৩ দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের ভিড়
সরকারি তিন দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকেই এ সকল পর্যটকদের আগমন ঘটে। সৈকত পাড়ে উল্লাসে মেতেছেন আগত পর্যটকরা। অনেকে সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসাচ্ছেন। অনেকে আবার বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ।
লক্ষাধিক পর্যটকের আগমনে বিক্রি বেড়েছে বিপনী বিতান থেকে শুরু করে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল-মোটেলে।
এদিকে পর্যটকের এমন ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে লেম্বুর বন, শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, ঝাউবাগান ও বৌদ্ধ বিহারসহ সকল পর্যটন স্পট। আগতদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
ভোলার চরফ্যাশন থেকে আসা পর্যটক সুজন-ইফতি দম্পতি জানান, অনেক মানুষ এসেছে। তারাও গতকাল এসেছেন। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাদের মন কেড়েছে। ঘুরতে বেশ ভালোই লাগছে।
বরগুনার কাকচিড়া থেকে আসা পর্যটক সুনান-সাহিনা দম্পতি জানান, রবিবার লাইলাতুল শবে মেরাজ উপলক্ষে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ। তাই সকালে তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। দুই দিন থাকবেন। রবিবার চলে যাবেন। তাদের সন্তান ঘোড়ায় চরে এবং সমুদ্রের নোনা জলে গোসল করে বেশ আনন্দ করেছে। এখানের পরিবেশটা তাদের কাছেও দারুণ লাগছে।
এ ব্যাপারে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক কে এম জহির বলেন, বিগত দিনের তুলনায় আজ সৈকতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক রয়েছে। সব হোটেল-মোটেলে বুকিং রয়েছে। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন ট্যুরিস্ট পয়েন্টে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সোচ্চার রয়েছে।
এসআইএইচ