সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

খাঁচা

রাতের বেলা সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন সে ছাঁদ থেকে টুকটাক খাবার সংগ্রহ করে—এই তার অপরাধ। খাবার বলতে তেমন কিছুই না—একটা দুটো কচি সসা, দুটো লাউয়ের ডগা, মিষ্টি কুমড়োর নবীন ফুল—এই সব। নিজের জন্য যতটুকু পারে ছাঁদে বসেই ইচ্ছে মতো খেয়ে নেয় সে। কেননা বাসায় ফিরে অনেক কাজ থাকে তার। দুধের বাচ্চাটাকে স্তন্য দিতে হয়। মরদটা গোস্বা করে থাকে—তার মান ভাঙাতে হয়। বাসায় বসে সে বাচ্চাগুলোকে পাহাড়া দেয়। বিড়াল আর সাপদের থেকে নিরাপদ রাখতে সেও খুব খাটে; সতর্ক থাকে। সে জন্য স্পেশাল কিছু নিতেই হয়। ছোটবোন পোয়াতী সতীনটাও আজকাল আর খাবারের সন্ধানে বেরোতে পারে না। তার জন্যেও কিছু নিয়ে যেতে হয়।

অবশ্য আগে ওরা কেউ বাসার ছাঁদে আসতো না। নিচে থেকেই প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করতো। ছাঁদ থেকে জানালার কার্নিস বেয়ে লাফিয়ে সোজা সজনে গাছটায় উপরে পড়তো। তারপর গাছ বেয়ে সদলবলে নিচে নেমে ড্রেনের ধার দিয়ে কিছুক্ষণ এগোলেই সম্ভু কাকার লন্ড্রির দোকান। পাশেই হরিদার টি স্টল। এখানেই কাকারা ওদের জন্য খাবার স্টোর করে রাখতো—বিস্কুটের ভাঙ্গা টুকরো, পঁচা পাউরুটি, কলা, লাড্ডুর অংশবিশেষ এইসব। ভোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়ে যাওয়ার আগেই ওরা ওখানে পৌঁছে যেতো। তারপর সবাই মিলে ভোজনের উৎসব শেষে বাসায় ফিরতো। ভালোই চলছিল উৎসবমুখর এই জীবন। ছেলেপুলে নিয়ে বেশ আরামেই দিন কাটছিল। তারপর হঠাৎ এই ছন্দপতন।

সেদিন ছিল শুক্রবার। হঠাৎ দেখা গেলো সকালবেলাটায় দুজন লোক সজনে গাছটার গোড়া খুঁড়ছে। একটু পরেই সজনে গাছটা হুড়মুড় করে পড়ে গেলো। সকাল পেরিয়ে দুপুর হতেই সম্ভুকাকার লন্ড্রীর দোকান, হরিকাকার চায়ের দোকান উধাও! এখন ওখানটাই একটা দশতলা প্রজেক্ট হবে। নিচেয় শোরুম আর উপরে বাসাবাড়ি-ফ্লাট!

ভাবতে ভাবতে নিকট অতীতের কথা মনে হতেই বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। সেবার আম্ফান ঝড়ে বাবা মা মারা যাওয়ার পর এই সজনে গাছের ডালেই তো প্রথম পরিচয় হয় মরদটার সাথে। এই তো সেদিন ছোট বোনটাকে নিয়ে মরদটার সাথে সে সংসার শুরু করলো।

ছোটবোনটা এখন সতীন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী; অংশীদার। মরদটার ভাগ দিতে হয়। সে সব অবশ্য মেনে নিয়েছে সে। মনকে শান্তনা দেয়, মরদটাতো তাকে ছেড়ে চলেও যেতে পারতো—কিন্তু যায় নি তো; তার ঘরেই আছে। প্রফেসর সাহেবের বাসার শয়তান মাগীটা চেষ্টার তো কম করে নি মরদটাকে ভাগানোর। দুবোনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাগীটা পারে নি; হার মানে। তাছাড়া এমন পায়ের উপর পা তুলে কাঠানোর সুযোগ কয়টা ধেঁড়ে জীবনে পায়? দুই বোনের এক মরদ তো মানুষের মধ্যেও দেখা যায়।

নানাবিধ ভাবনা চিন্তা বন্দিনীর মাথায় ঘুরপাক খায়। ঘরে দু'দিনের দুধের বাচ্চাটা রয়েছে। ছোটবোন সতীনটাও পোয়াতি। মরদের কথা না হয় বাদই দিলাম। এখন ওদের খাবারের জোগাড় কী করে হবে?

হাটখোলা বাজারটাও তো অনেক দূরে। তাছাড়া অত দূরে যাওয়াটাও বেশ ঝুকিপূর্ণ। পৌরসভার কাউন্সিলর তোফাজ্জেলের বাসার মেচি বিড়ালটা একটা ঘাতক; অসভ্য জানোয়ার। আমরা কি তোদের কোনো ক্ষতি করেছি কখনো; যে দেখলেই তেড়ে আসিস। ধরে ধরে মারিস। সাহেব তোদের দুধ কলা দিয়ে পোষে ঠিক আছে। তাই বলে কি, সাহেবদের মন রক্ষায় তোদের নিরীহ প্রাণি হত্যা করতে হবে? আমাদের কোনো সাহেব বিবি ওমন দুধ কলা দিয়ে পুষলেও আমরা তোদের মতো ওমন হন্তারক হতাম না!

গৃহস্বামীটি কবি মানুষ। আত্মভোলা। গৃহিনী মহাশয়া ডাক্তার। তবে তাঁরা এতটা প্রতিশোধ পরায়ণ হবে একদমই ভাবনায় আসে নি কখনো। বাবাগো, তোমাদের তো টাকা-পয়সার তেমন অভাব নেই! তবে এত কৃপণতা কেন তোমাদের? ইঁদুরেরা না হয় শসা গাছের দুটো ডগা আর একটা কচি শসাই খেয়েছে তাতে কি তোমরা ফতুর হয়ে গেছো! ঠিক মতো বাজার ঘাটও তোমরা করো না যে রান্নাঘরে ঢুকে একটু আধটু কাটাকুটি খেয়ে আসবো। পাশের বাসার প্রফেসর সাহেব বাজার থেকে কত সবজি বাজার করে আনে—মিষ্টি কুমড়ো, লাউ, টমেটো, ঝিঙে, লাউয়ের ডগা কত কি! অথচ তোমরা দুজন বাইরেই যেতে চাও না। শুধু বাসার ছাঁদ নিয়ে পড়ে থাকো। কে যে তোমাদের ছাঁদ বাগানের ধারণা দিলো! ছাঁদে লাউ, মিষ্টি কুমড়ো, বেগুন, সসা, টমেটো সব চাষ করা যায়। প্রথম প্রথম তোমাদের এসব কাজ খুবই আপত্তিকর মনে হলেও পরে মনে হলো—না, এসব তো তোমরা আমাদের জন্যই করছো। আমরা য়াঁরা নিরাপত্তার খাতিরে ছাঁদবাসী তাদের খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে তোমরা এত ভালো একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছো—ভাবতেই বেশ গর্ব হয়েছিল। অবশ্য এসব বুঝতেও বেশ সময় লেগেছিল। তারপর একদিন দেখা গেল ব্যাপারটা আসলে তা না। একদিন বেগুন গাছ লাগাতে লাগাতে কবি ডাক্তার ম্যামকে বলছেন, বাঁচতে হলে আমাদের কীটনাশকমুক্ত সবজিই খেতে হবে। বাজারের সব সবজিতেইতো কীটনাশক। এখন থেকে ছাঁদে নিজেরাই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করবো। দু'জনের ব্যাপক উৎসাহ দেখে বেশ ভালো লাগলো।

অনেকক্ষণ খাঁচায় বন্দি থেকে এই সব ভাবতে ভাবতে তার মধ্যে ঝিমুনির ভাব আসে। ঝিমুনির মধ্যেই গতকালের কথা মনে হয়—ছাঁদ থেকে পেট পুরে খেয়ে নিয়ে খুশী মনে বাসায় ফিরে দেখে সকলেই অঘোরে ঘুমোচ্ছো। সকালে বাচ্চা দুটো একটু বেশী দুধ খেয়ে ফেলেছিল। অনেক সময় ঘুমোবে। পোয়াতী সতীনটা প্রতিবেশী নানীর বাড়িতে গেছে ঝাঁড়ফুক নিতে! মরদটা পিট পিট করে তাকাচ্ছে। কুই কুই করে কাছে ডাকতেই খুশী মনে সে মরদের পাশে শুয়ে পড়ে।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে