নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে ছুটছে উপকূলের জেলেরা

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ মধ্যে রাত থেকে সাগরে মাছ ধরতে ছুটছে পটুয়াখালীর উপকূলের জেলের। মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত (৬ অক্টোবর) থেকে মা ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য নদী ও সাগরে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সময় ইলিশ পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ ছিলো।
ইলিশের এ অবরোধ সফল করতে জেলা মৎস্য বিভাগ, নৌ-বাহিনী, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবার বেশিরভাগ জেলেরাই সাগরে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন বলেও জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ জেলার সব মৎস্য আড়ৎগুলো। শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে যাতে কোনো কমতি না থাকে সেজন্য ট্রলারগুলোকে যাছাই বছাই করে নেওয়া হচ্ছে।
অনেকই জাল মেরামত করছেন, আবার অনেক জেলেকে ট্রলারে জাল ও ইঞ্জিন তুলতে দেখা গেছে। এদিকে গভীর সমুদ্রে পৌঁছাতে যাতে দেরি না হয় সেজন্য সব প্রস্তুতি শেষ করে অনেক মাছ ধরা ট্রলারকে নদী মোহনায় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
রাঙ্গাবালী ছোটবাইজদা ইউনিয়নের জেলে হাসান মিয়াজী বলেন, সরকার নিষেধাজ্ঞা জারির পর আমরা কেউই নদী কিংবা সাগরে ইলিশ শিকারে যাইনি। আশা করছি এবার প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে। আমরা মহাজনদের দাদনসহ ধারদেনা মেটাতে পারবো।
মহিপুরের জেলে ছলেমদ্দিন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিনের জড়তার অবসান ঘটিয়ে আজ আমরা আবার কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছি। তবে সরকার আমাদের যে প্রনোদনার চাল নির্ধারন করেছে তা এখনো পাইনি। এতোদিন পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়লে আমাদের সব দুঃখ কষ্ট ঘুচে যাবে।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর কাররেণ আমরা সব জেলেদের কাছ চাল পৌঁছে দিতে পারিনি। তবে আশা করছি দুই একদিনের মধ্যে নিবন্ধিত সবাই চাল পাবেন।
এএজেড
