বরিশালে মাছ শিকার নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই ৩ জনকে জরিমানা
বরিশালের তিন উপজেলার ৫ নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রথম দিনেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কীর্তনখোলার নদীর তালতলা এলাকায় জাটকা ইলিশ শিকার এবং বাজারে জাটকা বিক্রির দায়ে ৩ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দর ডিসি ঘাটে জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাসের উপস্থিতিতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান।
দণ্ডিত জেলেরা হলেন-বরিশাল সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. কাইয়ুম শিকদার (৫০), বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. দেলোয়ার (৫০) এবং মো. আল-আমিন (৩৫)।
অভিযানে সহয়তাকারী জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘নৌ-পুলিশের সহায়তায় বরিশালের বিভিন্ন নদী এবং বাজারে অভিযান চালিয়ে ৪০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তিনজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।’
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার সদর উপজেলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার কালাবদর, মাছকাটা, গজারিয়া, মেঘনা ও নয়া ভাঙনি নদীর ৮২ কিলোমিটার অভয়াশ্রমে মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। নিষিদ্ধ সময় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মৎস্য বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলেদের সচেতন করতে ইউনিয়নগুলোয় উঠান বৈঠক করা হয়েছে। এছাড়া জেলা টাস্কফোর্স মাছ শিকার বন্ধ রাখতে অভিযান চালাবে।
এদিকে অভয়াশ্রমে আইন অমান্য করে মাছ শিকার করলে কমপক্ষে ১ বছর, সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। অন্যদিকে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে অভিযান চলাকালীন নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ কার্ডে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
এসআইএইচ