অবহেলার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে দায় এজেন্সিকেই নিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
অবহেলার কারণে কোনো হজযাত্রী হজে যেতে না পারলে সেই দায় সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, মিনা ও আরাফায় তাবু ও ক্যাটারিং সার্ভিসসহ বাড়ি, হোটেল, পরিবহন ও অন্যান্য হজ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। বর্তমানে ৭০টি লিডিং এজেন্সির মধ্যে ৩৮টি এজেন্সি চুক্তি সম্পাদনে অগ্রগতি দেখালেও বাকিগুলো এখনও পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "যদি কোনো হজযাত্রী এজেন্সির গাফিলতির কারণে হজে যেতে না পারেন, তবে সেই দায় সম্পূর্ণ এজেন্সিকেই বহন করতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় বা সৌদি সরকার এর দায় নেবে না।"
ওমরাহর টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গ্রুপের নামে আর টিকিট বুকিং দেওয়া যাবে না। এখন থেকে প্রত্যেক যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে টিকিট বুক করতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে টিকিট ইস্যু করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকিট ইস্যু না হলে, পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এয়ারলাইন্স সেই বুকিং বাতিল করবে।
এই সিন্ডিকেট চিহ্নিত করতে সিনিয়র স্বরাষ্ট্র সচিবকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
চলতি বছর হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন ৮৭ হাজার ১০০ জন, যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ৫ হাজার ২০০ জন। তবে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ কোটা থাকলেও তা পূরণ হয়নি।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও জানান, এ বছর শিশুদের হজে নেওয়া যাবে না, তবে সৌদি সরকার এখনও নির্দিষ্ট বয়সসীমা জানায়নি।
বিমান ভাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া অন্য দেশের তুলনায় বেশি নয়। তবে আগামী বছর যদি সৌদি আরবের বাইরে অন্য কোনো তৃতীয় ক্যারিয়ারকে অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে টেন্ডারের মাধ্যমে নতুন বিমান সংস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে হজযাত্রীদের জন্য ব্যয় কিছুটা কমতে পারে।”
যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে:
- এজেন্সির অবহেলায় হজযাত্রী হজে যেতে না পারলে দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকেই।
- সৌদি সরকারের নির্দেশনায় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হজ সম্পর্কিত সব চুক্তি সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা।
- ওমরাহ টিকিট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন।
- এবার শিশুদের হজে নেওয়া যাবে না, তবে বয়সসীমা নির্ধারিত হয়নি।
- বিমান ভাড়া কমাতে ভবিষ্যতে তৃতীয় ক্যারিয়ার সংযোজনের পরিকল্পনা।
হজ ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষ করে এজেন্সিগুলোর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে নতুন নিয়ম প্রবর্তন করা হয়েছে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও খরচ কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়ন ভবিষ্যতে হজযাত্রীদের জন্য আরও সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করবে।
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)