বরিশালে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে বরিশাল থেকে সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকে একটানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে। উপকূলের মানুষ রয়েছেন আতঙ্কে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক। নদীবন্দরে বিপদ সংকেতের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে সকাল থেকেই বরিশাল নদীবন্দর থেকে কোনো লঞ্চ, স্টিমার না ছাড়ায় ঘাটে আটকা পড়েছে যাত্রীরা। এর মধ্যে ভোলা, মেহিন্দিগঞ্জের যাত্রী বেশি দেখা যায়।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে খুলনা ও বরিশালে বিকালের দিকে উচ্চ গতিবেগে বাতাস শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতিবেগের বাতাস বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপ সিত্রাং মোকাবিলায় বরিশাল জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় জানানো হয়, ১ হাজার ৫২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। মাইকিং ও আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার অব্যাহত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করা, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
এসএন
