বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না !

ছবি: সংগৃহীত

দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে হারাম খাদ্য, বস্ত্র, পানীয় ইত্যাদি বর্জন (পরিহার) করা। কারণ, হারাম উপার্জনে সম্পৃক্ত থেকে যতই দোয়া করা হোক না কেন, তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা পবিত্র। তিনি পবিত্র বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার রাসুলগণকে যা করার আদেশ করেছেন ইমানদারগণকেও সে কাজই করার আদেশ করেছেন।’

অতঃপর আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু (হালাল) হতে ভক্ষণ কর, এবং নেক কাজ কর।’ আল্লাহ আরও বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের আমি যেসব পবিত্র বস্তু রিজিক হিসেবে দিয়েছি, তা থেকে আহার কর।’

এর ব্যাখ্যায় ওলামায়ে কেরামগণ বলেন, যারা হারাম উপার্জন, হারাম খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে তাদের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। সে যতই দোয়া করুক না কেন।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘দোয়া ছাড়া আর কিছুই আল্লাহর সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারে না।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর ২১৩৯।) দোয়া সব ইবাদতের মূল।

যে বান্দার দোয়া কবুল হয় না–

যে বান্দা হারাম খায়:

হারাম খাবার খাওয়া ব্যক্তির দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে রাসুল (সা.) বলেন, হারাম খাবার, পানীয় ও বস্ত্র অর্থাৎ হারাম উপার্জনে যাপিত জীবন দোয়া কবুলের অন্তরায়। যে ব্যক্তি হারাম পরিহার করতে পারে না, তার দোয়া কবুল হওয়ার আশা করা যায় না। বিপরীতে যার জীবিকা পবিত্র, তার দোয়া কবুল হওয়ার কথা জানিয়েছেন। রাসুল (সা.) একদিন সাদ (রা)-কে বলেন, ‘হে সাদ! তোমার খাদ্য পবিত্র কর, তাহলে মুস্তাজাবুদ দাওয়াত (যার দোয়া কবুল হয়) হতে পারবে।’ (আল মুজামুল আওসাত: ৬৪৯৫)

নিরাশ হওয়া ব্যক্তি:

যে ব্যক্তি দোয়া করে হতাশ হয়ে যায় তার দোয়াও আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি-না সে তাড়াহুড়ো করে আর বলে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি: ৬৩৪০) তাই রাসুল (সা.) বলেছেন, দোয়ার পর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে যে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করবেন।

যিনি আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব ছেড়ে দেন:

হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎ কাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহ তাআলা শিগগির তোমাদের ওপর তার শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তার কাছে দোয়া করলেও তিনি তোমাদের সেই দোয়া গ্রহণ করবেন না। (তিরমিজি: ২১৬৯)

তাই আল্লাহ যেসব কাজের আদেশ দিয়েছেন তা যথাযথভাবে পালন না করলে ওই ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় না।

আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট কারী:

হাদিসে আছে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করে, সে এই পাপের শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জায়গায়ই ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

হাদিসে এসেছে, ‘কোনো মুসলিম দোয়া করার সময় কোনো গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দোয়া না করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে এ তিনটির কোনো একটি দান করবেন। (১) হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ দুনিয়ায় দান করবেন, (২) অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন এবং (৩) অথবা তার কোনো অকল্যাণ বা বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করবেন। এ কথা শুনে সাহাবিরা বলেন, তাহলে তো আমরা অনেক বেশি লাভ করব। তিনি (রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ এর চেয়েও বেশি দেন। (আত-তারগীব: ১৬৩৩)

দোয়া করার সময় অমনোযোগী:

যখন আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয় তখন পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে দোয়া করতে হবে। কারণ, অবচেতন মনের দোয়া আল্লাহ গ্রহণ করেন না। এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া কোরো। জেনে রেখো, আল্লাহ অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না। (তিরমিজি: ৩৪৭৯)

Header Ad
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সিউল শহরের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।

তাকে গ্রেপ্তারের সময় প্রথমে তার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েও তার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় অভিযানটি ব্যর্থ হয়েছিল।

ইউন সুক ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসনের পর গ্রেপ্তার হলেন।

ইউন তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ইউন। মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তাকে সেই আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসিত ঘোষণা করে এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান ইউন। এরপর ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

Header Ad
Header Ad

নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন

রোবাইয়াত ফাতিমা তনি ও তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন আর নেই। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর ৩টা ৩ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। নিজের ফেসবুকে তনি লেখেন, "সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩.০৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের মতো একা করে চলে গেছে।"

কয়েক মাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহাদাৎ। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিঙ্গাপুর ও পরে ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় নিজের ফেসবুকে তনি জানিয়েছিলেন, "জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সব কিছু অনিশ্চিত জেনেও অনেক কষ্ট করে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংকক নিয়ে এসেছি। বাকি সব আল্লাহর ইচ্ছা।"

তনি তার ছেলের জন্য স্বামীর জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাহাদাৎ হোসাইন আর ফিরে আসেননি।

শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে তনির বৈবাহিক সম্পর্কের বয়সের ব্যবধান নিয়ে বিভিন্ন সময় কটাক্ষ করা হলেও তনি সবকিছুর সাহসিকতার সঙ্গে জবাব দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তনি ভালোবেসে শাহাদাৎকে বিয়ে করেন। শুরুতে পরিবারের আপত্তি থাকলেও পরে সব মিটমাট করে নেন তারা।

Header Ad
Header Ad

ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালীন অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং বিতর্কিত ভূমিকার সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিন দু-একজন করে ধরা পড়ছেন। আজ মতিউর, ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে। তাকেও এতদিন ধরা যায়নি। অন্যদেরও ধরা হবে, আইনের আওতায় আনা হবে। সব তো এক দিনে ধরা যায় না। অনেকে লুকিয়ে আছে। খুঁজে খুঁজে একে একে তাদের সবাইকে ধরা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিতর্কিত ভূমিকার পরও কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তাদের বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে, অনেক নবীন পুলিশ সদস্য, যারা ট্রেনিং শেষ করেছেন, তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যারা বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে। প্রতিদিন ২-১ জন করে ধরা পড়ছেন। যেমন আজ মতিউরকে ধরা হয়েছে। অনেকেই লুকিয়ে আছেন, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা, কনস্টেবল থেকে শুরু করে ডিসি পর্যন্ত, যারা সরাসরি গুলি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে তথ্য-প্রমাণ মিললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। তবে ধরা পড়ার পরও এক ওসি পালিয়ে গেছেন।'

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী কাজের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'পাশ্ববর্তী দেশের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সঠিক ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করেছেন। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানাই। বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের তালিকা থাকলে সেটি পুলিশের সদর দপ্তরে জমা দিন।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন
ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের বিষয়ে যা জানা গেল
মসজিদুল হারামের প্রসিদ্ধ গাইড শেখ মোস্তফা দাব্বাগ মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
মিথিলার সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের সেলফি