শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফোড়াটি এখন ক্যানসার

খুব সম্ভবত ২০১৭ সালে ফোড়াটি প্রথম উঠতে শুরু করে। আমরা তাকে চুলকে দেই, মিস্টি ব্যথায় লালন করে মজা নিতে থাকি। কিন্তু হায় ফোড়াটি এখন ক্যানসার হয়ে গেছে। সমাজের পুরো শরীরটাকে আস্তে আস্তে ছেঁয়ে ফেলছে। তবুও আমরা খেয়াল করছি না। উৎসাহ দিচ্ছি।

হ্যাঁ, ফোড়াটির নাম আশরাফুল আলম। যে নামের আগে হিরো লাগিয়ে নিজেকে হিরো ভেবে, বানিয়ে নানা রকম ভেলকি, বাঁদর নাচ দেখিয়ে মোটামুটি একটা টাকা পয়সার মালিক হয়ে গেছে। দু-চারজন সাঙ্গপাঙ্গ জুটিয়ে, দামি অথচ কিম্ভুতকিমাকার পোষাক আশাক করে ঘুরে বেড়ায়। যে কোনো ইস্যুতে দৌড়ে যায়, লাইভে কথা বলে।

এসবের কারণে তার গানের নামে যন্ত্রণা উৎপাদন, অভিনয়ের নামে অশ্লীলতা আর বাঁদরের ভেংচি, অশুদ্ধ উচ্চারণের শব্দ দূষণ থেকে মানুষ কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়েছে। কবিতার নামে তিনি যা শুরু করেছিলেন তা অব্যাহত থাকলে পৃথিবীর সকল কবিরা এত দিনে আত্মহত্যা করতেন।

যাক! এই জিনিস নিয়ে কথা বলতে চাইনি। তার অনেক ভক্তবৃন্দ তৈরি হয়েছে। মুলধারার গণমাধ্যম এখন তার পেছনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ওই যে, কারণ একটাই ভাইরাল হওয়া এবং ডলার আয়। এ কারণে প্রথমে কুৎসিত যন্ত্রনাদায়ক ফোড়াকে আমরা আমাদের শরীরের লালন করলাম এখন ক্যানসার হওয়ার পরেও সেটাকে সারানোর বা কেটে ফেলার কোনো লক্ষণ তো দেখছি না। বরং আরও বিস্তৃত লাভ করছে বলেই মনে হচ্ছে।

গত সপ্তাহেই এক প্রগতিশীল লেখিকা হিরোকে নিয়ে একটা লম্বা স্ট্যাটাস দিলেন এবং বললেন, পৃথিবীর তাবৎ মহান মানব ও সৃষ্টিশীলদের সঙ্গে এই হিরোর মিল আছে। আমি পড়ে কিছুটা বিমূঢ় হয়ে গেছি। এই লেখিকা বলেন কি? মাক্সিম গোর্কির জীবনের সঙ্গেও নাকি এর মিল আছে। আমি অসহিষ্ণু হয়ে তার বিবৃতিতে মতামত দিলাম, আফা স্ট্যাগলের নামে লাজ-লজ্জাহীনতা, বেহায়াপনাকে সেলুট জানালেন ঠিক আছে, কিন্তু মাক্সিম গোর্কির সাহিত্যকৃতি আর হিরোর শিল্পকৃতি কি এক জিনিস হলো? তিনি আমাকে রেসিস্ট বলে গাল দিলেন।

ডিকসনারি ঘেঁটে দেখলাম রেসিস্ট অর্থ বর্ণবাদী। এই গালির উদ্দেশ্য, আমি খেটে খাওয়া, মানুষের অবহেলা পাওয়া, কালো কুৎসিত, মানবতাবাদী ও নিম্নশ্রেণির প্রতিনিধি হিরোকে অবহেলা করছি।

হায়রে লেখিকা, আপনি কেন বুঝতে পারছেন না এই লোকের কর্মকে আমি সমালোচনা করছি। তার লেগে থাকাকে নয়। তার অববয়কে নয়।

যা হোক, তাকে নিয়ে এখন কথা বলা যায় না। দেশের বড় বড় দলের লোক, বুদ্ধিজীবী, টকশোতে কথা হচ্ছে তার পক্ষে। হিরো লাইভে এসে হুমকিও দেন। ‘হিরো আলম কি, হামি কি হছি সেটা টকশো গুলন দেখলেই দেইকপার পাবেন। হামা লিয়্যা কত বড় বড় মানুষ কতা কইচ্ছে।’ হয় বাপু তোক লিয়া বড় বড় মানুষ কথা কইচ্চে।

দুটো ভিডিও ক্লিপস আর খবর দেখে তব্দা খেয়ে এই লেখা লিখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। একটি সংবাদ হচ্ছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিরো আলমের ভাস্কর্য স্থাপিত হলো।’ আরে বলে কী? কোথায় কোন জায়গায় স্থাপিত হলো তার ভাস্কর্য? পরে জানতে পারলাম, চারুকলার এক ছাত্র কেসস্টাডি হিসেবে হিরো আলমের খোমা তৈরি করে ওখানে রেখে দিয়েছে। তার সঙ্গে সেলফি তুলে হিরো পুরো নেট দুনিয়াকে অস্থির করে তুলেছে। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ভাঙানো হয়েছে। এত বড় একটা মিথ্যাচার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলল না। দেশের বড় বড় মানুষের ভাস্কর্য যেখানে স্থান পায়নি আর সেখানে হিরো আলমের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে- এই খবরটাও মিডিয়া যাচাই করল না। চালিয়ে দিল। হায়রে মিডিয়ার দৈন্যদশা। একটা পচা-বাসি খাবার প্যাকেট করে তারা বেচতে লাগল কয়েক দিন ধরে।

আরেকটা ভিডিও দেখলাম, পরী বাবু নামে এক ব্যক্তিকে হিরো সহায়তা করতে চেয়ে করেননি। সেই লোক ব্যাপক কান্নাকাটি করছে। তার সঙ্গে প্রতারণার গল্প বলছে। যা খেয়াল করলাম ভাইরাল হওয়ার জন্য যেখানে যেমন যা করা দরকার হিরো তাই করে থাকেন। এমন কি ভোট পাবে না জেনেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে হেরে গিয়ে নেট দুনিয়া গরম করে রাখেন। তার নির্বাচন ক্যারিক্যাচারে শেষমেশ না জাতিসংঘ বিবৃতি দেয়। বড় দলগুলো তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়াও শুরু করে। আর ইউটিউবাররা এটা নিয়ে হাজার ধরনের কনটেন্ট তৈরি করলেন। লাভের লাভ উপরি কামাই ওই ডলার।

যা দেখছি, এই হিরো এখন অনেক প্রতারণার গল্প জন্ম দিচ্ছেন। অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। পরে যা ঘটছে তার উল্টোটাই বেরিয়ে বেরিয়ে আসছে।

কিছুদিন আগে এক মাইক্রোবাস উপহার পেলেন তিনি। পরে দেখা গেল সেটির কাগজপত্র ঠিক নেই দশ বছর ধরে। মালিক ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচার মতো করে হিরোর হাতে এটা শপে দিয়ে ভার মুক্ত হলেন। এক প্রবাসী তাকে দেড় লাখ টাকা দামের সোনার চেইন দিলেন। পরে দেখা গেল হিরোই জানালেন এটা সোনার নয়। তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আবার নিজের নামে একটা ফাউন্ডেশন তৈরি করে অনুদান নেওয়া শুরু করেছেন। একটা ফাউন্ডেশনের গঠন প্রক্রিয়া কী, সরকারের অনুমোদন নিয়েছেন কি না, জয়েনস্টকে নিবন্ধন হলো কি না তার খোঁজ কেউ নিচ্ছে না। টাকা দিচ্ছেন। হিরোর কামাই কিন্তু মন্দ না। আমাদের এসব কায়-কারবারে তার দুই কোটি টাকার বাড়ি কিন্তু ঠিকই উঠেে গেছে। আর বছর বছর বউ পাল্টানোর সুযোগও তিনি পাচ্ছে ফ্রিতে।

তার নোংরামো, প্রতারণা আর উচ্চশ্রেণিতে ওঠার নানা গল্প এখন নেট দুনিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার মিউজিক ভিডিও আপনার দেখেছেন, গান শুনেছেন, কবিতা আবৃত্তি শুনেছেন, সিনেমা দেখেছেন এগুলো কোন পর্যায়ের শিল্প- তা বিচার বিবেচনাবোধ থাকলেই নিজেরাই বলতে পারবেন। তার জন্য বোদ্ধা সমালোচক হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ‘হিরো দেশে বিদেশে বাংলাদেশের একজন হিরো’ হিসেবে যে সংকেত পৌছে দিচ্ছেন তাতে আমরা ছোট হচ্ছি না বড় হচ্ছি আপনারাই ভেবে দেখুন।

টুটুল রহমান: সম্পাদক, অপরূপ বাংলা

 

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের