বরগুনায় বেড়েছে শীত
দেশের বিভিন্ন জেলার ন্যায় শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে উপকূলীয় বরগুনা জেলাতেও। গত কয়েকদিন ধরে বরগুনার আকাশ মেঘলা থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আর এই শীত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে চলছে বেচা-কেনার ধুম।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরগুনা পৌর শহরের সদরঘাট মসজিদ এলাকা ও পৌর সুপার মার্কেটের পেছনে এমন চিত্র দেখা গেছে। ফুটপাতসহ এসব স্থানে সাধ্যের মধ্যে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা কেনাকাটা করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব দোকানগুলোতে কম টাকায় শীতের পোশাক পাওয়া যায়। দাম কম হওয়ায় দোকানগুলোতে লেগে থাকে উপচেপড়া ভিড়। ইচ্ছেমতো দাম-দর করে শীতের পোশাক কিনতে পেরে ক্রেতারাও বেশ খুশি।
শীতবস্ত্রের মধ্যে সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। এর মধ্যে রয়েছে পুরাতন কম্বল, টুপি, হাতের ও পায়ের মোজা, মাফলার, সুয়েটার, জ্যাকেট ও ফুল হাতার গেঞ্জি।
পৌর শহরের সদরঘাট মসজিদ এলাকায় কেনাকাটা করতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, বরগুনায় তীব্র শীত পড়ছে। তাই পরিবার আর বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। নতুন কাপড়ের দোকানে অনেক দাম, এখানে অল্প টাকায় ভালো মানের পোশাক পাওয়া যায় বলে এখান থেকেই কেনাকাটা করছি।
পরিবারের জন্য পৌর সুপার মার্কেটের পেছন থেকে শীতের পোশাক কিনতে আসা আসমা বেগম বলেন, আমাদের মতো সল্প আয়ের মানুষদের জন্য এসব দোকান থেকে পোশাক কিনতে সুবিধা হয়। এখানে দাম কম, তবে পোশাকগুলো শীতের জন্য অনেক ভালো। তা ছাড়া নতুন অবস্থায় এসব পোশাক অন্য জায়গায় কিনতে গেলে অনেক বেশি দাম পড়ে।
সদরঘাট মসজিদ এলাকায় পুরাতন শীতবস্ত্রের পশরা সাজিয়ে বসেছেন বেল্লাল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। কথা হলে তিনি বলেন, আমি গত পাঁচ বছর যাবত শীতের পুরাতন পোশাক বিক্রি করি। বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার বিক্রি বেশি হচ্ছে। কারণ নতুন পোশাকের দোকানগুলোতে দাম একটু বেশি থাকায় লোকজন এদিকেই বেশি আসছে। তা ছাড়া এখান থেকে অল্প টাকায় পছন্দসই ভালো মানের পোশাক কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন।
এসআইএইচ