বিয়ের অনুষ্ঠানে দেওয়া উপহারের মালিক কে হবে?
ছবি সংগৃহিত
এক সময় গ্রাম বাংলায় বিয়েতে উপহার হিসেবে পিতলের কলস দেওয়ার প্রচলন ছিল। পিতল বা কাঁসার থালা, জগ, চামচ, পানের বাটা উপহার হিসেবে দেওয়া হতো। নব্বইয়ের দশকে চালু হয় কাচের বা সিরামিকের প্লেট-গ্লাস। সামর্থ্যবানরা সোনার চেইন, আংটিসহ নানা রকমের অলংকার, খাট-ফ্রিজ-টিভিসহ নানা আসবাবপত্র, এমনকি গাড়ি-বাড়িও উপহার দেন। কিন্তু অতীতের মতো এখনও প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে নগদ টাকা দেওয়ার চল রয়ে গেছে। নগদ টাকার মতো প্রাইজবন্ড উপহার দেওয়ার চলও টিকে আছে।
বিয়ে বা এ রকম অনুষ্ঠানগুলোতে যেসব উপহার মানুষ দেয়, তা যদি নির্দিষ্ট কাউকে দেওয়া হয়েছে বলে বোঝা যায় বা উপহারদাতা নির্দিষ্ট কারো নাম বলে দেয় তাহলে ওই উপহারের মালিক বলে সে-ই হবে। যেমন উপহারদাতা যদি বিয়ের বর বা কনের নাম বলে দেয় অথবা এমন কিছু দেয়, যা তাদের একান্ত ব্যবহার্য জিনিস, তাহলে ওই উপহারের মালিক বর বা কনে হবে এবং তা ওই ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া অন্য কারো নেওয়া বৈধ হবে না।
যদি অর্থ বা সাধারণ ব্যবহার্য জিনিসপত্র উপহার হিসেবে আসে, তাহলে সেগুলোর মালিকানা ওই সমাজের প্রচলন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সমাজের প্রচলন যদি এমন হয় যে নির্দিষ্ট কারো কথা উল্লেখ করা ছাড়া যে অর্থ বা উপহার দেওয়া হয়, তা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের দেওয়া হয়, তাহলে তারাই সেগুলোর মালিক বিবেচিত হবে। তারা নিজেদের ইচ্ছে মতো যাকে ইচ্ছা দিতে পারবে বা নিজেরাও রাখতে পারবে। যদি এ রকম উপহার নতুন দম্পতিকে দেওয়ার প্রচলন থাকে, তাহলে তারাই মালিক হবে।