সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

করোনা ও সেশনজটে শিক্ষার্থী জীবন মরণফাঁদে

উন্নয়নশীল ডিজিটালাইজড বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে কাঠামোগত উন্নয়নে দুর্বার গতিতে এগুলেও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেও শিক্ষা ব্যবস্থার মৌলিক উন্নয়ন ঘটেনি। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কবলে দীর্ঘ ৫৪৪ দিন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ বন্ধ ছিলো। দীর্ঘ বন্ধের কারণে সেশনজটের কবলে ছিটকে পড়ছে অসংখ্য শিক্ষার্থী। আবার হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন অনেকেই। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে, গ্লোবালাইজেশনের যুগে শিক্ষাঙ্গনে সেশনজট কোনো ভাবেই মেনে নেয়ার নয়। সেশনজট শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে সব চেয়ে মূল্যবান সম্পদ ‘সময়’। সে সঙ্গে কেড়ে নেওয়া শুরু করেছে মানুষের অমূল্যবান সম্পদ জীবন'ও। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে বেসরকারি সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির তথ্যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর গত দেড় বছরে অন্তত ১৫১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে ৭৩ জন স্কুল শিক্ষার্থী, ৪২ জন বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ২৭ জন কলেজ শিক্ষার্থী ও ৯ জন মাদরাসার শিক্ষার্থী। এদের বেশির ভাগের বয়স ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

করোনাকালে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনের ওপর মানসিক চাপ বেড়েই চলেছে। পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, পরিবারের শাসন, কোনো কিছু বায়না ধরে না পাওয়া, আর্থিক সংকট, পরিবারের অনটন, বিষন্নতা ও একাকিত্বসহ ছোট ছোট সমস্যায়ও অনেকে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আত্মহত্যা করছেন। দীর্ঘবন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে প্রায় দেড় বছর হারিয়ে গেছে। এই দেড় বছর হারিয়ে যাওয়া মানে একজন শিক্ষার্থী দেড় যুগ হারিয়ে পেলেছেন। কারণ মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো শিক্ষা জীবন। এই জীবনের তৎপরতার উপর তার ভবিষ্যৎ জীবন ঠাঁয় দাড়িয়ে। তাই এই জীবনে সময় নষ্ট হওয়া কোনো ভাবেই মেনে নেয়ার নয়। কিন্তু মানুষ প্রকৃতির দায় এড়িয়ে চলতে পারেনা। প্রাকৃতিক মহামারি আমাদেরকে মেনে নিতেই হবে। তাই উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

২০২০ সালের মে থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা ও জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় ডিভাইসের অভাব, দুর্বল ও ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তির উচ্চমূল্যের কারণে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর পক্ষেই অনলাইনে ক্লাস করা সম্ভব হয় নাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নতুন ব্যাচের ভর্তিও পিছিয়ে আছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোয় অন্তত ৫০০ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিলো।২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠান খুললেও করোনার নতুন মাত্রায় ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের জানুয়ারি ২০২২ এর ২১ তারিখ থেকে পুণরায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যা ক্রমবর্ধমান হারে আগের মত বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান পুনরায় বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছে। শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় আবারও ঘটল ছন্দপতন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষার তারিখ নিয়ে ছেলেখেলা চলছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান ও ঘোষিত পরিক্ষা ব্যতিত অন্যান্য পরিক্ষা না নেয়ার সীদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ক্লাস শেষ হলেও পরিক্ষার তারিখ অঘোষিত থাকায় পরিক্ষার হলে বসতে পারছে না।

এভাবে দিনের পর দিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা শিক্ষাবিদগণের দৃষ্টিতে শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্বংসরূপ। ২১জানুয়ারি যে ৬টি নির্দেশনা জারী করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয় সেখানে ৩ নম্বর নির্দেশনায় বলা হয় রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি যোগদান করতে পারবেন না। আর যারা অংশ গ্রহণ করবে তাদের ভ্যাকসিন সনদ থাকতে হবে। রাষ্ট্রে বিভিন্ন স্তরে ১০০ জনের বিধি চালু থাকলে তা প্রতিষ্ঠানেও চালু করা জরুরি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা ৬০-৮০ জন। সরকার চাইলে জোড়-বেজোড় রোল বিভাজন করে একদিন পর একদিন স্বশরীরে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। দেশের সবচেয়ে সচেতন মহল হলো শিক্ষার্থী সমাজ কিন্তু তথাপিও শিক্ষার্থীদের ঘর বন্দী করার পায়তারা চলছে। এদিকে বাণিজ্য মেলা, হাট-বাজার, কলকারখানা, নির্বাচনসহ সবকিছুই দিব্যি চলছে। যা আসলেই সচেতন মহলের হিতকর বিষয় না। দিনের পর দিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা করোনায় না মরে হতাশায় আত্মহত্যা করে মারা যাচ্ছেন। সরকার বারবার অনলাইন ক্লাসের কথা বললেও তা সিঁকি পরিমাণ উপকার বয়ে আনেনি। অনেকাংশে শিক্ষকরা নিজেরাই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। বাস্তবিক জটিলতায় শিক্ষার্থীরা চাইলেও অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হয়ে ক্লাসের উপকারিতা লাভ করতে পারছেন না। ফলে অনলাইন ক্লাস নাম মাত্র ক্লাসে পরিণত হয়েছে।অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হলেও পরিক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রথম দিকে ক্লাসে উপস্থিতির নম্বর না থাকার কথা ঘোষনা দিলেও শিক্ষকরা সেকথা রাখেন নি বরং নিজের পছন্দ তালিকা মত শিক্ষার্থীদের নম্বর দিয়েছেন।যাতে শিক্ষার্থীদের বেশ অসস্তির বেগ পোহাতে হয়েছে।

এদিকে ডেল্টা, ওমিক্রন, ফ্লোরোনা, ইহুর পর নিওকভ (NeoCov) নামক নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে উহানের বিজ্ঞানীরা এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা জানিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসের যতগুলি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে তারমধ্যে নিওকভ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। গবেষকদের মতে, এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার ভাইরাসের বিশ্লেষণে দেখা যায় তা বারবার নতুন নতুন রূপ ধারণ করবে। পৃথিবী থেকে করোনা চলে যাওয়ার কোনোরূপ সম্ভাবনা যেহেতু নাই সেহেতু করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সমীচীন নয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যখন করোনা মোকাবেলায় ঔষধ আবিষ্কারে ব্যস্ত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বারান্দায় তখন ধুলোবালি ও ঘাস জন্মেছে।
সরকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেশনজট নিরসনের বিবিধ পরিকল্পনা প্রণয়ণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেশনজট নিরসন সম্ভব হয়নি। দেশের অধিকাংশ বিশ্বদ্যিালয় গুলোতে আগে থেকেই সেশনজট লেগে আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কতেক বিভাগে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স সম্পন্ন করতে কমপক্ষে সময় লাগে ৬-৭ বছর, কোন কোন ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি, তার পর আবার মাস্টার্স। সেশন জট যে কত্তো কত্তো প্যারাময় ছাত্র জীবন তা সম্মুখীন না হলে বুঝা বড়দায়। একটি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ মাসের সেমিষ্টার শেষ করতে ১০/১১ মাস সময় লাগে, ৪ বছরের কোর্স সম্পন্ন করতে ৬/৭ বছর লাগে, বিষয়টি ভাবতেও অবাক হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে করোনার কারণে আবার নতুন মাত্রায় সেশনজট যুক্ত হলো। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিক্ষার অনুমতি থাকলেও পরিক্ষা গ্রহণ পূর্বক সেশনজট নিরসন করার কোনো উদ্যোগই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করছেন না। ফলে চার বছরের অনার্স শেষ করতে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮/৯ বছর লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য “মরার উপর খাঁড়ার ঘা”হয়ে দাড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন অবস্থার দরুন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ রসাতলে।

বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭২.৬ বছর। কিন্তু এই ক্ষণিক জীবনের বৃহদাংশই যদি শিক্ষার্জন ও শিক্ষার্থী হিসেবে কেটে যায় তাহলে শিক্ষার্থী তার বাকি কাজ কখন করবে? শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করতে সময় লাগে প্রায় ১৩/১৪ বছর, স্নাতক (পাস ও অনার্স) সম্পন্ন করতে সময় লাগে ৬/৭ বছর, স্নাতকোত্তরে সময় লাগে আরো ১.৫/২ বছর। সব মিলিয়ে মাস্টার্স পাস করতে সময় লাগে ২৫/২৬ বছর। ৫ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে প্রায় ২৬-২৮ বছর বয়স সময় লাগে। বাংলাদেশের চাকুরির বাজার আজিব প্রকৃতির।এখানে শিক্ষার্থীর একাডেমিয়ায় নির্ধারিত বিষয়ের উপর মূল্যায়ন না করে তার বিপরীত ধর্মী পড়াশোনার মাপকাঠিতে মুল্যায়ন করে চাকুরি দেয়া হয়। আমরা জানি বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্র বয়সের সময়সীমা ৩০ বছর। তাহলে কখন পড়াশোনা শেষ করবে আর কখন চাকরির প্রস্তুতি নিয়ে চাকুরিতে প্রবেশ করবে। তাই শিক্ষার্থীরা আজ হতাশার গ্লানি টেনে টেনে দিনাতিপাত করছে। যা শিক্ষার্থীর গবেষণালদ্ধ জ্ঞানার্জনে সর্বপ্রধান অন্তরায়। আজকে সেশন জটে শিক্ষার্থীর বলি হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তিতে রয়েছে অভিভাবরাও। দিন মজুর, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, সাধারণ কৃষক পিতা পরিবারে তিন বেলা ভাত জুটাতে না পরলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সন্তানকে মাসে নূন্যতম টাকাটা দিতে হচ্ছে। যা প্রতিটা নিম্নবিত্ত/মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যই মহাকষ্টের।
এমতাবস্থায় সরকার কোন শ্রেণী কত বছরে সম্পন্ন করতে হবে তা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সময় নির্ধারণ করে দেয়া জরুরি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন করে ভাবতে হবে।ইউজিসি ও সরকারকে বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করতঃ সমাধানের পন্থা বের করতে হবে। নচেৎ এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ গণ-আত্মহনন ও সার্টিফিকেট ধারী মূর্খের দেশে পরিণত হবে।

 

 

লেখক
মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
শিক্ষার্থী ,ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে