সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

একুশ শতকের কৃষি ও রাজনীতি

কৃষকের মাঠে মাঠে এখন পাকা ধানের গন্ধ। পাকা ধানের গন্ধের চাইতে কৃষকের কাছে সুখকর সংবাদ আর কি হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে আরো কয়েকটি এমন সুখের সংবাদে ফেসবুক সয়লাব হয়ে আছে সেটা হল ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে।

আশা জাগানিয়া এ খবরে আমরা আশাবাদী হতেই পারি। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, যে কৃষক ধান উৎপাদন করছে সেই কৃষকের ধান কাটার আর্থিক সামর্থ্য থাকছে না। কেন থাকছে না নেই এটা ভাববার বিষয়। কৃষির অতি যান্ত্রিকিকরণ, কৃষিপণ্যের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত না হওয়া, উৎপাদন কৌশলের বিবর্তন, কৃষি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসুত্রিতা ইত্যাদি কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে খাতগুলোর সমস্যা আজও সমাধান হয়নি বলতে গেলে অবহেলিত সেগুলোর মধ্যে কৃষি খাত অন্যতম। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য অনিশ্চিত, মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপটে কৃষি পণ্য বিপণন এর ক্ষেত্রে জমে থাকা সমস্যা, উত্তরাঞ্চলে উৎপাদন মৌসুমে হিমাগারের অভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া আলু কৃষির বড় সমস্যাগুলোর অন্যতম।

উল্টো ধনি ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত উদ্দ্যেগে তৈরি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করে পাঁচ গুণ লাভ ঘরে তুললেও কৃষক সেই মূল্য ভরা মৌসুমে পায় না। যে হারে কৃষি পণ্য উৎপাদনের উপকরণের দাম বেড়েছে ধানের দাম সেভাবে বাড়েনি কিন্তু সরকার গত মাসে মজুদ ঘাটতি দেখিয়ে ইউরিয়া সার কেজিপ্রতি ৫ টাকা হারে বাড়িয়েছে। অন্যান্য সারও কীটনাশক থেকে শুরু করে উৎপাদিত কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ, কৃষিই দেশের সমৃদ্ধির মূল কারণ। দীর্ঘদিন ধরে এই কৃষকই বাঁচিয়ে রেখেছে গরীব এই দেশটিকে। সমস্যা একটাই এই তথ্যটি যতটা কাগজে-কলমে ততটা বাস্তবে নেই।

প্রত্যেকটা কৃষি পণ্যের দাম গ্রাম থেকে শুরু করে রাজধানীতে মূল্য ব্যবধান প্রায় তিনগুণ। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন মোড়ে মোড়ে চাঁদা দিতেই তাদের এই পর্বত সমান ব্যবধান তৈরি হয় এতে তাদের আসলে করার কিছুই থাকে না। এই প্রচলিত সমস্যাটাও ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে চড় সমস্যা বলে অনেকেই মনে করে।

কৃষিতে বিগত তিন দশকের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দিক যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে সেটা যতটা না কৃষকের অনুকূলে ছিল তার চাইতে বেশি ছিল ব্যবসায়ীদের অনুকূলে। চাউলের দাম বেড়েছে দফায় দফায়। আমরা কি জানি এই দাম বাড়ার অতিরিক্ত অর্থ কৃষক কতটুকু পায়? তাদের ধানের দাম আদতে বেড়েছে কিনা?

১ কেজি সুগন্ধি ধান কৃষক সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে। কৃষকের সেই ধান যখন চাউল হয়ে ভোক্তা পযার্য়ে পৌছায় তখন সেটার দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০ টাকা। এখানে বঞ্চিত, শোষিত কৃষক বরাবরের মত উপকৃত ব্যবসায়ীরা। সরকার সবসময়ই বলে আসছে সে কৃষি বান্ধব। সরকার কি জানে শতকরা ৪% হারে প্রণোদনার কৃষি ঋণ কয়জন কৃষক পায়। পেলেও সেই টাকা হাতে আসা পযর্ন্ত সংশ্লিষ্টদের কতটা তৈল মর্দন করতে হয়।
এভাবেই বিভিন্ন সময় কৃষকের উন্নতির নামের সরাসরি উন্নতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশের পাট, মাছ, সবজি, চিংড়ি, ফল রপ্তানির বাজার দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে, বিশ্বে নতুন বাজার সন্ধান করে রপ্তানি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি কৃষকদের দীর্ঘদিনের। সরকার সেদিকে নজর দেয়নি কোন দিন। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বিক্রি হয় ভারতীয় সবজি । গত ২০১৯ সালে রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে সাত থেকে আট লক্ষ টন আলু আমদানির ইচ্ছা পোষণ করলেও সরকার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা বলে সঠিক সময়ে সেটা করতে পারেনি। ঠিক একই ভাবে ২০১৭ সাল থেকে জাপান ও ইংল্যান্ড খিরশাপাতি আম আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করলেও ঝুলে আছে সে প্রক্রিয়া। সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও বিগত তিন দশকে কোন সরকারই কৃষকেদের এই জমে থাকা সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেনি। তথাপিও কৃষকদের উদ্ভাবনী শক্তির অবদানে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ কৃষি পণ্য উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে। ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপশি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে আমরা কম আয়তন নিয়েও আরো বেশি দূর এগোতে পারতাম তবু ও স্বাধীনতার ৫২ বছরে বিশ্ব দরবারে আমাদের কিছু সাফল্য সবার নজর কাড়ে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফওএ, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থমন্ত্রণালয়, ইউএসএ কৃষি বিভাগ ২০২১ সালে একটি আশাব্যঞ্জক পরিসংখ্যান তুলে ধরে সেখানে দেখানো হয় বিশ্বের বেশ কয়েকটি খাতে বাংলাদেশ বিশ্বে শ্রেষ্ঠতম অবস্থান ধরে রেখেছে। বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে ইলিশ উৎপাদনে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে, পাট উৎপাদনে অর্জন করেছে দ্বিতীয় অবস্থান। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয়, আম উৎপাদনে অষ্টম, কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, ধান উৎপাদনের চতুর্থ, প্রবাসী-আয় অর্জনে অষ্টম। এখানে ভারত প্রথম, দ্বিতীয় আমরা, ভালো করেছি কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের কি আরো ভালো করার সুযোগ ছিল না! অবশ্যই ছিল, কিন্তু কেন সেটা হলো না।

ছাত্রলীগের কর্মীরা মাঠে ধান কাটার যে মিডিয়া কাভারেজ আমরা দেখি, দরিদ্র কৃষকের অর্থসাশ্রয় করার যে প্রচেষ্টা আমরা দেখি তার চাইতে বেশি জরুরী কৃষকের সকল জাতীয় সমস্যার সমাধান। এভাবে কৃষকের জমিতে ধান কাটার মায়াকান্না না করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠা বেশি জরুরী। একুশ শতকে ভারত ও চায়নার কৃষির কাছাকাছি যেতে হলে এছাড়া আর কোন গত্যন্তর আছে কি? আর যদি আমরা সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে না পারি তাহলে উৎপাদনমুখি বিশ্বব্যবস্থায় আমরা দুর্ভিক্ষকে বরণ করে নিতে বাধ্য হবো। সবচেয়ে বড় কথা হলো বিশ্বায়নের এই যুগে কৃষিকে না বাঁচিয়ে বাঁচবো না আমরা, বাঁচবে না আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি কৃষি ও সংস্কৃতি।

 

 লেখক: প্রাবন্ধিক, গল্পকার ও শিক্ষা গবেষক

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে