সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বড়দিন : মিলনেই আনন্দ

সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও ভালোবাসা প্রচারের জন্যই ঈশ্বরপুত্র যিশুখ্রিস্ট পরিত্রাণকর্তা হিসেবে এই ধরাধামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সাধু যোহনের ভাষায়- ‍‍‍‍‘ঈশ্বর জগতকে এত ভালোবাসলেন যে, নিজের একমাত্র পুত্রকে দান করলেন’ (যোহন ৩ : ১৬)। আর যিশু মানবদেহ ধারণ করে মর্ত্যের সঙ্গে স্বর্গের এবং মানুষের সঙ্গে ঈশ্বরের ভালোবাসার অপূর্ব মিলন সাধন করলেন। ঈশ্বর যে আমাদের নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন, তিনি যে সবসময় আমাদের সঙ্গে আছেন এবং আমাদের সব সময় ক্ষমা করেন- সে সত্যটিই যিশু তার সমগ্র জীবন ও কর্ম দিয়ে আমাদের কাছে প্রচার করেছেন।

পৃথিবীতে মহান ঈশ্বরের অসংখ্য রহস্যলীলার মধ্যে অন্যতম হলো যিশুখ্রিস্টের জন্মের ঘটনা। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী অত্যাচারী শাসক হেরোদ রাজার শাসনাধীন জেরুজালেমের বেথেলহেমে মাতা মেরির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন যিশুখ্রিষ্ট। মাতা মেরি ছিলেন ইসরায়েলের নাজারেথবাসী যোসেফের বাগদত্তা। সৎ, ধর্মপ্রাণ ও সাধু এই মানুষটি পেশায় ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। একদিন স্বর্গদূতের কাছ থেকে মেরি জানতে পারেন, মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে তাঁর গর্ভে ঈশ্বরের পুত্র আসছেন। স্বর্গদূতের এ কথা শুনে দারুণভাবে বিচলিত হন মেরি। তিনি তাঁকে বলেন, ‘এটি কিভাবে সম্ভব! আমার তো বিয়ে হয়নি।’ স্বর্গদূত মেরিকে বলেন, ‘পবিত্র আত্মা তাঁর ওপর অধিষ্ঠিত হবেন এবং তার প্রভাবেই মেরি গর্ভবতী হবেন এবং তাঁর ছেলে হবে। বাইবেলের মথি লিখিত সুসমাচার থেকে জানা যায়, ‘পবিত্র আত্মা থেকে মরিয়ম গর্ভবতী হয়েছিলেন।’ (মথি, ১:২০)।

অন্যদিকে মেরির বাগদত্তা স্বামী যোসেফ যখন জানতে পারেন মেরি সন্তানসম্ভবা, তখন তাঁকে আর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ঈশ্বরের দূত তাঁকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, ‘মেরি গর্ভবতী হয়েছে পবিত্র আত্মার প্রভাবে এবং তাঁর যে সন্তান হবে তা ঈশ্বরের পরিকল্পনায়। যোসেফ যেন মেরিকে সন্দেহ না করে গ্রহণ করে।’ তখন যোসেফ দূতের কথামতো মেরিকে বিয়ে করেন। তবে সন্তান না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকেন। (মথি ১:২৫)।

মেরির সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসে। সে সময় রোমান সম্রাট অগাস্টাস সিজার আদমশুমারি করেন। তিনি নির্দেশ দেন যার যার পিতৃপুরুষের শহরে গিয়ে নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে। যোসেফের পিতৃপুরুষরা ছিলেন যিহুদিয়ার বেথেলহেমের অধিবাসী। তাই যোসেফ তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী মেরিকে নিয়ে নাম লেখাতে সেখানে যান। কিন্তু নাম লেখাতে প্রচুর লোক আসায় তাঁরা থাকার জন্য কোনো জায়গা পেলেন না। পরে একজন লোক তাঁদের গোয়ালঘরে থাকতে দিলেন। সেখানেই মেরি সন্তান প্রসব করেন এবং কাপড়ে জড়িয়ে যাবপাত্রে (যে পাত্রে পশুদের ঘাস, খড় বা পানি খেতে দেওয়া হয়) রাখলেন। স্বর্গদূতের কথামতো যোসেফ শিশুটির নাম রাখলেন যিশু। এভাবে এক অলৌকিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বিশ্বজগতে মানব দেহ ধারণ করলেন ঈশ্বরপুত্র যিশু।

যিশু ছিলেন ঈশ্বরের পুত্র। তাঁর অপর একটি নাম হলো ‘ইম্মানুয়েল’, যার অর্থ, ‘ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে’। ঈশ্বরপুত্র হয়েও যিশু নিজে যন্ত্রণাময় ক্রশীয় মৃত্যু ধারণ করে সমগ্র মানবজাতিকে মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন। পৃথিবীতে এই মুক্তিদাতার আর্বিভাব ঘটেছিল শান্তি, একতা, মিলন ও ভালোবাসার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে। তাই এই মহান পরিত্রাণকর্তার জন্মক্ষণ তথা বড়দিন উপলক্ষে সমগ্র বিশ্বের খ্রিস্টবিশ্বাসীরা মুক্তি আর মিলনের আনন্দে মেতে ওঠে।

অনেক সময় আমরা আনন্দ ও সুখ শব্দ দুটিকে একই অর্থে ব্যবহার করি। কিন্তু আধ্যাত্মিক অর্থে আনন্দ শব্দটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কারণ সুখের সঙ্গে জাগতিক অর্থ-সম্পদের বিষয়টি জড়িত থাকে। অর্থাৎ জাগতিক অর্থ-সম্পদ দিয়ে আমরা সুখের মাপকাঠি নির্ধারণ করি। কিন্তু আনন্দ শব্দটি একেবারেই ঐশ্বরিক। আমরা যখন ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করি, তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা উপলব্ধি করি তখন আনন্দিত হই। আর যিশুখ্রিস্ট বিশ্বের ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে এই আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি আমাদের ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের পথ প্রদর্শন করেছেন, ঈশ্বরের ভালোবাসা আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন। এজন্য বড়দিনে আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার আশায় আনন্দে মেতে উঠি।

বড়দিন আমাদের প্রেমের শিক্ষা দেয়। যোহন ৩:১৬ পদের আলোকে- মানুষের কোনো ধর্ম কর্মের ফল নয়, প্রার্থনার বা কোনো যাচঞার ফল নয়। ঈশ্বর স্ব-ইচ্ছায় আমাদের পরিত্রাণের জন্য নিজ প্রিয়পুত্রকে দান করলেন। মানুষের উচিত ঈশ্বরের প্রেমের প্রতি সাড়া দেওয়া। প্রকৃত প্রেম স্বর্গ থেকে আসে (১ করিন্থীয় ১৩ অধ্যায়)। ঈশ্বর আমাদের কাছে যিশুখ্রিস্টকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাই বড়দিনের মধ্য দিয়ে আমরা একে অন্যের জীবনে উপহার হয়ে উঠি। একে অন্যের শান্তির কারণ হয়ে উঠি।

বড়দিন আমাদের শান্তি ও আনন্দ দান করে। ইলিশাবেৎ যখন মরিয়মের কাছ থেকে যীশুর আগমন বার্তা শুনেছিলেন তখন যোহন বাপ্তাইজ আনন্দে নেচে উঠেছিল। শিমিয়ন যিরুজালেম মন্দিরে শিশু যীশুকে কোলে তুলে নিয়ে আনন্দে বলে উঠেছিল, `আমার নয়ন যুগল পরিত্রাণ দেখিতে পাইল' (লূক ২:১০)। তাই যখন আমরা পাপের জীবন ত্যাগ করে খ্রিস্টকে মুক্তিদাতা ও পরিত্রাণকর্তা বলে গ্রহণ করি তখনই আমরা পরিত্রাণের আনন্দ উপলদ্ধি করি।

বড়দিন আমাদের পরিত্রাণের নিশ্চয়তা দেয়। প্রেরিত ৪:১২পদে- ‘আকাশের নিচে, মনুষ্যদের মাঝে আর কোনো নাম নাই, যে নামে পরিত্রাণ পাইতে পারি।’ কিন্তু মানুষ যখন পাপের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিল, মুক্তি লাভের সকল পথ যখন রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন যীশুর জন্মের মধ্য দিয়ে মানুষ পরিত্রাণের পথ খুঁজে পেল। যীশু আমাদের পাপের শাস্তি নিজের স্কন্ধে নিয়ে ক্রুশীয় মৃত্যুকে বরণ করলেন। কবর প্রাপ্ত হলেন, ৩ দিন পরে মৃত্যুকে জয় করে কবর থেকে পুনরুত্থিত হয়ে প্রায়শ্চিত্ত সাধনের মধ্য দিয়ে আমাদের জন্য পরিত্রাণের সুযোগ করে দিলেন। যেন আমরা পাপ থেকে পরিত্রাণ লাভ করি। যোহন ১:২৯ পদে, ‘ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষ শাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান।’ এ জগতে অনেক ধর্ম প্রবর্তক, অনেক ভাববাদী কিংবা মহাপুরুষ এসেছেন যারা মানুষের নিকট মুক্তির বাণী প্রচার করেছেন, কিন্তু কেউ বলতে পারেনি আমার কাছে এস, আমি তোমাদের মুক্তি দেব, পাপ সকল ক্ষমা করে পরিত্রাণ দেব। কেবল প্রভু যীশুই মানুষের পাপ ক্ষমা করেছেন এবং পরিত্রাণ দিতে চেয়েছেন। তাই আমরা বড়দিনে পরিত্রাণের আশায় আনন্দে মেতে উঠি।

বড়দিন আমাদের বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। যারা যিশুর ভালোবাসার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঈশ্বরের ভালোবাসায় সিক্ত হন তারা পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ হন, পরস্পর পরস্পরের ভাইবোন হয়ে ওঠেন। কেননা ঈশ্বর হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তিনি আমাদের পিতাস্বরূপ। যখন আমরা ঈশ্বরকে পিতা বলে সম্বোধন করি তখন সমগ্র বিশ্ব একটা মানব পরিবার হয়ে ওঠে। আর আমরা সেই পরিবারে একে অপরের ভাইবোন হয়ে উঠি। বিশ্বব্যাপী এই করোনাকালীন সময়ে আমরা আমাদের অনেক নিকট আত্মীকে হারিয়েছি। অনেকে চাকরি হারিয়েছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় যিশুর শিক্ষাকে হৃদয়ে ধারণ করে আমরা যদি সে সকল মানুষের পাশে দাড়াতে পারি, মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোবাসতে পারি, অন্তরের সাথে অন্তরের মিলন স্থাপন করতে পারি তবেই বড়দিনের আনন্দ সার্থক হবে।

লেখক : অধ্যক্ষ, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা

/এএন

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে