বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সনাতন ধর্মে পবিত্র মনে করা হয় যেসব গাছ

ছবি- সংগৃহীত

মানুষের প্রাণ ধারণের অমূল্য উপাদান অক্সিজেন। আর অক্সিজেনের আধার গাছ। একই সঙ্গে কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে পরিবেশের ভারসাম্যও ঠিক রাখে গাছ। জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে হলে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই।

শুধু পরিবেশ নয়, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানেও রয়েছে গাছের প্রয়োজনীয়তা। বিশেষ করে সনাতন ধর্মে গাছপূজার প্রচলন রয়েছে। শাস্ত্র মতে, যে ব্যক্তি একটি অশ্বত্থ, একটি নিম, ১০টি তেঁতুল, তিনটি কৈথ, তিনটি বেল, তিনটি আমলকি ও পাঁচটি আম গাছ লাগান, তিনি পুণ্যাত্মা। সনাতন ধর্মে পূজনীয় গাছগুলো হলো-

অশ্বত্থ
সনাতন ধর্মে অশ্বত্থ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গাছ। এ গাছের গোড়া থেকে শুরু করে পাতা পর্যন্ত দেবদেবীর বাস। গীতাতে, শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "হে পার্থ, গাছের মধ্যে আমি অশ্বত্থ।" এর প্রতিটি উপাদান যেমন বাকল, পাতা, ফল, বীজ ও শিকড় সবই খুব কার্যকর। প্রায় প্রতিটি হনুমান ও শনি মন্দিরে এই গাছ দেখা যায়। নিজের ও পরিবারের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মঙ্গল কামনায় সপ্তাহের প্রতি শনিবারে এই গাছকে পূজা করা হয়। আবার বিভিন্ন ছোঁয়াচে রোগ ও শত্রুদের হাত থেকে বাঁচতে এ গাছের উপাসনা করা হয়। একে বোধি গাছও (Bodhi Tree) বলা হয়। এই গাছের তলায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধ ধ্যান করেছিলেন এবং জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।

তুলসি গাছ
হিন্দুদের অধিকাংশ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তুলসী পাতা ও গাছ ব্যবহার করা হয়। এই গাছ যদি বাড়ির উঠানে জন্মায়, তবে তা শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ,হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে, কৃষ্ণের সেবা করার জন্য বৃন্দাবনে দেবী বিরিন্দা তুলসী পাতা হিসেবে জন্ম নেন। আবার প্রাচীন বেদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তুলসী গাছের কাঠের স্পর্শ একজন ব্যক্তিকে শুদ্ধ করে তুলতে পারে। দেহ, মন ও আবেগকে শুদ্ধ করতে তুলসী পুঁতি দিয়ে তৈরি মালা গলায় পরা প্রয়োজন। এ গাছ ঔষধি ও রোগ নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য আয়ুর্বেদেও মূল্যবান।

কলা গাছ
কলা গাছের ফলকে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর উদ্দেশে উৎসর্গ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আবার কলা গাছের পাতা গণেশকে অর্পণ করলে তাও শুভ বলে বিবেচিত হয়। এ গাছের পাতাগুলি বিভিন্ন ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক প্যান্ডেলগুলি সাজাতে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এগুলি খাবার ও প্রসাদ পরিবেশন করতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার ধূপ-ধূনো, ফল, ফুল, হলুদ ইত্যাদি দিয়ে এই গাছের উপাসনা করলে পরিবারে সমৃদ্ধি বাড়ে বলে বিশ্বাস করা হয়।

পদ্ম
সনাতন ধর্মে প্রচলিত, প্রত্যেক মানুষের অভ্যন্তরে পদ্মের পবিত্র আত্মা বিদ্যমান। কারণ ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, ভগবান বিষ্ণুর নাভির ভেতর থেকে জন্ম নেয় পদ্ম, আর ব্রহ্মা পদ্মের কেন্দ্রে বসে থাকেন। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফুলটি জীবন, উর্বরতা আর পবিত্রতার প্রতীক। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও পদ্ম ফুলকে পবিত্র মনে করে।

বট গাছ
বটগাছকে বলা হয় ভক্তদের জন্যে ঈশ্বরের দেওয়া আশ্রয়স্থল। বহু প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ ও শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বটগাছ ঐশ্বরিক স্রষ্টাকে উপস্থাপন করে এবং মানব জীবনের দীর্ঘায়ু কামনার প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়। গাছটি 'বট বৃক্ষ' নামেও পরিচিত। এই গাছ উর্বরতার প্রতীক তাই অনেকে বিশ্বাস করেন, এই গাছের পূজা করলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে নিঃসন্তান দম্পতির সহায়তা হতে পারে। বট গাছ কেটে ফেলা অশুভ বলে মনে করা হয়।

বেল গাছ
সনাতন ধর্মে বেল গাছের সঙ্গে শিব ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। বিশ্বাস করা হয়, এর পাতা ও ফল দিয়ে পূজা করলে দেবাদিদেব সন্তুষ্ট হন। বেল গাছের ত্রিনেত্র বিশিষ্ট পাতা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তিন ভগবান - ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর বা শিব যথাক্রমে সৃষ্টি, সংরক্ষণ ও ধ্বংসের প্রতীক। এই পাতাগুলি শিবের তিনটি চোখ হিসেবেও বিবেচিত হয়। এছাড়া, এ গাছের সমস্ত অংশে ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়।

অশোক গাছ
একটি মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ ছায়াদানকারী বৃক্ষ। সুন্দর, সুগন্ধযুক্ত লাল ও হলুদ ফুল ধারণ করে গাছটি। এটিও সনাতন ধর্মে একটি পবিত্র গাছ হিসেবে বিবেচিত হয়। শুধু সনাতন ধর্ম নয়, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মেও এটিকে পবিত্র গাছ হিসেবে মানা হয়। এ গাছের সমস্ত অংশে ঔষধি গুণ রয়েছে। যেমন - স্নায়ুগত রোগ, অর্শ্ব, চর্ম রোগ ইত্যাদিতে খুবই উপকারী।

চন্দন গাছ
চন্দন গাছ সবচেয়ে পবিত্র গাছ হিসেবে বিবেচিত হয় সনাতন ধর্মে। ভারতবর্ষে সমস্ত পূজা অনুষ্ঠানে এটি ব্যবহৃত হয়। তবে চন্দন গাছ সেই অর্থে ব্যবহৃত না হলেও মূলত এর কাঠ ব্যবহৃত হয়, যা অত্যন্ত সুগন্ধযুক্ত। চন্দন কাঠ গুঁড়ো করে পূজায় ব্যবহার করা হয়। ভক্তদের কপাল তিলক কাটতেও ব্যবহৃত হয়; যা ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে।

নিম গাছ
শাস্ত্রে নিম গাছকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। নিমের কাঠ থেকে শুরু করে পাতা- সব কিছুরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। আবার দক্ষিণ দিককে মঙ্গলের দিক মনে করা হয়। নিম গাছ মঙ্গলের পরিস্থিতি নির্ধারণ করে। মঙ্গল শুভ প্রভাব দেবে না কি, অশুভ প্রভাব বিস্তার করবে, তা নিম গাছের পরিস্থিতি দেখে জানা যায়। দক্ষিণ দিকে নিমের বড় গাছ থাকা উচিত। দক্ষিণমুখী বাড়ির প্রবেশদ্বারের দ্বিগুণ দূরত্বে নিমের সবুজ গাছ থাকলে বা দ্বিগুণ বড় বাড়ি থাকলে দক্ষিণ দিকের প্রভাব কমে যায়।

আমলকি
আমলকি স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। আবার একাদশী তিথিতে আমলকির পূজা করলে বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। আমলকি নবমীর দিনে এ গাছের পূজা বিশেষ ফলদায়ী।

শমি
এ গাছের পূজা করলে শনির আশীর্বাদ পাবেন। প্রতি শনিবার শমি গাছের তলায় সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালালে শনি প্রসন্ন হন এবং জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর হয়। এর প্রভাবে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। এ ছাড়া শমির পাতা শিবকে অর্পণ করলে তিনি প্রসন্ন হন।

আম
আবার সনাতন ধর্মে কোনো মঙ্গল অনুষ্ঠানে আম পাতার ব্যবহার লক্ষ করা যায়। লক্ষ্মী পূজায় আমপাতার ব্যবহার করা হয়। আবার বিবাহ বা অন্য কোনো মঙ্গল অনুষ্ঠানে দরজা আমপাতা দিয়ে সাজানো হয়। এমনকি নিয়ম-আচারের আমপল্লবের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। শাস্ত্র অনুযায়ী, ৫ অথবা তার চেয়ে বেশি আম গাছ রোপণ এবং তার যত্ন করলে দুর্লভ যজ্ঞের ফল লাভ করা যায়।

এমএস/এসএন

Header Ad
Header Ad

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সিরিয়ার বর্তমান ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল শারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উচ্ছেদ অভিযানে শীর্ষ ভূমিকায় ছিলেন এই নেতা। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে দেশটির সংবিধান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি সিরিয়ার ২০১২ সালের সংবিধান বাতিল এবং আসাদ সরকারের সংসদ, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিলুপ্তি ঘোষণা করেছেন।

নতুন প্রেসিডেন্ট শারা জানিয়েছেন, তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনসভা গঠন করবেন, যা দেশের শাসন পরিচালনা করবে যতক্ষণ না একটি নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। তিনি আরও বলেন, আসাদবিরোধী সব বিদ্রোহী গোষ্ঠী ভেঙে ফেলা হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একীভূত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গোলাম রাব্বানী। ছবিঃ সংগৃহীত

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এই দাবি তোলেন তিনি। আর সেই পোস্টে কমেন্ট করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এদিকে রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।’

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।’

হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতা-কর্মীরও বিচার কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার কার্যকর করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে অপমানের শামিল।

অথচ, ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সকল নেতা-কর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের সকল শহীদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন। পুনরাবৃত্তি করছি: আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের আচরণ ঠিক তেমন হবে, যেমন আওয়ামী লীগের আচরণ আমাদের প্রতি ৫ আগস্ট না হলে হতো।’

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরাইল ও হামাসের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও ১১০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৩০ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পাশাপাশি হামাস ৫ থাই নাগরিকসহ ৮ জনকে মুক্তি দিবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এই বন্দি বিনিময় হতে যাচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে এটিই তৃতীয় বন্দি বিনিময় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আলজাজিরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিজেদের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তিন ইসরাইলি জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। এরা হলেন আরবেল ইয়েহুদ, আগাম বার্গার এবং গ্যাডি মোশে মোজেস।

এই জিম্মিদের বিনিময়ে যে ১১০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পাচ্ছেন— সে তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৪৮ জন দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড এবং ৩০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কারাবন্দি রয়েছেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার চতুর্থ বন্দিবিনিময়ে ৩ ইসরাইলি পুরুষকে মুক্তি দেবে হামাস।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী তাদের অভিযান জোরদার করেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তুম্মাম শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, আলজাজিরার তথ্যমতে, উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  
ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয়: তারেক রহমান
তৃতীয় বিয়ে করছেন রাখি সাওয়ান্ত, পাত্র পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা!
চার মাসেও সমাধান মেলেনি, ভবনে তালা দিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
অর্থ লুটকারীদের অনেকের কপালে ও নাকে সিজদার দাগ: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ ভারতীয়সহ ১৫ প্রবাসী নিহত
তেজগাঁওয়ে কুতুববাগ দরবার শরিফের ওরস স্থগিত
মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু