বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ, সেই ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনার আমতলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ করার অভিযোগ উঠে এক ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল ঢাকাপ্রকাশ। পরে বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় আমতলী থানায় মামলা দায়ের করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
রবিবার (১ জানুয়ারি) পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বাদী হয়ে আমতলী থানায় ইট ভাটার মালিক আবুল মৃধা ও বাদল মৃধার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১০ সালে আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামে বুড়ীশ্বর নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাছে স্থানীয় বদিউল আলম মুন্সি নামে এক ব্যবসায়ী মুন্সি ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা স্থাপন করেন। পরে তিনি কুকুয়া ইউনিয়নের আবুল হোসেন মৃধার কাছে ভাড়া দেন ইটভাটাটি। সম্প্রতি ওই ইটভাটায় ইট পোড়ানোর মালামাল আনা নেওয়ার সুবিধার্থে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ করেন। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে ইটভাটার মালামাল।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধ কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গ দিয়ে ইটসহ ভাটার মালামাল আনা-নেওয়া হচ্ছে। বাঁধের উপর কাঠের গুঁড়ো দেওয়া হয়েছে এবং ঝুঁকি নিয়েই মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। বর্তমানে ঝুঁকির মধ্য থাকা বাঁধ জোয়ারের পানির চাপ বাড়লেই ধ্বসে যেতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকাবাসী আবুল হোসেন মৃধাকে নিষেধ করলেও তিনি বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ করা থেকে বিরত হননি। এভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে ফেলায় হুমকিতে পড়েছে গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা, খেকুয়ানী, ডালাচারা, বাজারখালী ও গুলিশাখালী গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ।
বাজারখালী গ্রামের আহসান বলেন, প্রাকৃতিকভাবেই উঁচু জোয়ার কিংবা জলোচ্ছ্বাস হলে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে জানমাল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
এবিষয়ে ইটভাটার ভাড়া নেওয়া মালিক আবুল হোসেন মৃধা বলেন, এ বাঁধ আমি কাটিনি। সুড়ঙ্গটি মুন্সি ব্রিকসের মালিক বাদল মুন্সি নিজেই করেছেন। আমি ভাড়া নিয়ে ইটভাটা চালাই।
অপরদিকে এবিষয়ে মালিক বাদল মুন্সির মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এবিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসএন
