শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খাঁচা

রাতের বেলা সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন সে ছাঁদ থেকে টুকটাক খাবার সংগ্রহ করে—এই তার অপরাধ। খাবার বলতে তেমন কিছুই না—একটা দুটো কচি সসা, দুটো লাউয়ের ডগা, মিষ্টি কুমড়োর নবীন ফুল—এই সব। নিজের জন্য যতটুকু পারে ছাঁদে বসেই ইচ্ছে মতো খেয়ে নেয় সে। কেননা বাসায় ফিরে অনেক কাজ থাকে তার। দুধের বাচ্চাটাকে স্তন্য দিতে হয়। মরদটা গোস্বা করে থাকে—তার মান ভাঙাতে হয়। বাসায় বসে সে বাচ্চাগুলোকে পাহাড়া দেয়। বিড়াল আর সাপদের থেকে নিরাপদ রাখতে সেও খুব খাটে; সতর্ক থাকে। সে জন্য স্পেশাল কিছু নিতেই হয়। ছোটবোন পোয়াতী সতীনটাও আজকাল আর খাবারের সন্ধানে বেরোতে পারে না। তার জন্যেও কিছু নিয়ে যেতে হয়।

অবশ্য আগে ওরা কেউ বাসার ছাঁদে আসতো না। নিচে থেকেই প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করতো। ছাঁদ থেকে জানালার কার্নিস বেয়ে লাফিয়ে সোজা সজনে গাছটায় উপরে পড়তো। তারপর গাছ বেয়ে সদলবলে নিচে নেমে ড্রেনের ধার দিয়ে কিছুক্ষণ এগোলেই সম্ভু কাকার লন্ড্রির দোকান। পাশেই হরিদার টি স্টল। এখানেই কাকারা ওদের জন্য খাবার স্টোর করে রাখতো—বিস্কুটের ভাঙ্গা টুকরো, পঁচা পাউরুটি, কলা, লাড্ডুর অংশবিশেষ এইসব। ভোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়ে যাওয়ার আগেই ওরা ওখানে পৌঁছে যেতো। তারপর সবাই মিলে ভোজনের উৎসব শেষে বাসায় ফিরতো। ভালোই চলছিল উৎসবমুখর এই জীবন। ছেলেপুলে নিয়ে বেশ আরামেই দিন কাটছিল। তারপর হঠাৎ এই ছন্দপতন।

সেদিন ছিল শুক্রবার। হঠাৎ দেখা গেলো সকালবেলাটায় দুজন লোক সজনে গাছটার গোড়া খুঁড়ছে। একটু পরেই সজনে গাছটা হুড়মুড় করে পড়ে গেলো। সকাল পেরিয়ে দুপুর হতেই সম্ভুকাকার লন্ড্রীর দোকান, হরিকাকার চায়ের দোকান উধাও! এখন ওখানটাই একটা দশতলা প্রজেক্ট হবে। নিচেয় শোরুম আর উপরে বাসাবাড়ি-ফ্লাট!

ভাবতে ভাবতে নিকট অতীতের কথা মনে হতেই বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। সেবার আম্ফান ঝড়ে বাবা মা মারা যাওয়ার পর এই সজনে গাছের ডালেই তো প্রথম পরিচয় হয় মরদটার সাথে। এই তো সেদিন ছোট বোনটাকে নিয়ে মরদটার সাথে সে সংসার শুরু করলো।

ছোটবোনটা এখন সতীন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী; অংশীদার। মরদটার ভাগ দিতে হয়। সে সব অবশ্য মেনে নিয়েছে সে। মনকে শান্তনা দেয়, মরদটাতো তাকে ছেড়ে চলেও যেতে পারতো—কিন্তু যায় নি তো; তার ঘরেই আছে। প্রফেসর সাহেবের বাসার শয়তান মাগীটা চেষ্টার তো কম করে নি মরদটাকে ভাগানোর। দুবোনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাগীটা পারে নি; হার মানে। তাছাড়া এমন পায়ের উপর পা তুলে কাঠানোর সুযোগ কয়টা ধেঁড়ে জীবনে পায়? দুই বোনের এক মরদ তো মানুষের মধ্যেও দেখা যায়।

নানাবিধ ভাবনা চিন্তা বন্দিনীর মাথায় ঘুরপাক খায়। ঘরে দু'দিনের দুধের বাচ্চাটা রয়েছে। ছোটবোন সতীনটাও পোয়াতি। মরদের কথা না হয় বাদই দিলাম। এখন ওদের খাবারের জোগাড় কী করে হবে?

হাটখোলা বাজারটাও তো অনেক দূরে। তাছাড়া অত দূরে যাওয়াটাও বেশ ঝুকিপূর্ণ। পৌরসভার কাউন্সিলর তোফাজ্জেলের বাসার মেচি বিড়ালটা একটা ঘাতক; অসভ্য জানোয়ার। আমরা কি তোদের কোনো ক্ষতি করেছি কখনো; যে দেখলেই তেড়ে আসিস। ধরে ধরে মারিস। সাহেব তোদের দুধ কলা দিয়ে পোষে ঠিক আছে। তাই বলে কি, সাহেবদের মন রক্ষায় তোদের নিরীহ প্রাণি হত্যা করতে হবে? আমাদের কোনো সাহেব বিবি ওমন দুধ কলা দিয়ে পুষলেও আমরা তোদের মতো ওমন হন্তারক হতাম না!

গৃহস্বামীটি কবি মানুষ। আত্মভোলা। গৃহিনী মহাশয়া ডাক্তার। তবে তাঁরা এতটা প্রতিশোধ পরায়ণ হবে একদমই ভাবনায় আসে নি কখনো। বাবাগো, তোমাদের তো টাকা-পয়সার তেমন অভাব নেই! তবে এত কৃপণতা কেন তোমাদের? ইঁদুরেরা না হয় শসা গাছের দুটো ডগা আর একটা কচি শসাই খেয়েছে তাতে কি তোমরা ফতুর হয়ে গেছো! ঠিক মতো বাজার ঘাটও তোমরা করো না যে রান্নাঘরে ঢুকে একটু আধটু কাটাকুটি খেয়ে আসবো। পাশের বাসার প্রফেসর সাহেব বাজার থেকে কত সবজি বাজার করে আনে—মিষ্টি কুমড়ো, লাউ, টমেটো, ঝিঙে, লাউয়ের ডগা কত কি! অথচ তোমরা দুজন বাইরেই যেতে চাও না। শুধু বাসার ছাঁদ নিয়ে পড়ে থাকো। কে যে তোমাদের ছাঁদ বাগানের ধারণা দিলো! ছাঁদে লাউ, মিষ্টি কুমড়ো, বেগুন, সসা, টমেটো সব চাষ করা যায়। প্রথম প্রথম তোমাদের এসব কাজ খুবই আপত্তিকর মনে হলেও পরে মনে হলো—না, এসব তো তোমরা আমাদের জন্যই করছো। আমরা য়াঁরা নিরাপত্তার খাতিরে ছাঁদবাসী তাদের খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে তোমরা এত ভালো একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছো—ভাবতেই বেশ গর্ব হয়েছিল। অবশ্য এসব বুঝতেও বেশ সময় লেগেছিল। তারপর একদিন দেখা গেল ব্যাপারটা আসলে তা না। একদিন বেগুন গাছ লাগাতে লাগাতে কবি ডাক্তার ম্যামকে বলছেন, বাঁচতে হলে আমাদের কীটনাশকমুক্ত সবজিই খেতে হবে। বাজারের সব সবজিতেইতো কীটনাশক। এখন থেকে ছাঁদে নিজেরাই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করবো। দু'জনের ব্যাপক উৎসাহ দেখে বেশ ভালো লাগলো।

অনেকক্ষণ খাঁচায় বন্দি থেকে এই সব ভাবতে ভাবতে তার মধ্যে ঝিমুনির ভাব আসে। ঝিমুনির মধ্যেই গতকালের কথা মনে হয়—ছাঁদ থেকে পেট পুরে খেয়ে নিয়ে খুশী মনে বাসায় ফিরে দেখে সকলেই অঘোরে ঘুমোচ্ছো। সকালে বাচ্চা দুটো একটু বেশী দুধ খেয়ে ফেলেছিল। অনেক সময় ঘুমোবে। পোয়াতী সতীনটা প্রতিবেশী নানীর বাড়িতে গেছে ঝাঁড়ফুক নিতে! মরদটা পিট পিট করে তাকাচ্ছে। কুই কুই করে কাছে ডাকতেই খুশী মনে সে মরদের পাশে শুয়ে পড়ে।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের