শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বিতরণ করা কি নিষেধ?

ছবি সংগৃহিত

‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’ হচ্ছে ‘সৌভাগ্যের রাত’। মুসলমানরা রাতটিকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করে ইবাদত করে থাকেন। তবে বাংলাদেশে শবে বরাত পালনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে হালুয়া-রুটির সংস্কৃতি। এ সম্পর্কে ইসলাম ধর্মে কোনো নির্দেশনা নেই। তারপরও বাংলাদেশে প্রচলিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে গেছে, বাড়িতে হালুয়া-রুটি বানানো এবং তা প্রতিবেশীর মাঝে বিতরণ করা।

বিবিসি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে শবে বরাত পালনের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় ১৯শ শতকের শেষের দিকে। তখন ঢাকার নবাবরা বেশ আয়োজন করে শবে বরাত পালন করতেন। সে সময়ে ঢাকার নবাবরা শবে বরাতের সময় আলোকসজ্জা করতেন। পাশপাশি মিষ্টি বিতরণ করতেন।

ইতিহাসবিদদের মতে, সে সময়ে মূলত মিষ্টির দোকান খুব একটা ছিল না। ফলে মিষ্টি জাতীয় খাবার বানানোর উপাদান দিয়ে বাড়িতে বসেই হালুয়া তৈরির প্রচলন শুরু হয়। আস্তে আস্তে এর বিস্তার ঘটতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে শবে বরাত পালন ধর্ম এবং সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।

অনেকের মতে, শবে বরাতে পরবর্তী এক বছরের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। তাছাড়া শবে বরাত নিয়ে অনেক ধারণা প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাওয়া-দাওয়া। তাই শবে বরাতে হালুয়া-রুটি তৈরি বাধ্যতামূলক মনে করা হয়। এ ছাড়া খাবারে মাছ কিংবা মাংস থাকাকে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

বিবিসিকে দেওয়া এক বক্তব্যে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, সে সময়ে হিন্দুদের আধিপত্য থাকার কারণে সেটিকে মোকাবেলা করার জন্য ঢাকার নবাবরা শবে বরাতে অনেক বড় আয়োজন করতেন। এতে ঢাকার নবাবদের মুসলমান পরিচয় এবং আধিপত্য- এ দুটো বিষয় একসাথে তুলে ধরার প্রয়াস দেখা যেত।

তিনি বলেন, নবাবরা যেহেতু মুসলিম ছিলেন এবং ঢাকাকে তারা নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেজন্য উৎসবগুলোকে তারা গুরুত্ব দিতেন। এর মাধ্যমে নবাবদের আধিপত্য, মুসলমানদের আধিপত্য এবং ধর্ম পালন- এ তিনটি বিষয় একসাথে প্রকাশ হতো। ১৯শ শতকের শেষের দিকে ঢাকায় শবে বরাত পালন মুসলিম পরিচয় প্রকাশের বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় শবে বরাত একটি বড় ধরনের উৎসবে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তান আমলে এর সাথে সরকারি ছুটি যুক্ত হওয়ায় সেটি পালনের ব্যাপকতা আরও বেড়ে যায়। একটা সময় ছিলো যখন ঢাকায় শবে বরাত পালনের বিষয়টি ছিল সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে।

আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টিকুলের দিকে দয়ার দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

এ রাতটিই আমাদের দেশে ‘শবে বরাত’ হিসেবে পরিচিত। এ রাতে আমাদের কর্তব্য বেশি বেশি নেক আমল ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা; যেন আল্লাহর রহমত ও ক্ষমায় আমরাও শামিল হতে পারি।

সদকা ও হাদিয়া সব সময়ই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন বা দরিদ্রদের হালুয়া-রুটিসহ যে কোনো খাবার খাওয়ানো, হাদিয়া পাঠানো নাজায়েজ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু হালুয়া-রুটি বানানো, খাওয়া ও বিরতরণকে শবে বরাতের জরুরি বা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আমল মনে করলে তা বিদআত গণ্য হবে। হালুয়া রুটি বানানো, খাওয়া বা বিতরণ করা শবে বরাতের বিশেষ কোনো আমল নয়।
শবে বরাতের বিশেষ আমল মনে না করলে বা এ রকম ভুল ধারণা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে হালুয়া-রুটি বানানো, খাওয়া ও বিরতরণ করা নাজায়েজ নয়।

Header Ad
Header Ad

মঙ্গল শোভাযাত্রার নতুন নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে এই শোভাযাত্রা ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিত হবে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

চারুকলার ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ জানান, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এই শোভাযাত্রার নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “শোভাযাত্রার নতুন নাম হবে—বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।”

নাম পরিবর্তন নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক অনেক সংগঠন শুরু থেকেই ‘মঙ্গল’ শব্দটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছিলেন, “শোভাযাত্রার নামকরণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।”

পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

আয়োজকরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের শোভাযাত্রা হবে আরও বৃহৎ, বর্ণাঢ্য, সর্বজনীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক। এতে দেশের বিভিন্ন জাতিসত্তা ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— “নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান”।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে ১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর ‘মানবতার গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’-এর তালিকায় স্থান পায়। প্রতিবছর এই শোভাযাত্রায় রঙিন মুখোশ, প্রতীকী প্রাণী ও শিল্পকর্ম বহন করে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

এবারের বর্ষবরণ উপলক্ষে আগামী রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চারুকলার বকুলতলায় আয়োজন করা হবে চৈত্রসংক্রান্তির নানা অনুষ্ঠানও।

Header Ad
Header Ad

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ‘চোর’ বললেন সিদ্দিকী নাজমুল

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু (বামে) এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে সরাসরি ‘চোর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক বিস্ফোরক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্টটি করেন তিনি। পোস্টে নাজমুল আলম বর্তমান ইউনূস সরকারকে বিদ্যুৎ সরবরাহে তুলনামূলক সফল বলে উল্লেখ করেন।

ফেসবুক পোস্টে সিদ্দিকী নাজমুল লেখেন, আমাদের সরকারের সময়ের চাইতে এবারের রমজানে তেমন লোডশেডিং হয়নি।

তিনি লিখেছেন, যে শালারা লুটপাটপাট করে দলটাকে শেষ করলেন। অতিরঞ্জিত, অতিকথনে টেলিসামাদ স্টাইলে রাজনীতিকে জোকারিতে পরিণত করলেন। তাদের বিরুদ্ধে লিখলেই একদলের জ্বালা উঠে এভাবে যে, এখন ঐক্যের সময়, এখন এগুলো লিখা যাবে না। আবার ক্ষমতায় গেলে, এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবে। মোটকথা, তাদের কথা হলো আমরা তাদের পক্ষে লিখে তাদের সব হালাল করব, আমরা আমাদের পরিবার জীবন দিবে আর তারা সুটেট-বুটেট হয়ে আবার আমাদের নেত্রীর চারপাশ দখলে রাখবেন।

তিনি লেখেন, অনেকদিন নিঃশ্বাস বন্ধ রেখে চুপ থাকলাম, কিন্তু আমার মাথায় আসে না, আমাদের নেত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর লক্ষে বিদ্যুৎ সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতিসাধন করেছেন। কিন্তু আমাদের সরকারের সময়ের চাইতে এবারের রমজানে তেমন লোডশেডিং হয়নি। তার মানে হলো- প্রধানমন্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিদ্যুৎ চোর বিপু এবং কিছু বিদ্যুৎ চোর আমলাদের সমন্বয়ে কৃত্তিম লোডশেডিং তৈরি করত এবং নিজেদের পছন্দের পাওয়ার প্লান্ট ব্যবসায়ীদের রমরমা একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়ে। সিন্ডিকেট করে কমিশন কামাত। বিদ্যুৎ চোর বিপু বড় ব্যবসায়ী বংশের রাজনৈতিক নেতার ছেলে ছিলেন আমাদের নেত্রী ভালো চিন্তা করেছিলেন, মনে করেছিলেন বড় লোকের ছেলে দায়িত্ব দিলে দুর্নীতি করবেন না। কিন্তু না নেত্রীর বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ চোরে পরিণত হয়েছেন বিপু।

তিনি আরও লেখেন, বিপু একটা চোর চোর চোর। ওর বউ চোর, ভাই চোর, সন্তানেরা চোর। ওদের গত ১০ বছরের চলাচল দেখলে মনে হয়, বিপু রাজা আর আমরা প্রজা।

নাজমুল লেখেন, বিপুর সমস্ত ব্যবসা বাণিজ্য বিএনপি জামাতের নেতারা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দেখাশোনা করছেন। বিপুরা ক্ষমতা এবং টাকার কারণে নিজেদের ঈশ্বর মনে করতেন।

তিনি পোস্টে লেখেন, চরিত্রহীন লম্পট পরিবার বিপুর পরিবার। ওই পরিবারের পুরুষদের চাইতে নারীরাও পিছিয়ে নেই। এই চোরের চুরির কারণে এবং বিপুর কেরামতিতে রাজনীতিকে রাজপথ থেকে এসি রুমে চলে গেছে ফাইভ স্টারে নিয়ে গেছেন রাজনীতিকে। ছাত্র-যুবক-শ্রমিক থেকে কর্পোরেটে নিয়ে গেছেন। ফলশ্রুতিতে আমরা ধ্বংস হয়েছি আর মুসলমানরা ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য যেমন আবাবিল পাখির অপেক্ষায় বসে আছেন আর আমরা আওয়ামী লীগের লোকজন শক্তিশালী কিংবা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অপেক্ষায় বসে আছি। যে তারা আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এলাকার রাজনীতিতেও বিপু জিরো। পুরো রাজনীতিটা করেন ওইখানে শাহীন চেয়ারম্যান। অত্যন্ত জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব দুঃসময়ের শাহীন চেয়ারম্যানের সাজানো বাগানের মালিক হলো বিপু অথচ শাহীন চেয়ারম্যানের মতো পুরোনো মানুষের সঙ্গে উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন বিপুর ব্যক্তিগত সহকারী এক ইয়ো ইয়ো বয়কে।

নাজমুল ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, বিপু কিন্তু তার ছেলেমেয়েদের লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করাচ্ছেন। কিন্তু আমি আপনি আমাদের ছেলেমেয়েদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছি। আমি সরকারি দলে থাকতেও সমালোচনা করেছি, নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিয়েছি, বড় বড় যথী মহারথীদের সঙ্গেও অন্যায় ইস্যুতে ছাড় দেয়নি দিবও না। নেত্রী জীবিত যতদিন থাকবেন, ততদিন রাজনীতি করার চেষ্টা করব। আমার স্পষ্ট অবস্থান থেকে নেত্রী যেদিন থাকবে না, সেদিন থেকে আর রাজনীতিও করব না।

দীর্ঘ পোস্টের সর্বশেষ তিনি লেখেন, নেত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে অনেকবারই বলেছেন- এই আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকে কেনা যায়। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমি শতভাগ বিশ্বাস করি এবং মানি।

Header Ad
Header Ad

গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সরকার পরিবর্তনের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হওয়া টানাপোড়েনের মাঝে নতুন করে আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গোপন গতিবিধি। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ক্ষমতাচ্যুত দলটির অনেক নেতাকর্মী সংগঠিতভাবে ঢাকামুখী হচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা রাজধানীতে অস্থিরতা তৈরি কিংবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এই সম্ভাব্য ‘শক্তি প্রদর্শন’ ঘিরে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একাধিক রিপোর্টে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ বিষয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

বিশেষ করে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগপন্থি কিছু ব্যক্তির সরাসরি সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর চট্টগ্রামে দলীয় আধিপত্য ও প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতির কারণে হামলা, দখল ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েছে। একদিকে রাজনৈতিক শূন্যতা, অন্যদিকে পুলিশের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়ায় অপরাধীরা সাহস পাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিএসবি) থেকে জেলার সব থানায় পাঠানো হয়েছে একটি বিশেষ চিঠি। সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকায় সম্ভাব্য আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম থেকে দলীয় কর্মীরা সংগঠিত হচ্ছে। ফলে ঢাকামুখী যাত্রা প্রতিহত করতে এবং কোনো ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে থানাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মোহাম্মদ রাসেল বলেন, “সরকার পরিবর্তনের শুরুর সময়টায় কিছুটা ধাক্কা খেলেও এখন পুলিশের মনোবল আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।”

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম জানান, “নগরীর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুট ও নাইট পেট্রোল, নতুন চেকপোস্ট স্থাপন এবং ‘মিনি টিম’ গঠন করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।”

তবে চট্টগ্রাম জেলা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জুনায়েত কাউছার বলেন, “আমি নির্দিষ্ট কোনো চিঠির কথা জানি না। তবে যেকোনো হুমকি বা গুজব পেলেই আমরা নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুতি নিই, যাতে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মঙ্গল শোভাযাত্রার নতুন নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ‘চোর’ বললেন সিদ্দিকী নাজমুল
গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি
মিঠাপুকুরে দিনদুপুরে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা ৩ জন
দুপুরের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের চার অঞ্চলে
কারাগারে মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ মিছিলে গিয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, শিশুসহ নিহত ৬
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী