বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ | ২৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

জমি নিয়ে তালবাহানা, দলিলের জন্য ঘুরছে আল আমিন

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর ভেদুরিয়া গ্রামের নব্য জমি বায়নাবাজ শফু মিয়া ও ফরিদ গাজীর খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়েছে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারানো একটি পরিবার।

সরেজমিনে ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন হেতনার হাটে গিয়ে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমি নিয়ে তালবাহানা করাই হলো শ্যালক-দুলাভাইয়ের কাজ। এক জমি দেখিয়ে বায়না নিয়ে কয়েক মাস পর বায়নার টাকা ব্যবহার করে আবার সেই জমির দাম বেশি হলে অন্য ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করেন।

তেতুলিয়া নদীতে সর্বস্ব হারানো রশিদ মাঝির ছেলে আলামিন বলেন, আমি ফরিদ গাজী ও সফু মিয়া থেকে ১৬ শতাংশ জমি দরদাম করে বায়না করি। আমি বায়না করার পর শুনি ওই জমি আরো কম দামে অন্য একজনের কাছ থেকেও বায়না নিয়েছে সফু ও ফরিদ। পরবর্তীতে বাজার কমিটির লোকজন সেই বায়নার টাকা উঠিয়ে দিয়েছে।

আলামিন বলেন, আমার টাকা নিয়ে এখন জমি দিতে তালবাহানা করেন সফু ও ফরিদ গাজী। এটা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার শালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। সর্বশেষ চেয়ারম্যান কামাল স্যার টাকা আরো বাড়িয়ে সমাধান করে দিসে সেটাও মানছে না সফু-ফরিদ। আমার সাথে যে জমির বায়না হইছে সেই জমি না দিয়ে এখন অন্য জমি দিতে চাইছে সফু ও ফরিদ যে জমির মূল্য বায়নাকৃত জমির চেয়ে অনেক কম।

এদিকে সফু মিয়ার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি মসজিদের জমি দখল করার অভিযোগও করেছেন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক খোকন গাজী।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফরিদ গাজীকে পাওয়া না গেলেও তার ছেলে সামিম টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। সফু মিয়াও টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি পিছনের জমি দিতে চাই তারা সেটা নিতে রাজী না। তবে মসজিদের জমি দখলের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, যে অভিযোগ করছে ও একটা টাউট।

এ ব্যাপারে ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়টি আমি জানি। আমার উপস্থিতিতে আলামিন সফুদের জমির পুরো টাকা পরিশোধ করেছে কিন্তু আরো আগেই জমিটার দলিল দেওয়ার কথা থাকলেও সফু দলিল না দেওয়ায় আলামিনরা আমার কাছে একাধিকবার এসেছে। আমি ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেনি। তবে আগামীকাল ঘটনাস্থলে যাব।

তিনি আরো বলেন, জমি ক্রয় করা আলামিনরা অনেক গরীব মানুষ, নদীতে বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে। আর সফু ফরিদ টাউট। তাদের শালিশ একাধিকবার আমি করেছি।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট-নির্ভর ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’। বুধবার সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু হয়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) গত ২৯ মার্চ স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধন দেয়, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) থেকে এনজিএসও লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। এই লাইসেন্সের অনুমোদন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, “আমরা তাদের ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছি এবং ইতোমধ্যে স্টারলিংকের প্রযুক্তি ইতিবাচকভাবে যাচাই করা হয়েছে।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্টারলিংকের প্রযুক্তি পরীক্ষা চালানো হয়। এরপর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি আরও দ্রুত এগিয়ে যায়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংক নিয়ে মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কলে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যা পুরো প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রা এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। কারণ, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা এখন দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌঁছাতে পারবে, যা শহর ও গ্রামের মধ্যে বিদ্যমান ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে দুর্যোগকালীন জরুরি যোগাযোগেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা।

Header Ad
Header Ad

বিনিয়োগ সম্মেলনে ইয়ংওয়ান প্রধানকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ

বিনিয়োগ সম্মেলনে ইয়ংওয়ান প্রধানকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইয়ংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেছে বাংলাদেশ সরকার। তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে এ সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কিহাক সাংয়ের হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেন। কিহাক সাং ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসেন এবং তখন থেকেই দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে পোশাক খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনে কিহাক সাংসহ মোট পাঁচ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সম্মানিত করা হলেও কেবল তাকেই সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা গ্রহণের পর তিনি বলেন, “সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।”

 

এছাড়া সম্মেলনে বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ‘ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে’ ফ্যাব্রিক লাগবে লিমিটেড, ‘বিদেশি বিনিয়োগ ক্যাটাগরিতে’ ওয়ালটন ও বিকাশ এবং ‘দেশীয় প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে’ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস–কে ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।

Header Ad
Header Ad

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে বিসিএসসহ সরকারি চাকরি, দুদকের তদন্তে মিলেছে প্রমাণ

ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ ব্যবহার করে বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি নেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৩৮তম থেকে ৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত বিভিন্ন নিয়োগে এই জালিয়াতির তথ্য উদঘাটন হয়েছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুদকের একটি বিশেষ টিম সরকারি কর্ম কমিশনে অভিযান চালিয়ে এসব তথ্য সংগ্রহ করে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানান, এনফোর্সমেন্ট টিম সরকারি কর্ম কমিশনের নথিপত্র পর্যালোচনা করে ৩৮তম থেকে ৪৩তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি ৯ম বিসিএস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদেরও তালিকা সংগ্রহ করে যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক। প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকজনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া বলে প্রমাণ মিলেছে।

এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে জনপ্রশাসনে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৯ হাজার ২৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন, যাদের বড় একটি অংশ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত। এদের অনেকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সরকারি বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের একটি বড় অংশের সনদ যাচাই করতে গিয়ে অনেকের সনদ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে শিক্ষা, ব্যাংক ও পুলিশ বিভাগে এ ধরনের অভিযোগ বেশি। শুধু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গত ১৫ বছরে ২৯ হাজার ৪৮৫ জন এবং পুলিশ বিভাগে ২৩ হাজার ৬৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা
বিনিয়োগ সম্মেলনে ইয়ংওয়ান প্রধানকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে বিসিএসসহ সরকারি চাকরি, দুদকের তদন্তে মিলেছে প্রমাণ
এসএসসি পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
‘মাইক্রোসফটের সবার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত’, প্রতিবাদ করে বরখাস্ত দুই কর্মী
বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
হত্যা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
সংস্কার সুপারিশে ত্রিমুখী অবস্থানে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির
অপহরণ নাটক সাজিয়ে চাঁদা দাবি, সাভারের মা-মেয়ে গ্রেফতার
গাজায় ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত আরও ২৬ ফিলিস্তিনি
যেসব অঞ্চলে ঝড়ের আভাস ও সতর্কতা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে ৬৬ জনের মৃত্যু
সাবেক এমপি মোরশেদ আলম ডিবির হাতে গ্রেপ্তার
জামিনে মুক্ত হওয়া সাবেক এমপিকে পিটিয়ে আবারও পুলিশে দিলো ছাত্র-জনতা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ
ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে না: রেল উপদেষ্টা
গণহত্যা চালিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, তার ধ্বংস অনিবার্য: টুকু
বিদেশি বিনিয়োগের এমন অনুকূল পরিবেশ আগে কখনো ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
বিরামপুরে স্কাউটস দিবস পালিত
১৩৫ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ