শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মাতৃভাষার বিকৃতি রোধের অপরিহার্যতা

একুশ মানে মাথা নোয়াবার নয়, একুশ মানে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। আমরা সেই একমাত্র জাতি, যারা রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে উনিশ শ বায়ান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রাণ দিয়েছি। প্রাণ দিয়েছে বাঙালি তরুণ ছাত্র-জনতা। বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। আমরা জাতি হিসেবে সাহসী আপোসহীন প্রতিবাদী। মাতৃভাষায় অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে আমাদের অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেওয়া পৃথিবীতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। সর্বোপরি বাঙালির এই মহান আত্মত্যাগকে গোটা বিশ্ব স্মরণ করে এ দিবস পালনের মাধ্যমে। সারা বিশ্বে একযোগে এক কণ্ঠে গেয়ে বেড়ায় একুশে ফেব্রুয়ারির গান। পৃথিবীর সকল প্রজন্ম জানবে বাঙালির ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা, জানবে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন জাতিসত্তার কথা। এটি আমাদের গর্ব, বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির গর্ব।

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। অর্থনৈতিক ভিত্তি দিন দিন নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে। পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই মোটেও, আর উন্নতির এই সোপানে এগিয়ে যেতে অমর একুশ এবং রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন প্রতি বছর আমাদের বিশেষভাবে উজ্জীবিত করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, অমর একুশের আজ ৭০ বছর হলেও, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রধান স্লোগান ‘সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োগ হোক’ তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বাংলা ভাষা ব্যবহারে আমাদের যত্ন নেই। শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা, বাংলায় শুদ্ধতা বজায় রাখা, এমনকি নব্য প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা শেখার প্রতি অনাগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এখনো রায় লেখা হয় ঔপনিবেশিক ভাষা ইংরেজিতে। প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও দিন দিন ইংরেজি ভাষার আধিপত্য বাড়ছে, আর বাড়ছে বাংলার প্রতি অবজ্ঞা ঔদাসীন্য। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলা ভাষার অপমৃত্যু দেখতে পাচ্ছেন ভাষাবিদরা।

এছাড়াও দেশের মাটিতে বড়ো হওয়া প্রজন্ম ইংরেজি টোনে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ভাষাকে বিকৃত করে অনায়াসে। তার কারণ; তারা মনপ্রাণে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে, ভিন্ন ভাষা না শিখলে উন্নত হ‌ওয়া যাবে না। এই জন্যে তারা চরমভাবে ইংরেজির প্রতি ঝুঁকছে, এবং রাষ্ট্রও পরোক্ষভাবে তাদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে- সবচেয়ে আকর্ষণীয় চাকরি, ব্যবসা বা অন্যান্য সুযোগ ভোগ করাটা সহজ করে দিয়ে। অন্যদিকে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সাধারণ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন বৈষম্য থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ শ্রেণির মানুষের মধ্যেও ইংরেজির প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে এবং পক্ষান্তরে বাংলার প্রতি তৈরি হচ্ছে অবহেলা ও উপেক্ষা। আমরা কি জাপানি, জার্মানি, চাইনিজ জাতিদের দিকে তাকাতে পারি না, তারা তো ভাষার জন্যে রক্ত দেয়নি। আজ তারা নিজ ভাষা চর্চার করে, নিজ ভাষায় কথা বলেই নিজেদেরকে বিশ্বে সব থেকে উন্নত জাতি হিসাবে গড়ে তুলেছে। চীনা বা জাপানির মতো জটিল চিত্রলিপির ভাষায় যদি উন্নত জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চর্চা চলতে পারে, মহাকাশ গবেষণা ও আণবিক গবেষণা চলতে পারে, তাহলে বাংলার মতো উন্নত ভাষায় তা চলবে না কেন? সেখানে মাতৃভাষার বদলে বিজাতীয় ভাষা ইংরেজির প্রয়োজন হবে কেন? মূলত, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রয়োগের বিষয় আসলেই একশ্রেণীর কাছে বড়ো অনীহা কাজ করে। কোথায় যেন এক ধরনের হীনমন্যতা। কেন এমন করা হয়? এসব প্রশ্নের কোনো জবাব নেই!

১৯৭৮ সালের আইন অনুযায়ী সরকারি অফিস, আদালত, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন ছাড়া অন্য যে কোনো নথি ও চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল-জবাব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলি বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়। এমনকি উল্লিখিত কর্মস্থলে যদি কোনো ব্যক্তি বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন, সেটা বেআইনি ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে। কিন্তু তার বাস্তবায়নের নযির এই পর্যন্ত কোথাও মিলেনি। বিপরীতে ঢাকা রাজধানীর অলিগলি সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড, ব্যানার, পোস্টারেও বানানরীতি যত্ন নেই। কোথাও বিদেশি শব্দ লেখা হয়েছে বাংলায়। আবার কোথাও অহেতুক বাংলা শব্দকে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে। আবার ইংরেজি নাম লেখা হয়েছে বাংলা হরফে। স্টাইল শো, স্টার ফ্যাশন, সেঞ্চুরি, টপ ফ্যাশন, ক্যাটস আই, মনসুন, চাংপাই, ইয়ামী-ইয়ামী ইত্যাদি। ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর পরও ভুল বানানের ছড়াছড়ি সর্বত্র। যুগের পর যুগ নানাভাবে এ বিষয়ে কথা উঠলেও বিপরীতে বাংলার অবমাননা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।

এ ছাড়া এখন ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রছাত্রীর বাংলা শুনলে এটা যে তাদের মাতৃভাষা তা মনে হয় না। কোনো কোনো গণমাধ্যম বা বিজ্ঞাপনে এখন ইংরেজি-বাংলা-হিন্দি-আঞ্চলিক ভাষা মিশিয়ে যে কী বলা হচ্ছে, তার সংজ্ঞা দেওয়া দুষ্কর। তরুণেরা এখন যে ভাষার দিকে ঝুঁকছে, তা না প্রমিত, না বিশেষ কোনো আঞ্চলিক ভাষা। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এসএমএস এবং ই-মেইলের অসম্পূর্ণ শব্দ ও বাক্যের যথেচ্ছ ব্যবহার। ব্যাকরণ, বানান ও প্রথাকে তুচ্ছ করার এই প্রবণতা আত্মহননের সমতুল্য বলে ভাবছেন প্রবীণ বাণীসাধকেরা। মূলত মায়ের ভাষার চর্চাটা পরিবার থেকে উৎসাহিত করতে হবে। এই একুশ আমাদের কেবল গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে মনে করিয়ে দেয়না, দেয় সাবধান বাণীও। মনে করিয়ে দেয় ভাষার স্বাভাবিক মৃত্যুর ইতিহাস। ভাষাবিদেরা লক্ষ করেছেন যে গত শতাব্দী থেকে বিপন্ন কিংবা মৃত ভাষার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট ৪২ হাজার ১৯২টি ভাষার মধ্যে পৃথিবীতে এখন মাত্র ছয় হাজার ভাষা জীবিত। এবং এখন যে হারে ভাষা অবলুপ্ত হচ্ছে, তাতে আগামী ১০০ বছরে ৫০ শতাংশ ভাষা হারিয়ে যাবে। অর্থাৎ, প্রতি দুই সপ্তাহে মৃত্যু হবে অন্তত একটি ভাষা।

সুতরাং বিশ্বায়নের এই যুগে বাইরের আক্রমণ সম্পর্কে যেমন সজাগ থাকতে হয়, তেমনি ঔদাসীন্য ঝেড়ে মাতৃভাষা পরিচর্যায় আরও অনেক বেশি যত্নশীল হওয়ারও কোনো বিকল্প নেই। মানবদেহ যেমন প্রতিদিন খাদ্য ও যত্ন দাবি করে, ভাষাও তেমনি কেবল হৃদয়ে সীমাবদ্ধ নয়, কথায়, কাজে সর্ব হালতে জড়িয়ে নিতে হবে। অনতিবিলম্বে বাংলা ভাষা চর্চা না করার দীনতা পরিহার করতে হবে সবার। কেবল ফেব্রুয়ারি মাস নয়,মায়ের ভাষা বাঁচানোর তাগিদ বছর জুড়ে থাকতে হবে। ভিনদেশী ভাষা চর্চা সংকুচিত করতে হবে। যদি ভাষার প্রতি আমাদের এমন অপ্রত্যাশিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না আনি সামনে পুরা জাতির জন্যে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। যদি বাঙালি জাতি তার মাতৃভাষা হারিয়ে ফেলে, তাহলে তার পূর্বপুরুষের অর্জিত অমূল্য সেই ভান্ডারের দ্বার শুধু তার জন্যই নয়, পুরো মানবজাতির জন্য চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যাবে। পরিশেষে বলি, একুশের শীর্ষ দাবি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হোক। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সর্বমহলে নেওয়া হোক মাতৃভাষা বিকৃতি রোধের অঙ্গীকার।

লেখক: এম. আতহার নূর
শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি