১০ বছর ধরে ছেলের সন্ধানের অপক্ষোয় মা

তুরষ্ক প্রবাসী নিখোঁজ সন্তানের সন্ধানে অঝোরে কাঁদছেন তার বৃদ্ধা মা পিয়ারা বেগম। বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালীর মৃত আ. লতিফ আকনের ছেলে রুবেল মাহামুদ সোহাগকে (২৫) নিয়ে দুশ্চিন্তায় মায়ের কান্নায় কাঁদছেন প্রতিবেশিরাও।
স্বজনদের দাবি, কর্মসংস্থানের উদ্দেশে ২০১০ সালে দুবাই পাড়ি জমায় রুবেল। এর ২৫ থেকে ২৬ দিন পর ওমান যান তিনি। ২০১২ সালে ওমান থেকে তুরষ্ক পৌঁছে সেখান থেকে নিখোঁজ হন রুবেল। অধ্যাবধি তার কোনও সন্ধান না মেলায় আজও চরম হতাশায় ভুগছে পরিবারটি।
রুবেলের বৃদ্ধা মা পিয়ারা বেগম জানান, তার ছোট ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মামুন কবীরের সঙ্গে মুঠোফোনে রুবেলের শেষ কথা হয়।
ছোট ছেলে মামুন কবীরের বরাত দিয়ে পিয়ারা বেগম বলেন, 'মোবাইলে কবীরকে রুবেল বলেছিল ও গ্রীসে যাবে। এরপর থেকে ১০ বছর অবধি ওর কোনও সন্ধান পাচ্ছি না। কিন্তু ওর মোবাইল নম্বর খোলা রয়েছে। ঘটনার প্রথম দিকে ফোন দিলে অন্য লোকে রিসিভ করে কথা বলতো।'
তিনি আরও বলেন, 'জার্মান প্রবাসী কুমিল্লা জেলার ফতেপুরের দালাল আবু তাহের রুবেলকে বিদেশে নিয়েছিল। পরে রুবেলের খোঁজ না পেয়ে দালালের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায় তুরষ্কে থাকা অবস্থায় রুবেলের পায়ে পুলিশের গুলি লেগেছে এবং আটক রয়েছে। মুক্ত করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। নানা অজুহাতে এভাবে আমার থেকে ৫ লাখ টাকা ও সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছোট ছেলের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা মোট ১৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়া তো দূরের কথা এরপর সে আর কোনও তথ্য দিতে চায় না।'
রুবেলের বৃদ্ধা মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, 'কবে আমার ছেলে দেশে আসবে কিংবা জীবদ্দশায় দেখা ভাগ্যে জুটবে কিনা আমি জানি না। ‘
ছেলের সন্ধান পেতে প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট দ্রুত কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।
এসআইএইচ
