বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৬ জন চাকরিচ্যুত
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) একটি সড়ক পুনর্নিমাণে অযৌক্তিক প্রাক্কলন তৈরি এবং নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে সুযোগ দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই প্রকৌশলীসহ ৬ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক লাইভে এ নির্দেশ দেন বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
চাকরিচ্যুতরা হলেন- উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (চুক্তিভিত্তিক) বাকীউল্লাহ, এস্টিমেটর (চুক্তিভিত্তিক) মো. শাওন আকন এবং কার্য সহকারী (অস্থায়ী) শাহজাহাল, কর আদায় সহকারী নূর হোসেন ও শাহিন হোসেন।
প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধান গবেষণা রোডের ৩ দশমিক ২৫ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং কাজ শুরু করেছে বিসিসি। গত শনিবার বিকালে পরিদর্শনকালে নিম্নমানের ইটের ব্যবহার দেখে ক্ষুব্ধ হন মেয়র। ওই সড়কের ৩ দশমিক ২৫ কিলোমিটারে বড় বড় খানাখন্দ দেখিয়ে প্রকৌশলীরা বাড়তি প্রাক্কলন তৈরি করে বলে সন্দেহ করেন সিটি মেয়র।
গত শনিবার রাতে মেয়রের ব্যক্তিগত ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ধান গবেষণা সড়কের ৩ দশমিক ২৫ কিলোমিটার পুনর্নিমাণ কাজে অযৌক্তিক প্রাক্কলন তৈরি এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের তিরস্কার করেন সাদিক আবদুল্লাহ। এসময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে স্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক এবং অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেন তিনি।
এ বিষয়ে বিসিসি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, দায়িত্ব অবহেলার কারণে সহকারী প্রকৌশলী (চুক্তিভিত্তিক) বাকি উল্লাহ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, স্টিমেটর (চুক্তিভিত্তিক) শাওন আকন, কার্য সহকারী (অস্থায়ী) শাহ জালালকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি হোল্ডিং নাম্বারের টাকা আদায় করে দুই অর্থবছরের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে কর আদায় সহকারী নূর হোসেনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক ব্যক্তির ১০টি হোল্ডিং থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর আদায় সহকারী শাহিন হোসেনকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এসজি