শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সনাতন ধর্মে পবিত্র মনে করা হয় যেসব গাছ

ছবি- সংগৃহীত

মানুষের প্রাণ ধারণের অমূল্য উপাদান অক্সিজেন। আর অক্সিজেনের আধার গাছ। একই সঙ্গে কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে পরিবেশের ভারসাম্যও ঠিক রাখে গাছ। জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে হলে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই।

শুধু পরিবেশ নয়, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানেও রয়েছে গাছের প্রয়োজনীয়তা। বিশেষ করে সনাতন ধর্মে গাছপূজার প্রচলন রয়েছে। শাস্ত্র মতে, যে ব্যক্তি একটি অশ্বত্থ, একটি নিম, ১০টি তেঁতুল, তিনটি কৈথ, তিনটি বেল, তিনটি আমলকি ও পাঁচটি আম গাছ লাগান, তিনি পুণ্যাত্মা। সনাতন ধর্মে পূজনীয় গাছগুলো হলো-

অশ্বত্থ
সনাতন ধর্মে অশ্বত্থ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গাছ। এ গাছের গোড়া থেকে শুরু করে পাতা পর্যন্ত দেবদেবীর বাস। গীতাতে, শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "হে পার্থ, গাছের মধ্যে আমি অশ্বত্থ।" এর প্রতিটি উপাদান যেমন বাকল, পাতা, ফল, বীজ ও শিকড় সবই খুব কার্যকর। প্রায় প্রতিটি হনুমান ও শনি মন্দিরে এই গাছ দেখা যায়। নিজের ও পরিবারের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মঙ্গল কামনায় সপ্তাহের প্রতি শনিবারে এই গাছকে পূজা করা হয়। আবার বিভিন্ন ছোঁয়াচে রোগ ও শত্রুদের হাত থেকে বাঁচতে এ গাছের উপাসনা করা হয়। একে বোধি গাছও (Bodhi Tree) বলা হয়। এই গাছের তলায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধ ধ্যান করেছিলেন এবং জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।

তুলসি গাছ
হিন্দুদের অধিকাংশ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তুলসী পাতা ও গাছ ব্যবহার করা হয়। এই গাছ যদি বাড়ির উঠানে জন্মায়, তবে তা শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ,হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে, কৃষ্ণের সেবা করার জন্য বৃন্দাবনে দেবী বিরিন্দা তুলসী পাতা হিসেবে জন্ম নেন। আবার প্রাচীন বেদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তুলসী গাছের কাঠের স্পর্শ একজন ব্যক্তিকে শুদ্ধ করে তুলতে পারে। দেহ, মন ও আবেগকে শুদ্ধ করতে তুলসী পুঁতি দিয়ে তৈরি মালা গলায় পরা প্রয়োজন। এ গাছ ঔষধি ও রোগ নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য আয়ুর্বেদেও মূল্যবান।

কলা গাছ
কলা গাছের ফলকে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর উদ্দেশে উৎসর্গ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আবার কলা গাছের পাতা গণেশকে অর্পণ করলে তাও শুভ বলে বিবেচিত হয়। এ গাছের পাতাগুলি বিভিন্ন ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক প্যান্ডেলগুলি সাজাতে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এগুলি খাবার ও প্রসাদ পরিবেশন করতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার ধূপ-ধূনো, ফল, ফুল, হলুদ ইত্যাদি দিয়ে এই গাছের উপাসনা করলে পরিবারে সমৃদ্ধি বাড়ে বলে বিশ্বাস করা হয়।

পদ্ম
সনাতন ধর্মে প্রচলিত, প্রত্যেক মানুষের অভ্যন্তরে পদ্মের পবিত্র আত্মা বিদ্যমান। কারণ ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, ভগবান বিষ্ণুর নাভির ভেতর থেকে জন্ম নেয় পদ্ম, আর ব্রহ্মা পদ্মের কেন্দ্রে বসে থাকেন। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফুলটি জীবন, উর্বরতা আর পবিত্রতার প্রতীক। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও পদ্ম ফুলকে পবিত্র মনে করে।

বট গাছ
বটগাছকে বলা হয় ভক্তদের জন্যে ঈশ্বরের দেওয়া আশ্রয়স্থল। বহু প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ ও শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বটগাছ ঐশ্বরিক স্রষ্টাকে উপস্থাপন করে এবং মানব জীবনের দীর্ঘায়ু কামনার প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়। গাছটি 'বট বৃক্ষ' নামেও পরিচিত। এই গাছ উর্বরতার প্রতীক তাই অনেকে বিশ্বাস করেন, এই গাছের পূজা করলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে নিঃসন্তান দম্পতির সহায়তা হতে পারে। বট গাছ কেটে ফেলা অশুভ বলে মনে করা হয়।

বেল গাছ
সনাতন ধর্মে বেল গাছের সঙ্গে শিব ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। বিশ্বাস করা হয়, এর পাতা ও ফল দিয়ে পূজা করলে দেবাদিদেব সন্তুষ্ট হন। বেল গাছের ত্রিনেত্র বিশিষ্ট পাতা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তিন ভগবান - ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর বা শিব যথাক্রমে সৃষ্টি, সংরক্ষণ ও ধ্বংসের প্রতীক। এই পাতাগুলি শিবের তিনটি চোখ হিসেবেও বিবেচিত হয়। এছাড়া, এ গাছের সমস্ত অংশে ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়।

অশোক গাছ
একটি মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ ছায়াদানকারী বৃক্ষ। সুন্দর, সুগন্ধযুক্ত লাল ও হলুদ ফুল ধারণ করে গাছটি। এটিও সনাতন ধর্মে একটি পবিত্র গাছ হিসেবে বিবেচিত হয়। শুধু সনাতন ধর্ম নয়, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মেও এটিকে পবিত্র গাছ হিসেবে মানা হয়। এ গাছের সমস্ত অংশে ঔষধি গুণ রয়েছে। যেমন - স্নায়ুগত রোগ, অর্শ্ব, চর্ম রোগ ইত্যাদিতে খুবই উপকারী।

চন্দন গাছ
চন্দন গাছ সবচেয়ে পবিত্র গাছ হিসেবে বিবেচিত হয় সনাতন ধর্মে। ভারতবর্ষে সমস্ত পূজা অনুষ্ঠানে এটি ব্যবহৃত হয়। তবে চন্দন গাছ সেই অর্থে ব্যবহৃত না হলেও মূলত এর কাঠ ব্যবহৃত হয়, যা অত্যন্ত সুগন্ধযুক্ত। চন্দন কাঠ গুঁড়ো করে পূজায় ব্যবহার করা হয়। ভক্তদের কপাল তিলক কাটতেও ব্যবহৃত হয়; যা ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে।

নিম গাছ
শাস্ত্রে নিম গাছকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। নিমের কাঠ থেকে শুরু করে পাতা- সব কিছুরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। আবার দক্ষিণ দিককে মঙ্গলের দিক মনে করা হয়। নিম গাছ মঙ্গলের পরিস্থিতি নির্ধারণ করে। মঙ্গল শুভ প্রভাব দেবে না কি, অশুভ প্রভাব বিস্তার করবে, তা নিম গাছের পরিস্থিতি দেখে জানা যায়। দক্ষিণ দিকে নিমের বড় গাছ থাকা উচিত। দক্ষিণমুখী বাড়ির প্রবেশদ্বারের দ্বিগুণ দূরত্বে নিমের সবুজ গাছ থাকলে বা দ্বিগুণ বড় বাড়ি থাকলে দক্ষিণ দিকের প্রভাব কমে যায়।

আমলকি
আমলকি স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। আবার একাদশী তিথিতে আমলকির পূজা করলে বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। আমলকি নবমীর দিনে এ গাছের পূজা বিশেষ ফলদায়ী।

শমি
এ গাছের পূজা করলে শনির আশীর্বাদ পাবেন। প্রতি শনিবার শমি গাছের তলায় সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালালে শনি প্রসন্ন হন এবং জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর হয়। এর প্রভাবে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। এ ছাড়া শমির পাতা শিবকে অর্পণ করলে তিনি প্রসন্ন হন।

আম
আবার সনাতন ধর্মে কোনো মঙ্গল অনুষ্ঠানে আম পাতার ব্যবহার লক্ষ করা যায়। লক্ষ্মী পূজায় আমপাতার ব্যবহার করা হয়। আবার বিবাহ বা অন্য কোনো মঙ্গল অনুষ্ঠানে দরজা আমপাতা দিয়ে সাজানো হয়। এমনকি নিয়ম-আচারের আমপল্লবের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। শাস্ত্র অনুযায়ী, ৫ অথবা তার চেয়ে বেশি আম গাছ রোপণ এবং তার যত্ন করলে দুর্লভ যজ্ঞের ফল লাভ করা যায়।

এমএস/এসএন

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ