বঙ্গোপসাগরে আবারও ডাকাতি, উৎকণ্ঠায় জেলেরা
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
দীর্ঘদিন পর আবারও বঙ্গোপসাগরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দস্যুরা। গত এক মাসে বিচ্ছিন্নভাবে ১০টির মতো ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এতে ৩ জেলের মৃত্যু হয়েছে। আর নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩ জেলে।
এর মধ্যে গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্যবন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীরে পাথরঘাটার টিন বাদশাহর মালিকানাধীন এফবি ভাই ভাই ট্রলারের ৮ জেলেকে জিম্মি করে মারধর করে মাছ, জালদড়ি, তেল, মটর, সেলফ, ব্যাটারিসহ ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে দস্যুরা।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বারবার বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির ঘটনায় উপকূলীয় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক বাদশাহ জানান, বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে ঘাটে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে তা মেরামতের জন্য অন্য দুটি ট্রলারের সহযোগিতায় বেঁধে কক্সবাজার ঘাটের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় কক্সবাজার থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে হঠাৎ দুটি ট্রলার ধাওয়া দিয়ে এফবি ভাই ভাই ট্রলারটি আটক করে দস্যুরা। তখন সহযোগিতায় এগিয়ে আসা অন্য ট্রলার দুটি তার ট্রলারটি ছেড়ে নিরাপদে চলে যায়।
এসময় ২৫-৩০ জন ডাকাত ট্রলারে উঠে লাঠি ও পাইপ দিয়ে জেলেদের এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং রামদা ও কুঠার দিয়ে কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে সব রসদ তুলে নেয়। এসময় তাদের কাছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। এতে ট্রলারের মাঝি আমির হোসেন, সাহাবুদ্দিন, লিটন, হাসান, জাহাঙ্গীর, হোসেন আলী ও আবদুল্লাহ আহত হন।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ট্রলারের মাঝি আমির হোসেনের বরাত দিয়ে বলেন, ডাকাতরা এর আগেও আরও ৭টি ট্রলার ডাকাতি করে ৭ মাঝিকে অপহরণ করে তাদের ট্রলারে উঠিয়ে ট্রলারসহ অপহরণ করতে চায়। কিন্তু ভাই ভাই ট্রলারটি ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ৭ জেলেকে ডাকাতদের ট্রলারে তুলে নিয়ে এফবি ভাই ভাই ট্রলারটি ছেড়ে দেয়।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহসভাপতি আবুল হোসেন ফরাজি বলেন, বারবার বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ায় উপকূলীয় হাজারো জেলে উৎকণ্ঠায় রয়েছে। যদি এদের থামানো না যায় তাহলে জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে সাগরে মাছ ধরা ছেড়ে দেবে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শাফায়াত আবরার বলেন, বিষয়টি আমরা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি থেকে জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
র্যাব-৮ কোম্পানি কমান্ডার তুহিন রেজা জানান, কক্সবাজারের ঘটনা শুনেছি। যদিও ঘটনা আমার এলাকার না তবু বিস্তারিত জেনে তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজি
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)