শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

 কর্মফল নিয়তে নির্ভর

কবিরা গোনাহকারীদের অধিকাংশ যদিও নফসে তাড়িত হয়ে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে গোনাহ করে থাকে তবে তাদের ক্ষুদ্রাংশ কিন্তু পারস্পরিক কখনও সামাজিক, কখনও রাজনৈতিক, কখনও রাষ্ট্রীয় চাপে কবিরা গোনাহ করতে বাধ্য হয়। তাহাজ্জুদগুজারিদের বড় অংশ যদিও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় রাত জাগরণ করে থাকে। তবে একটা অংশ কিন্তু লোক দেখানো, পদ টিকানোর জন্য তাহাজ্জুদে দাঁড়ায়। যে উদ্দেশ্যেই কবিরা গোনাহ করুক না কেন, গোনাহকারী কিন্তু সমাজরে চোখে ঘৃণ্য। আবার যে উদ্দেশ্যেই তাহাজ্জুদে দাঁড়াক না কেন, দণ্ডায়মান ব্যক্তি কিন্তু সমাজের চোখে পুণ্যবান। আমরা অনেকাংশেই সমাজ, রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতির জন্য নিজের আমিত্বকে বিসর্জন দিই আবার ক্রন্দন করি। আমাদের উচিত সব ক্ষেত্রে নিজেদের আমিত্বকে টিকিয়ে রাখা, তবে অহংবোধে নয়। কাল কেয়ামতের মাঠে কিন্তু আপন আমির হিসাব দিতে হবে, সমাজ বা রাষ্ট্রের নয়।

রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় সব আমলের ফলাফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ সুতরাং প্রত্যেক মানুষ (পরকালে) তাই পাবে যা সে নিয়ত করবে। যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসুলের উদ্দেশ্যে হিজরত করে, তার হিরজত আল্লাহ এবং তার রাসুলের উদ্দেশেই হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়া হাসিলের কিংবা কোনো নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে হিজরত করে, তার হিজরত সেই উদ্দেশ্যেই গণ্য হবে যে উদ্দেশ্যে সে হিজরত করেছে। (বোখারি)

এই হাদিসের সঙ্গে একটি ঘটনাও উল্লেখ করা হয়, যখন মুসলমানরা মক্কার কাফের সম্প্রদায়ের দেওয়া জুলুম-নির্যাতন আর কষ্ট সহ্য করতে পারছিল না তখন মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুমে হিজরত করে। সবার উদ্দেশ্য ছিল মদিনায় সহজভাবে মহান আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) এর আনুগত্য করা। তাই হিজরত করে মদিনায় গমন করেন। কিন্তু তাদের মাঝে একজন লোক এই কারণে হিজরত করে যে, হিজরতকারীদের মাঝে একজন মহিলা ছিল, ওই মহিলাকে বিয়ে করার জন্য সবার সঙ্গে হিজরত করে। এই কথা রাসুল (সা.) জানার পর তিনি বলেন- ‘যে আল্লাহ ও তার রাসুলের উদ্দেশ্যে হিজরত করেছে তার হিজরত সেই হিসেবেই গণ্য হবে, অর্থাৎ তারা উত্তম বিনিময় পাবে। আর যে দুনিয়া লাভ বা কোনো নারীকে বিয়ে করার জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরতও সেভাবেই গ্রহণ করা হবে, পরকালে তার কোনো উত্তম বিনিময় থাকবে না।

পৃথিবীতে মানুষ নানা নিয়তে নানা কাজ করে থাকে। কেউ জ্ঞানার্জন করে নিজেকে জ্ঞানীরূপে জাহির করার জন্য, কেউ লেখালেখি করে নিজেকে লেখকরূপে হাজির করতে, কেউ হজ করে আলহাজ হতে, কেউ দান করে দানবীর হতে, কেউ পীর হয় হাদিয়া পেতে, কেউ দরবেশ হয় ভণ্ডামি করতে। বিচিত্র পৃথিবীতে কাজের ধরন এক, উদ্দেশ্য আরেক।

কেয়ামতের দিন তিনজনকে প্রথমে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে। তারা হলো জ্ঞানী, মুজাহিদ ও দাতা। আল্লাহ জ্ঞানী বা আলেমকে প্রশ্ন করবেন, ‘তুমি দুনিয়ায় কী করেছ?’ সে বলবে, ‘আমি আপনার জন্য জ্ঞান অর্জন করেছিলাম ও আপনার সন্তুষ্টির জন্য সেই জ্ঞান দান করেছি।’ তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি মিথ্যা বলেছ। তুমি জ্ঞান অর্জন করেছ যেন তোমাকে জ্ঞানী বলা হয়। তুমি যা চেয়েছিলে তা দুনিয়াতে পেয়ে গিয়েছ।’

তখন আদেশ করা হবে সেই জ্ঞানীকে দোজখে ফেলে দেওয়ার জন্য। দানকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন, ‘তুমি দুনিয়ায় কী করেছ?’ সে বলবে, ‘আমি আপনার জন্য হালালভাবে সম্পদ অর্জন করেছিলাম ও আপনার পথে তা দান করেছি।’ তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি মিথ্যা বলেছ। তুমি সম্পদ দান করেছ যেন তোমাকে দাতা বলা হয়।’ তুমি যা চেয়েছিলে তা দুনিয়াতে পেয়ে গিয়েছ। তখন আদেশ করা হবে সেই দাতাকে দোজখে ফেলে দেওয়ার জন্য। মুজাহিদকে প্রশ্ন করা হবে, ‘তুমি দুনিয়ায় কী করেছিলে?’ সে বলবে, ‘আমি আপনার জন্য মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করেছিলাম।’

তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি মিথ্যাবাদী। তুমি এজন্য লড়াই করেছ, যেন তোমাকে বীর যোদ্ধা বলা হয় ও তাই হয়েছে। তুমি দুনিয়াতেই তোমার পুরস্কার পেয়ে গিয়েছ।’ এরপর তাকে দোজখে ফেলে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হবে। মানুষ প্রচুর আমল করতে পারে; কিন্তু কবুলের প্রশ্ন আসবে ওইসব আমলে যেখানে ইখলাস আছে। যে আমলে ইখলাস নেই, তাতে কবুলের প্রশ্নই আসবে না। কারণ কবুল শুধু ওই আমলের সঙ্গে খাস করে দেওয়া হয়েছে যেখানে ইখলাসের ভারি উপস্থিতি আছে।

মোদ্দাকথা হলো, মানুষ যে কাজ করে, তা অন্তত তিনটি স্তরে সম্পাদিত হয় মানুষের অন্তরে। অন্তরের এই তিনটি ধাপ অতিক্রম না করে কোনো কাজই হওয়া সম্ভব নয়। কারও মনে যে কাজের কোনো ধারণাই নেই, যে কাজ সম্পর্কে কোনো জ্ঞান রাখে না, যে কাজ করার সিদ্ধান্ত অন্তরে নেই- তার পক্ষে সে কাজ করা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। মনের তিনটি স্তরের চূড়ান্ত স্তর বা শেষ স্তর হলো নিয়ত। সব কাজের ক্ষেত্রে এই নিয়তটাই মূল বিষয়। কারণ নিয়তটাই কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আসল চালিকাশক্তি। আর নিজের কাজটাকে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন করার নাম হলো ইখলাস এবং ইখলাস ইমানের অংশবিশেষ। মোমিন ব্যক্তির জীবনের প্রতিটি কাজ হতে হবে একমাত্র মহান স্রষ্টা আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এটাই ইখলাসের সার কথা। এ কথার অর্থ এটা নয় যে, জীবনের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করে সারাক্ষণ নামাজ, রোজা, তাসবিহ, তেলাওয়াত নিয়ে পড়ে থাকতে হবে।

মনে রাখা দরকার, মানুষকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ। আর আল্লাহই মানুষের জীবনকে প্রয়োজনের মুখাপেক্ষী করেছেন। তাই জীবন ও জগতের গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের নামই প্রকৃত ধার্মিকতা। নিজের প্রয়োজনে কাজটাকে মহান আল্লাহর বাতলে দেওয়া পথ ও পন্থায় সম্পন্ন করা এবং তাতে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের নিয়ত করাই ইখলাস। নিজের জীবনের কার্যাবলিকে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য করার মধ্যেই ঈমানের সব থেকে বড় পরিচয়। মহান আল্লাহ বান্দার আমলের বাহ্যিক আড়ম্বরের প্রতি বিন্দুমাত্র লক্ষ্য করেন না। বান্দার অন্তরের নিখাঁদ ইখলাসটুকুই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একমাত্র কাম্য। এরশাদ হয়েছে, ‘বলে দাও, আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ একমাত্র সমগ্র জগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য নিবেদিত, তার কোনো শরিক নেই। আমি এ বিষয়েই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম আনুগত্যকারী।’ (সুরা আনআম : ১৬২-১৬৩)। মোমিন বান্দা তার আমলের সওয়াব বা পুরস্কার কতটুকু পাবে সেটা নির্ভর করে তার নিয়তের ওপর। অর্থাৎ নিয়ত দ্বারাই আমলের মান নির্ধারিত হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমলের বিনিময় বা সওয়াব নির্ধারিত হবে নিয়তের ভিত্তিতে। আর প্রত্যেক ব্যক্তি সেরকমই সওয়াব পাবে যেরকম সে নিয়ত করেছে।’ (বোখারি)। ‘ইন্নামাল আলামু বিন্নিয়্যাত।’ নিয়তগুণে কর্ম- হাদিসটি বিশেষভাবে ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ ছোট্ট একটা ভালো কাজ নিয়তের কারণে সীমাহীন সওয়াব এনে দেয়। আবার অনেক বড় ইবাদাতও গোনাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

হজরত আবু উমামা বাহেলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ কেবল বান্দার সে আমলকেই গ্রহণ করবেন, যা একমাত্র তাঁর উদ্দেশ্যে নিবেদিত এবং যে আমলটা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’ (নাসায়ি)।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের চেহারা ও সম্পদ দেখেন না, তিনি দেখেন তোমাদের অন্তর এবং তোমাদের আমল।’ (মুসলিম)। নিয়তের যে বিশুদ্ধতা বান্দার আমলকে আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য করে তোলে, সেটা বান্দার ঈমানের অংশ। এ বিষয়টি একটি হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে।

হজরত আবু ফেরাছ (রা.) থেকে বর্ণিত, (আবু ফেরাছ ছিলেন আসলাম গোত্রের লোক) তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! ইমান কি?’ উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘ইখলাসই হলো ঈমান’ (বায়হাকি)। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মোমিন ব্যক্তির নিয়ত, তার আমল অপেক্ষা উত্তম।’

আসলে নিয়ত হলো অন্তরের আমল। আর নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতসহ যাবতীয় ইবাদত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল অন্তরের আমলকেই প্রকাশ করে। অন্তরের আমল হয় আগে এবং অন্তরের আমলের পথ ধরেই আসে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল। তাই অন্তরের আমল তথা নিয়তের মূল্যই বেশি। আর মহান আল্লাহ বান্দাকে এই অন্তরের আমলকেই পরিশুদ্ধ করতে আদেশ করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তারা তো কেবল ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদাত করতে, একনিষ্ঠভাবে নামাজ কায়েম করতে, জাকাত প্রদান করতে আদিষ্ট হয়েছে। আর এটাই খাঁটি ধর্ম।’ (সুরা আল বায়্যিনাহ : ৬)। মহান প্রভু আমাদেরকে নিয়তের বিশুদ্ধতাপূর্বক আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।



লেখক:
মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
শিক্ষার্থী,ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

Header Ad
Header Ad

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। সর্বশেষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। একইভাবে ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায় নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু এরপর থেকে দুই দশকের বেশি সময়েও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের দৃশ্য দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “ওদের ক্যারিয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ ছিল। মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ওদের প্রাপ্য ছিল। যারা ভালোবেসেছে ও সমর্থন দিয়েছে, তারাও চাইত গ্যালারি ভরা দর্শকের হাততালির মধ্যে তারা বিদায় নিক। কিন্তু সেই সুযোগটা আর হলো না। কেন মাঠে অবসর নেয়নি, সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।”

অনেকে মনে করেন, বোর্ডের পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে। তবে সুজন এই দাবির সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “যখন আমি অবসর নিয়েছিলাম, আগেই জানিয়েছিলাম সেটাই আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু যদি কেউ না জানায়, বোর্ড বুঝবে কীভাবে? ক্রিকেটাররা আগেই বললে বোর্ডও সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে পারে।”

সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে এবং মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তাদের এমন সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন সুজন। তার মতে, “ওরা চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন খেলতে পারত। কিন্তু মাঠ থেকে বিদায় নিলে সেটা আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত।”

মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা না গেলে ভবিষ্যতেও এই ধরনের পরিস্থিতি চলতেই থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৩ মার্চ এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহফুজ আলম গত ১২ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন যে, “জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল।” মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বলেন, মাহফুজ আলম জামায়াত সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা আসলে একটি প্রতিবেশি দেশের গুপ্তচর শাহরিয়ার কবিরদের ভাষার অনুকরণ।

তিনি আরও বলেন, মাহফুজ আলমের উচিত স্মরণ রাখা যে, তিনি একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে এমন মন্তব্য করার অধিকার তার নেই। এমন মন্তব্য দিয়ে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অরাজনৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার উল্লেখ করেন যে, শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গঠিত তদন্ত কমিশনেও জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি অধ্যাপক গোলাম আযম সুপ্রিম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের প্রভাবিত বিচার এবং স্কাইপ কেলেঙ্কারি, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য এবং সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য এই বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নত আল জামায়াতের অনুসারী এবং এর আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আশা প্রকাশ করেন যে, মাহফুজ আলম তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

শফিউল আজম টুটুলকে আহ্বায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে সদস্য সচিব করে নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই কমিটি অনুমোদন দেন।

কমিটির অন্যান্য নেতারা হলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান কামরুজ্জামান কামাল,মো. জাহাঙ্গীর আলম গুলজার, শামিম নুর আলম শিপলু,মো. মাহমুদ হাসান,গোলাম মোস্তফা তাতু,আলম তাজ তাজু,মো. মিজানুর রহমান রনি, মো. মামুনুর রশিদ,আব্দুল্লাহ আল মামুন শিমুল,হাসিবুর রহমান প্লাবন,মো. নূর নবী,মো. আব্দুল বারী তুহিন,মো. রাগিব শাহরিয়ার কৌশিক,মো. শহিদুজ্জামান সৌরভ,মো. ফারহিম ইসলাম মুন্না।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়া সদস্যরা হলেন, আব্দুল বারী হিরা, মহসিন আলী,মুশফিকুর রহমান সুজন চৌধুরী,মেহেদী হাসান পলাশ,মো. হেলাল উদ্দিন,আরিফুল ইসলাম বাপ্পী,স্বাধীন সরদার,কে এম রাব্বি রিফাত স্বচ্ছ,মো. সুরুজ সরকার,মো. মামুনুর রশিদ বুলেট,মো. মাসুদ রানা,মো. শাহরিয়ার হক রাজু,মো. সালমান ফারসী রাজ,মো. শামীম হোসেন, মো. ইস্রাফিল আলম তিতাস,মো. রায়হানুল ইসলাম রিপন,মো.শামস বিন আইয়ুব,মো. আশাদুল ইসলাম,মো. রুহুল আমিন মল্লিক,মো. ইশতিয়াক আহমেদ মিনার,মো. এনামুল হক (দপ্তরের দায়িত্বে),মো. রাকিন হোসেন (সহ-দপ্তরের দায়িত্বে),মো. পাঠান মুরাদ,মো. আশিক আহমেদ শাওন,মো. সবুজ হোসেন,মো. ডলার,শ.ম. আলেফ হোসেন সুমন,মো. শহীদুজ্জামান মুরাদ,মো. রিপন রেজা, এ্যাড, আলতাফ হোসেন উজ্জল,সোহেলী আক্তার শুভ,সোহাগ কুমার কর্মকার,মোঃ ওমর ফারুক (ওমর),মো. স্বাধীন আহমেদ।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
আছিয়ার মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হবে
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল
ধর্ষণের হুমকি পেলেন ভাইরাল কন্যা ফারজানা সিঁথি, অতঃপর...
যমুনা সেতু মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২৫
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি
চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল
টাঙ্গাইলে ‘বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস ও বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’র নাম পরিবর্তন