর অনুপস্থিতিতে আদালত রায় প্রকাশ করেন। রায়ে মোহাম্মাদ মামুন শেখকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করে। এ রায় প্রকাশের পর মামুন শেখ আত্মগোপনে চলে যায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য মুন্সিগঞ্জে ৬ মাস, যশোরে ৯ মাস, মেঘনা ঘাট লাকি ডগইয়ার্ডে ৫ মাস, ধামরাইতে ৪ মাস, নবীনগরে ২ মাস, মেঘনা ঘাট মদিনা ডগইয়ার্ডে ৭ মাস করে বিভিন্ন এলাকায় মিথ্যা পরিচয় দিয়ে জাহাজ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করার নামে আইনের চোখকে ফাঁকি দিতে গা ঢাকা দেয়। অবশেষে তাকে ধরা পড়তে হয়েছে।
কেএম