খাজনা নিয়ে বিরোধে মুরগি বিক্রি বন্ধ, বিপাকে ক্রেতারা
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
বরগুনার পাথরঘাটায় মুরগি ব্যবসায়ী ও পৌরসভার মধ্যে খাজনা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হওয়ায় তিন দিন ধরে মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা। এছাড়াও শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে পাথরঘাটা শহরের মুরগি বাজার ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করেন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতাসহ স্থানীয় হোটেল ব্যাবসায়ীরা। স্থানীয়রা জানান, এ সুযোগে বাজারে গ্রাম থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মুরগি কিনতে আসা আব্দুল মালেক বলেন, বাড়িতে মেয়ে জামাই এসেছে। তাই কম দামে বাজার থেকে সাদা বয়লার মুরগি কিনতে এসেছিলাম। এসে দেখি দোকানই বন্ধ। এই সুযোগে গ্রাম থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা তাদের মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সেরাজুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, আমি চাকরি করি। সপ্তাহিক ছুটির দিনে পুরো সপ্তাহের বাজার করি। আমার ছোট ছেলে মুরগির মাংস ছাড়া ভাত খেতে চায়না। দুই দিন ধরে বাজারে এসেও মুরগি কিনতে পারিনি। আজকে অনেক অনুরোধ করেছি, তারপরও মুরগি বিক্রি করেনি ব্যাবসায়ীরা।
হোটেল ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, দাম বেশি হওয়ায় গরু-খাশির মাংস হোটেলে চলে কম। ক্রেতারা কম দামে মুরগির মাংস চায়। কিন্তু ৩দিন হোটেলে মুরগিই রান্না হয়নি।
বাজারে মুরগি ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, তারা জেলা পরিষদের নির্ধারিত হারে খাজনা পরিশোধ করে আসলেও পাথরঘাটা পৌরসভা থেকে মুরগি ড্রেসিংয়ে বাড়তি ৩টাকা খাজনা নির্ধারণ করেছে। অতিরিক্ত এ খাজনা দিতে অসম্মতি হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ বাজার থেক ড্রেসিং মেশিনগুলো নিয়ে গেছে।
মুরগি ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আলম হোসেন বলেন, ড্রেসিংয়ে মুরগি প্রতি বাড়তি ৩ টাকা করে খাজনা ধার্য করেছে পৌরসভা। তা না দেয়ায় মেশিনই তুলে নিয়ে গেছেন তারা। মুরগি ড্রেসিং করে না দিলে ক্রেতারা মুরগি কিনতে চায় না। তাই ড্রেসিংয়ের উপর খাজনা বাতিল সহ মেশিন ফেরত দেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে মুরগি বেচা-বিক্রি বন্ধ রেখেছি।
মুরগি ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন জানান, ৩দিনের ধর্মঘটের কারণে প্রতিটি ব্যাবসায়ীর ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মুরগি মারা গেছে। পৌর পরিষদের খামখেয়ালীর কারনে এ ক্ষতি হচ্ছে।
ব্যাবসায়ি জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক বলেন, গত তিনদিন মুরগি বিক্রি বন্ধ থাকায় আমার দশ হাজার টাকার মুরগি মারা গেছে। এনজিওর লোনের টাকায় ব্যাবসা করি। এতোগুলো টাকা আবার ধারদেনা করে পরিশোধ করতে হবে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, তারা পৌরসভার নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছে না। পাশাপাশি খোলা জায়গায় মুরগি ড্রেসিং করে পরিবেশকে বিধ্বস্ত করছে। এ কারণে তাদের মেশিন জব্দ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, পৌরসভার সাথে খাজানা নিয়ে ঝামেলা, এটি পৌরসভার বিষয়। তবে আশাকরি এটি দ্রুত সমাধান করবেন তারা।
এএজেড
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)