সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ফোড়াটি এখন ক্যানসার

খুব সম্ভবত ২০১৭ সালে ফোড়াটি প্রথম উঠতে শুরু করে। আমরা তাকে চুলকে দেই, মিস্টি ব্যথায় লালন করে মজা নিতে থাকি। কিন্তু হায় ফোড়াটি এখন ক্যানসার হয়ে গেছে। সমাজের পুরো শরীরটাকে আস্তে আস্তে ছেঁয়ে ফেলছে। তবুও আমরা খেয়াল করছি না। উৎসাহ দিচ্ছি।

হ্যাঁ, ফোড়াটির নাম আশরাফুল আলম। যে নামের আগে হিরো লাগিয়ে নিজেকে হিরো ভেবে, বানিয়ে নানা রকম ভেলকি, বাঁদর নাচ দেখিয়ে মোটামুটি একটা টাকা পয়সার মালিক হয়ে গেছে। দু-চারজন সাঙ্গপাঙ্গ জুটিয়ে, দামি অথচ কিম্ভুতকিমাকার পোষাক আশাক করে ঘুরে বেড়ায়। যে কোনো ইস্যুতে দৌড়ে যায়, লাইভে কথা বলে।

এসবের কারণে তার গানের নামে যন্ত্রণা উৎপাদন, অভিনয়ের নামে অশ্লীলতা আর বাঁদরের ভেংচি, অশুদ্ধ উচ্চারণের শব্দ দূষণ থেকে মানুষ কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়েছে। কবিতার নামে তিনি যা শুরু করেছিলেন তা অব্যাহত থাকলে পৃথিবীর সকল কবিরা এত দিনে আত্মহত্যা করতেন।

যাক! এই জিনিস নিয়ে কথা বলতে চাইনি। তার অনেক ভক্তবৃন্দ তৈরি হয়েছে। মুলধারার গণমাধ্যম এখন তার পেছনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ওই যে, কারণ একটাই ভাইরাল হওয়া এবং ডলার আয়। এ কারণে প্রথমে কুৎসিত যন্ত্রনাদায়ক ফোড়াকে আমরা আমাদের শরীরের লালন করলাম এখন ক্যানসার হওয়ার পরেও সেটাকে সারানোর বা কেটে ফেলার কোনো লক্ষণ তো দেখছি না। বরং আরও বিস্তৃত লাভ করছে বলেই মনে হচ্ছে।

গত সপ্তাহেই এক প্রগতিশীল লেখিকা হিরোকে নিয়ে একটা লম্বা স্ট্যাটাস দিলেন এবং বললেন, পৃথিবীর তাবৎ মহান মানব ও সৃষ্টিশীলদের সঙ্গে এই হিরোর মিল আছে। আমি পড়ে কিছুটা বিমূঢ় হয়ে গেছি। এই লেখিকা বলেন কি? মাক্সিম গোর্কির জীবনের সঙ্গেও নাকি এর মিল আছে। আমি অসহিষ্ণু হয়ে তার বিবৃতিতে মতামত দিলাম, আফা স্ট্যাগলের নামে লাজ-লজ্জাহীনতা, বেহায়াপনাকে সেলুট জানালেন ঠিক আছে, কিন্তু মাক্সিম গোর্কির সাহিত্যকৃতি আর হিরোর শিল্পকৃতি কি এক জিনিস হলো? তিনি আমাকে রেসিস্ট বলে গাল দিলেন।

ডিকসনারি ঘেঁটে দেখলাম রেসিস্ট অর্থ বর্ণবাদী। এই গালির উদ্দেশ্য, আমি খেটে খাওয়া, মানুষের অবহেলা পাওয়া, কালো কুৎসিত, মানবতাবাদী ও নিম্নশ্রেণির প্রতিনিধি হিরোকে অবহেলা করছি।

হায়রে লেখিকা, আপনি কেন বুঝতে পারছেন না এই লোকের কর্মকে আমি সমালোচনা করছি। তার লেগে থাকাকে নয়। তার অববয়কে নয়।

যা হোক, তাকে নিয়ে এখন কথা বলা যায় না। দেশের বড় বড় দলের লোক, বুদ্ধিজীবী, টকশোতে কথা হচ্ছে তার পক্ষে। হিরো লাইভে এসে হুমকিও দেন। ‘হিরো আলম কি, হামি কি হছি সেটা টকশো গুলন দেখলেই দেইকপার পাবেন। হামা লিয়্যা কত বড় বড় মানুষ কতা কইচ্ছে।’ হয় বাপু তোক লিয়া বড় বড় মানুষ কথা কইচ্চে।

দুটো ভিডিও ক্লিপস আর খবর দেখে তব্দা খেয়ে এই লেখা লিখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। একটি সংবাদ হচ্ছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিরো আলমের ভাস্কর্য স্থাপিত হলো।’ আরে বলে কী? কোথায় কোন জায়গায় স্থাপিত হলো তার ভাস্কর্য? পরে জানতে পারলাম, চারুকলার এক ছাত্র কেসস্টাডি হিসেবে হিরো আলমের খোমা তৈরি করে ওখানে রেখে দিয়েছে। তার সঙ্গে সেলফি তুলে হিরো পুরো নেট দুনিয়াকে অস্থির করে তুলেছে। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ভাঙানো হয়েছে। এত বড় একটা মিথ্যাচার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলল না। দেশের বড় বড় মানুষের ভাস্কর্য যেখানে স্থান পায়নি আর সেখানে হিরো আলমের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে- এই খবরটাও মিডিয়া যাচাই করল না। চালিয়ে দিল। হায়রে মিডিয়ার দৈন্যদশা। একটা পচা-বাসি খাবার প্যাকেট করে তারা বেচতে লাগল কয়েক দিন ধরে।

আরেকটা ভিডিও দেখলাম, পরী বাবু নামে এক ব্যক্তিকে হিরো সহায়তা করতে চেয়ে করেননি। সেই লোক ব্যাপক কান্নাকাটি করছে। তার সঙ্গে প্রতারণার গল্প বলছে। যা খেয়াল করলাম ভাইরাল হওয়ার জন্য যেখানে যেমন যা করা দরকার হিরো তাই করে থাকেন। এমন কি ভোট পাবে না জেনেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে হেরে গিয়ে নেট দুনিয়া গরম করে রাখেন। তার নির্বাচন ক্যারিক্যাচারে শেষমেশ না জাতিসংঘ বিবৃতি দেয়। বড় দলগুলো তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়াও শুরু করে। আর ইউটিউবাররা এটা নিয়ে হাজার ধরনের কনটেন্ট তৈরি করলেন। লাভের লাভ উপরি কামাই ওই ডলার।

যা দেখছি, এই হিরো এখন অনেক প্রতারণার গল্প জন্ম দিচ্ছেন। অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। পরে যা ঘটছে তার উল্টোটাই বেরিয়ে বেরিয়ে আসছে।

কিছুদিন আগে এক মাইক্রোবাস উপহার পেলেন তিনি। পরে দেখা গেল সেটির কাগজপত্র ঠিক নেই দশ বছর ধরে। মালিক ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচার মতো করে হিরোর হাতে এটা শপে দিয়ে ভার মুক্ত হলেন। এক প্রবাসী তাকে দেড় লাখ টাকা দামের সোনার চেইন দিলেন। পরে দেখা গেল হিরোই জানালেন এটা সোনার নয়। তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আবার নিজের নামে একটা ফাউন্ডেশন তৈরি করে অনুদান নেওয়া শুরু করেছেন। একটা ফাউন্ডেশনের গঠন প্রক্রিয়া কী, সরকারের অনুমোদন নিয়েছেন কি না, জয়েনস্টকে নিবন্ধন হলো কি না তার খোঁজ কেউ নিচ্ছে না। টাকা দিচ্ছেন। হিরোর কামাই কিন্তু মন্দ না। আমাদের এসব কায়-কারবারে তার দুই কোটি টাকার বাড়ি কিন্তু ঠিকই উঠেে গেছে। আর বছর বছর বউ পাল্টানোর সুযোগও তিনি পাচ্ছে ফ্রিতে।

তার নোংরামো, প্রতারণা আর উচ্চশ্রেণিতে ওঠার নানা গল্প এখন নেট দুনিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার মিউজিক ভিডিও আপনার দেখেছেন, গান শুনেছেন, কবিতা আবৃত্তি শুনেছেন, সিনেমা দেখেছেন এগুলো কোন পর্যায়ের শিল্প- তা বিচার বিবেচনাবোধ থাকলেই নিজেরাই বলতে পারবেন। তার জন্য বোদ্ধা সমালোচক হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ‘হিরো দেশে বিদেশে বাংলাদেশের একজন হিরো’ হিসেবে যে সংকেত পৌছে দিচ্ছেন তাতে আমরা ছোট হচ্ছি না বড় হচ্ছি আপনারাই ভেবে দেখুন।

টুটুল রহমান: সম্পাদক, অপরূপ বাংলা

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে