চলছে দিপালী উৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

কালী পূজাকে সামনে রেখে উপমহাদেশের বৃহত্তম বরিশাল মহাশ্মশানে দিপালী উৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। মৃত স্বজনদের সমাধি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে বহু মানুষকে। সুষ্ঠুভাবে বৃহৎ এই শ্মশান দিপালী উৎসব পালনে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্মশান কমিটি।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে শ্মশান দিপালী উৎসব। এদিন মোমবাতি ও প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে পুরো মহাশ্মশান এলাকা। এখন মৃত স্বজনের সমাধিতে কেউ রঙ করছেন, কেউ বা মাটির সমাধি সংস্কার করছেন আবার অনেকে ধোয়ামোছার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, '২০০ বছরের অধিক সময় ধরে চলা এই মহাশ্মশানে কাঁচা পাকা সমাধি মিলিয়ে প্রায় এখন ৭০ হাজার সমাধি রয়েছে। এ মূহূর্তে সমাধী মন্দির গুলোকে রংতুলি আচরে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বরিশাল সিটি মেয়র, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের বৈঠক শেষে তাঁরা সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন'।
প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, মনোরমা বসু মাসিমাসহ বহু খ্যাতিমান মানুষের সমাধি রয়েছে এই মহাশ্মশানে। উৎসবে ভারত ও নেপালসহ বহু দেশর হাজার হাজার পর্যটক দিপালী যোগ দেন।
এএজেড
