২০ হাজার টাকা চুক্তিতে কবর থেকে কাফন চুরির চেষ্টা!
ভোলায় ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে কবর থেকে মরদেহের কাফন চুরির অভিযোগ উঠেছে রহিজল কবিরাজ নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে ভোলা সদরের ইলিশা ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন খলিফার পারিবারিক কবরস্থানে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রহিজল রাজাপুর ২নং ওয়ার্ডের আঃ মতিন ফরাজীর ছেলে।
রহিজলের সহকারী সুজন জানান, গতকাল রাত আনুমানিক ১১টায় সময় আমি ও আনোয়ার মাহফিল থেকে আসার পথে। কবিরাজ রহিজল আমাদেরকে ২০ হাজার টাকা চুক্তি করেন। গত ৭দিন আগে মারা যাওয়া খোরশেদ আলমের কবর থেকে কাপড় উঠাবে, আমরা সাথে থাকলে আমাদের এই ২০ হাজার টাকা দিবে। আর একথা কাউকে বলতে নিষেধ করেছে।
শিশু সুজন বলেন, রহিজলের কথা মত আমরা গেলে, তিনি তার হাতে থাকা প্লাস দিয়ে কবরের বেড়া দেওয়া জাল কাটেন এবং হাতে থাকা লোহার সিক কবরের ভিতরে ডুকিয়ে দিয়ে কাপড় উঠানোর চেষ্টা করেন। কবরের তিন চার স্থানে ছিদ্র করলেও বাশের সাথে লাগিয়ে মৃতদেহের কাপড় উঠাতে পারেনি তিনি। সর্বশেষ আমাকে চেষ্টা করতে বলেন, আমিও চেষ্টা করি কিন্তু কাপড় উঠাতে পারিনি।
মৃত্যু খোরশেদ আলমের ছেলে আলাউদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবারে আমার বাবা মারা গেলে তাকে এখানে দাফন করি। আজ খবর পাই বাবার কবরের বেড়ার জাল কাটা এবং কবরের মাথার দিকসহ ৪ স্থানে ছিদ্র। ঐ খবর শুনে কবরের পাশে এসে সত্যতা পাই।
এরপর গতকাল রাতে কবিরাজ রহিজল, নাদের মাঝির ছেলে আনোয়ার ও শাহে আলমের ছেলে সুজন কে ঘুরতে দেখে সন্দেহভাজন ভাবে সুজন কে জিজ্ঞাসা করলে সে সব স্বীকার করেছে এবং কাপড় উঠানোর জন্য যে রড ব্যবহার করছে সেটাও বের করে দিয়েছে।
এই ঘটনায় রহিজলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি এখন ভোলাতে আছি, এঘটনায় আমি কিছুই জানিনা। রহিজলের সহকারী আনোয়ার এর বক্তব্য জানতে তার বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যাইনি তবে তার মা ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানিয়েছে।
১নং ওয়ার্ডের মেম্বার সালাউদ্দিন খলিফা বলেন, আমি ঢাকায় তবে ঘটনাটি শুনেছি, এই ঘটনায় তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীর শাস্তির দাবী করেছে তিনি। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এএজেড