তীব্র শীতে জমজমাট হকার্স মার্কেট
বরিশালে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। তাই শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে হকার্স মার্কেটগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। অন্যদিকে বরিশালে গত তিন দিন ধরে আকাশ মেঘলা থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে নগরীর সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের সামনের হকার্স মার্কেটে সরেজমিনে দেখা যায়, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের বেশির ভাগ মানুষ কেনাকাটা করছেন। এ ছাড়া লঞ্চ ঘাট হাজী মোহাম্মাদ মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল, রূপাতলী বাস টার্মিনাল, সদর রোডসহ নগরের বিভিন্ন স্থানের ফুটপাতের হকার্স মার্কেটগুলোতে একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
এসব মার্কেটগুলোতে কম টাকায় শীতের গরম পোশাক পাওয়া যায়। এ ছাড়া ইচ্ছেমতো দাম-দর করে শীতের পোশাক কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। দাম কম হওয়ার কারণেই দোকানগুলোতে লেগে থাকে উপচেপড়া ভিড়।
শীতবস্ত্রের মধ্যে বেশি বেচাকেনা হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। তার মধ্যে রয়েছে টুপি, পায়ের ও হাতের মোজা, মাফলার, সুয়েটার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জি।
জেলা পরিষদের সামনের হকার্স মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মুন আক্তার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বরিশালে তীব্র শীত পড়তে শুরু করেছে। তাই পরিবার আর বাচ্চাদের জন্য এখানে কেনাকাটা করতে আসছি। অল্প টাকায় ভালো মানের পোশাক পাওয়া যায় বলে এখান থেকেই কেনাকাটা করি’।
বাচ্চার জন্য শীতের পোশাক কিনতে আসা মো. মাসুম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাগো গরিবের জন্য অল্প পয়সায় এই পোশাকগুলো কিনতে সুবিধা হয়। এখানে দামও কম আছে আর শীতের জন্যও ভালো। এ পোশাক নতুন অবস্থায় অন্য জায়গায় কিনতে গেলে দাম অনেক বেশি পড়ে। যা এই গরিবের পক্ষে কেনা সম্ভব না।’
জেলা পরিষদের সামনের হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. রাসেল (২৭) ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমি এখানে ব্যবসা করি ছোটবেলা থেকে। এ বছর বরাবরের তুলনায় লোকজন একটু বেশি। অন্যত্র পোশাকের দাম বেশি থাকার কারণে সবাই এই মার্কেটের দিকে আসছে। এখানে অল্প টাকায় ভালো মানের শীতের পোশাক পাওয়া যায়।’
অন্যদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে গত ২৪ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তবে জানুয়ারির মধ্যভাগ অথবা শেষের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
এসজি