শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বড়দিন : মিলনেই আনন্দ

সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও ভালোবাসা প্রচারের জন্যই ঈশ্বরপুত্র যিশুখ্রিস্ট পরিত্রাণকর্তা হিসেবে এই ধরাধামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সাধু যোহনের ভাষায়- ‍‍‍‍‘ঈশ্বর জগতকে এত ভালোবাসলেন যে, নিজের একমাত্র পুত্রকে দান করলেন’ (যোহন ৩ : ১৬)। আর যিশু মানবদেহ ধারণ করে মর্ত্যের সঙ্গে স্বর্গের এবং মানুষের সঙ্গে ঈশ্বরের ভালোবাসার অপূর্ব মিলন সাধন করলেন। ঈশ্বর যে আমাদের নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন, তিনি যে সবসময় আমাদের সঙ্গে আছেন এবং আমাদের সব সময় ক্ষমা করেন- সে সত্যটিই যিশু তার সমগ্র জীবন ও কর্ম দিয়ে আমাদের কাছে প্রচার করেছেন।

পৃথিবীতে মহান ঈশ্বরের অসংখ্য রহস্যলীলার মধ্যে অন্যতম হলো যিশুখ্রিস্টের জন্মের ঘটনা। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী অত্যাচারী শাসক হেরোদ রাজার শাসনাধীন জেরুজালেমের বেথেলহেমে মাতা মেরির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন যিশুখ্রিষ্ট। মাতা মেরি ছিলেন ইসরায়েলের নাজারেথবাসী যোসেফের বাগদত্তা। সৎ, ধর্মপ্রাণ ও সাধু এই মানুষটি পেশায় ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। একদিন স্বর্গদূতের কাছ থেকে মেরি জানতে পারেন, মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে তাঁর গর্ভে ঈশ্বরের পুত্র আসছেন। স্বর্গদূতের এ কথা শুনে দারুণভাবে বিচলিত হন মেরি। তিনি তাঁকে বলেন, ‘এটি কিভাবে সম্ভব! আমার তো বিয়ে হয়নি।’ স্বর্গদূত মেরিকে বলেন, ‘পবিত্র আত্মা তাঁর ওপর অধিষ্ঠিত হবেন এবং তার প্রভাবেই মেরি গর্ভবতী হবেন এবং তাঁর ছেলে হবে। বাইবেলের মথি লিখিত সুসমাচার থেকে জানা যায়, ‘পবিত্র আত্মা থেকে মরিয়ম গর্ভবতী হয়েছিলেন।’ (মথি, ১:২০)।

অন্যদিকে মেরির বাগদত্তা স্বামী যোসেফ যখন জানতে পারেন মেরি সন্তানসম্ভবা, তখন তাঁকে আর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ঈশ্বরের দূত তাঁকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, ‘মেরি গর্ভবতী হয়েছে পবিত্র আত্মার প্রভাবে এবং তাঁর যে সন্তান হবে তা ঈশ্বরের পরিকল্পনায়। যোসেফ যেন মেরিকে সন্দেহ না করে গ্রহণ করে।’ তখন যোসেফ দূতের কথামতো মেরিকে বিয়ে করেন। তবে সন্তান না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকেন। (মথি ১:২৫)।

মেরির সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসে। সে সময় রোমান সম্রাট অগাস্টাস সিজার আদমশুমারি করেন। তিনি নির্দেশ দেন যার যার পিতৃপুরুষের শহরে গিয়ে নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে। যোসেফের পিতৃপুরুষরা ছিলেন যিহুদিয়ার বেথেলহেমের অধিবাসী। তাই যোসেফ তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী মেরিকে নিয়ে নাম লেখাতে সেখানে যান। কিন্তু নাম লেখাতে প্রচুর লোক আসায় তাঁরা থাকার জন্য কোনো জায়গা পেলেন না। পরে একজন লোক তাঁদের গোয়ালঘরে থাকতে দিলেন। সেখানেই মেরি সন্তান প্রসব করেন এবং কাপড়ে জড়িয়ে যাবপাত্রে (যে পাত্রে পশুদের ঘাস, খড় বা পানি খেতে দেওয়া হয়) রাখলেন। স্বর্গদূতের কথামতো যোসেফ শিশুটির নাম রাখলেন যিশু। এভাবে এক অলৌকিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বিশ্বজগতে মানব দেহ ধারণ করলেন ঈশ্বরপুত্র যিশু।

যিশু ছিলেন ঈশ্বরের পুত্র। তাঁর অপর একটি নাম হলো ‘ইম্মানুয়েল’, যার অর্থ, ‘ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে’। ঈশ্বরপুত্র হয়েও যিশু নিজে যন্ত্রণাময় ক্রশীয় মৃত্যু ধারণ করে সমগ্র মানবজাতিকে মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন। পৃথিবীতে এই মুক্তিদাতার আর্বিভাব ঘটেছিল শান্তি, একতা, মিলন ও ভালোবাসার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে। তাই এই মহান পরিত্রাণকর্তার জন্মক্ষণ তথা বড়দিন উপলক্ষে সমগ্র বিশ্বের খ্রিস্টবিশ্বাসীরা মুক্তি আর মিলনের আনন্দে মেতে ওঠে।

অনেক সময় আমরা আনন্দ ও সুখ শব্দ দুটিকে একই অর্থে ব্যবহার করি। কিন্তু আধ্যাত্মিক অর্থে আনন্দ শব্দটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কারণ সুখের সঙ্গে জাগতিক অর্থ-সম্পদের বিষয়টি জড়িত থাকে। অর্থাৎ জাগতিক অর্থ-সম্পদ দিয়ে আমরা সুখের মাপকাঠি নির্ধারণ করি। কিন্তু আনন্দ শব্দটি একেবারেই ঐশ্বরিক। আমরা যখন ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করি, তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা উপলব্ধি করি তখন আনন্দিত হই। আর যিশুখ্রিস্ট বিশ্বের ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে এই আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি আমাদের ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের পথ প্রদর্শন করেছেন, ঈশ্বরের ভালোবাসা আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন। এজন্য বড়দিনে আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার আশায় আনন্দে মেতে উঠি।

বড়দিন আমাদের প্রেমের শিক্ষা দেয়। যোহন ৩:১৬ পদের আলোকে- মানুষের কোনো ধর্ম কর্মের ফল নয়, প্রার্থনার বা কোনো যাচঞার ফল নয়। ঈশ্বর স্ব-ইচ্ছায় আমাদের পরিত্রাণের জন্য নিজ প্রিয়পুত্রকে দান করলেন। মানুষের উচিত ঈশ্বরের প্রেমের প্রতি সাড়া দেওয়া। প্রকৃত প্রেম স্বর্গ থেকে আসে (১ করিন্থীয় ১৩ অধ্যায়)। ঈশ্বর আমাদের কাছে যিশুখ্রিস্টকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাই বড়দিনের মধ্য দিয়ে আমরা একে অন্যের জীবনে উপহার হয়ে উঠি। একে অন্যের শান্তির কারণ হয়ে উঠি।

বড়দিন আমাদের শান্তি ও আনন্দ দান করে। ইলিশাবেৎ যখন মরিয়মের কাছ থেকে যীশুর আগমন বার্তা শুনেছিলেন তখন যোহন বাপ্তাইজ আনন্দে নেচে উঠেছিল। শিমিয়ন যিরুজালেম মন্দিরে শিশু যীশুকে কোলে তুলে নিয়ে আনন্দে বলে উঠেছিল, `আমার নয়ন যুগল পরিত্রাণ দেখিতে পাইল' (লূক ২:১০)। তাই যখন আমরা পাপের জীবন ত্যাগ করে খ্রিস্টকে মুক্তিদাতা ও পরিত্রাণকর্তা বলে গ্রহণ করি তখনই আমরা পরিত্রাণের আনন্দ উপলদ্ধি করি।

বড়দিন আমাদের পরিত্রাণের নিশ্চয়তা দেয়। প্রেরিত ৪:১২পদে- ‘আকাশের নিচে, মনুষ্যদের মাঝে আর কোনো নাম নাই, যে নামে পরিত্রাণ পাইতে পারি।’ কিন্তু মানুষ যখন পাপের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিল, মুক্তি লাভের সকল পথ যখন রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন যীশুর জন্মের মধ্য দিয়ে মানুষ পরিত্রাণের পথ খুঁজে পেল। যীশু আমাদের পাপের শাস্তি নিজের স্কন্ধে নিয়ে ক্রুশীয় মৃত্যুকে বরণ করলেন। কবর প্রাপ্ত হলেন, ৩ দিন পরে মৃত্যুকে জয় করে কবর থেকে পুনরুত্থিত হয়ে প্রায়শ্চিত্ত সাধনের মধ্য দিয়ে আমাদের জন্য পরিত্রাণের সুযোগ করে দিলেন। যেন আমরা পাপ থেকে পরিত্রাণ লাভ করি। যোহন ১:২৯ পদে, ‘ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষ শাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান।’ এ জগতে অনেক ধর্ম প্রবর্তক, অনেক ভাববাদী কিংবা মহাপুরুষ এসেছেন যারা মানুষের নিকট মুক্তির বাণী প্রচার করেছেন, কিন্তু কেউ বলতে পারেনি আমার কাছে এস, আমি তোমাদের মুক্তি দেব, পাপ সকল ক্ষমা করে পরিত্রাণ দেব। কেবল প্রভু যীশুই মানুষের পাপ ক্ষমা করেছেন এবং পরিত্রাণ দিতে চেয়েছেন। তাই আমরা বড়দিনে পরিত্রাণের আশায় আনন্দে মেতে উঠি।

বড়দিন আমাদের বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। যারা যিশুর ভালোবাসার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঈশ্বরের ভালোবাসায় সিক্ত হন তারা পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ হন, পরস্পর পরস্পরের ভাইবোন হয়ে ওঠেন। কেননা ঈশ্বর হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তিনি আমাদের পিতাস্বরূপ। যখন আমরা ঈশ্বরকে পিতা বলে সম্বোধন করি তখন সমগ্র বিশ্ব একটা মানব পরিবার হয়ে ওঠে। আর আমরা সেই পরিবারে একে অপরের ভাইবোন হয়ে উঠি। বিশ্বব্যাপী এই করোনাকালীন সময়ে আমরা আমাদের অনেক নিকট আত্মীকে হারিয়েছি। অনেকে চাকরি হারিয়েছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় যিশুর শিক্ষাকে হৃদয়ে ধারণ করে আমরা যদি সে সকল মানুষের পাশে দাড়াতে পারি, মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোবাসতে পারি, অন্তরের সাথে অন্তরের মিলন স্থাপন করতে পারি তবেই বড়দিনের আনন্দ সার্থক হবে।

লেখক : অধ্যক্ষ, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা

/এএন

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নং ভবনে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ নথি ও অবকাঠামো পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এটিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে অগ্নি নির্বাপণকর্মী সোহানুর জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সচিবালয়ের মতো একটি নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। এ ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতির চিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা মনে করি, এই ঘটনার পরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা উচিত।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সংস্কার প্রস্তাবনা ও সংস্কার কার্যক্রমকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানাবিধ তৎপরতা চলছে। সংস্কার কমিশনগুলো সরকারের কাছে নিজেদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনগুলো দাখিল করার আগে এ ধরনের অস্থিরতা এবং কমিশনের কাজে প্রতিবন্ধকতা রাষ্ট্রের সংস্কার কার্যক্রমকে ব্যহত করার একটা অপচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়, আমরা চরম উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট নানা মহল থেকে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। এর আগে পদোন্নতিতে কোটা সংক্রান্ত সুপারিশ গণমাধ্যমে প্রকাশের ফলে ক্যাডারদের মাঝে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি।

Header Ad
Header Ad

মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ছবি: সংগৃহীত

৯২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মনমোহন সিং। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৫১মিনিটে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এআইআইএমএস) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তির কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

এর আগে ২০০৯ সালে দিল্লির এআইআইএমএসে মনমোহন সিংয়ের সফল করোনারি বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। ২০২১ সালে মহামারির সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

মনমোহন সিং ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে প্রথম যোগদান করেন। পরে তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

চলতি বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। গত এপ্রিলে রাজ্যসভা থেকে অবসরে যান তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  
ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম