মাগুর মাছকে খাওয়ান চোরাই গরু ছাগল!
টপ টেরোরিস্ট এরশাদ শিকদারকে হার মানিয়ে এবার ভোলায় আদিপত্য বিস্তার করছে মান্নান। এরশাদ শিকদার মাগুর মাছকে মানুষের মাংস দিলেও মান্নান দিয়েছে চোরাই গরু ছাগলের ভুঁড়ি ও মাংস। ফিল্মি স্টাইলে চলছে তার মাছ পালন ও গরু ছাগল চোরাই কারবার। ভোলার বিভিন্ন এলাকায় অহরহ ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। গরু চোরের উৎপাতে নিঃস্ব হতে চলেছে সাধারণ গরু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ। কোন কিছুতেই গরু চুরি রোধ করতে পারছে না গরু মালিকসহ প্রশাসন।
সম্প্রতি গরু চুরি নিয়ে টনক নড়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশ প্রশাসনের। তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশকে সহায়তা করে চোর চক্রকে ধরতে উত্তর ভোলার জনতার চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন সোর্স নিয়োগ করে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে অবশেষে ধরা পরে গরুচোরের আস্তানা।
তবে ঘটনায় চোর চক্রের মূলহোতা মান্নানকে আটক করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। এ ঘটনায় গরু চুরির কাজে সহযোগী নারী চোর মান্নানের স্ত্রী রোকসানাকে আটক করে পুলিশ। আজ রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোলা সদর উপজেলা ২নং ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন এর সহায়তায় ভোর ৬ টা থেকে চোর চক্রের হোতা মান্নানের বিলাসবহুল ৫ তলা বভনে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
অভিযান করে মান্নানের বাড়ির ভিতরের গোপনীয় একটি কক্ষের ভিতরে থাকা ফ্রিজ থেকে বিপুল পরিমাণের গরুর মাংস, ১০টি গরুর পা, বেশ কিছু ছাগলের চামড়া, গরুর রশি, এবং তার বাড়ির পিছনে বিভিন্ন স্থানে গর্ত করে পুঁতে রাখা গরুর বাচ্চা, গরুর ভুঁড়ি জব্দ করে। এদিকে তার বভনের পিছনে রয়েছে মাগুর মাছ চাষের প্রকল্প, টপ টেরোরিস্ট এরশাদ শিকদারের আদলে মান্নান তার পালিত মাগুর মাছকে খাদ্য হিসেবে দিতেন গরুর ভুঁড়ি।
স্থানীয়রা জানান মান্নান সামান্য একজন মাছ বিক্রেতা পেশায় নিয়োজিত। তবে মাছ বিক্রির আড়ালে রয়েছে তার ভিন্ন চরিত্র। মাছ বিক্রির আড়ালে তিনি তার বাসায় চোরাই গরু জবাই করে কসাই খানায় মাংস সাপ্লাই দিতেন। এসময় মান্নানের বাড়ির থেকে চুরি হওয়া ৫টি গরু উদ্ধার হয়। আটককৃত নারী আসামি রোকসানা, আব্দুল মান্নান, মান্নানের জামাতা মাইনুদ্দিন ও ছেলে বিল্লাল।
এ বিষয়ে ২নং ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন আমার ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষ দুই একটি গরু পালে, কারো একটি গুরুই তার একমাত্র সম্বল তাদের গরু চুরি করে মান্নান অট্টালিকার মালিক হয়েছে। সাধারণ মানুষ না খেয়ে কষ্ট করে গরু পুষে তাদের সম্বলটুকু হরণ করা হয়েছে। চোর মান্নানদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
গরু চুরির ঘটনার ৫টি গরুর মধ্যে ৪টি গরুর মালিক শনাক্ত করা হয়েছে। আটক রোকসানার সঙ্গে অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা।
এএজেড