শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশ নিয়ে আমাদের যেভাবে ভাবতে হবে

ক্ষুদিরাম বসু একজন ভারতীয়-বাঙালি বিপ্লবী কিশোর যিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। মাতা-পিতাহীন শিশুটি বাঙ্গালী মায়ের পরিচয়ে বেড়ে ওঠেন। এই দেশের মাটিই ছিলো তার মা। নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড নয় বরং সমগ্র ভারতবর্ষকে ছেলেটি নিজের সম্পদ বলে মনে করতেন। এদেশের সকল মানুষকে নিয়েই ছিলো তার পরিবার। তাইতো কিশোর বয়সেই তার ভূ-খন্ড ও পরিবারকে ইংরেজ বাহিনীর শোষণ পীড়ন থেকে রক্ষা করতে হাতে অস্ত্র তুলে নেন। সাড়া ফেলেছেন ব্রিটিশ মহলে। এমনকি ব্রিটিশদের ঘুমও হারাম করেছেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিন বয়সে ফাঁসির কাষ্ঠ বরণ করেন।

আমরা ঢাকার ইডেন কলেজের ছাত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের গল্প জানি। তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করলেও ব্যক্তি সুখকে বরণ না করে তিনি সমগ্র বাঙ্গালীর সুখ বরণ করতে চেয়েছেন। জ্বলে উঠেছেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আমরা তিতুমীরের গল্প জানি। তিতুমীরের গল্প ও সাহসিকতার বয়ান তুলতে গিয়ে মুখে ফেনা তুলি। আমরা নবাব সিরাজউদ্দৌলার গল্প পড়তে পড়তে চোখে ছানি পেলেছি। মীর জাফরের নামটিকে গালি হিসেবে গ্রহণ করেছি। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে আদর্শ হিসেবে পেশ করি। তাজ উদ্দিন আহমদ, কামারুজ্জামান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও মনসুর আলীর গল্প শোনাই এবং তাদেরকে শ্রদ্ধা করি। আবার খন্দকার মোস্তাকের নাম শুনলেই মুখে থুতু পেলি মন ভরে ঘৃণা করি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কথা বলি। বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করি। চেতনায় বুদ হয়ে যাই।মুখে মুখে বাংলা মায়ের জন্য জীবন বিলাই। বক্তব্য দিতে গেলে জ্ঞান হারিয়ে পেলি। কে কার থেকে বেশি চেতনাময়ী বক্তব্য উপস্থাপন করবো সে প্রতিযোগিতায় নেমে যাই।

দেশকে ভালোবাসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। দেশ চেতনা আমাদের হৃদয়ের গভীরে সুপ্ত থাকে। দেশের ক্লান্তি, দুঃখ-দুর্দশা, দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে আমরা দেশের জন্য টান অনুভব করি। সে টান থেকেই ১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার আন্দোলনে দেশের লাখো তরুণ অকাতরে নিজের প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছে। মনীষী জ্যাকসন বলেছেন, ‘যে মায়ের সন্তান দেশের জন্যে জীবন দিয়েছে, তার মাতৃত্বের গৌরব চির ভাস্বর। দেশপ্রেম থাকা চাই বৈদেশিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্যে। ইতিহাস বার বার এটাই প্রমাণ করেছে যে, দেশপ্রেমিক জাতি শত্রুর কাছে কখনও পরাজিত হয় না। সে জাতির অন্তরে জ্বলতে থাকে দেশপ্রেমের আগুন অনির্বাণ শিখার ন্যায়। সারা পৃথিবীর মায়া-মমতা, স্নেহ সব একত্রিত করলেও যেমন মায়ের অকৃত্রিম স্নেহের সঙ্গে তুলনা করা যায় না তেমনি সারা পৃথিবীর ঐশ্বর্য-বৈভব ও সৌন্দর্যের সঙ্গে নিজ দেশের কোনো তুলনা হতে পারে না। কবি তার কাব্যে, দেশকর্মী তার সমাজসেবায়, গায়ক তার গানে, শিল্পী তার ছবিতে, বৈজ্ঞানিক তার বিজ্ঞান চর্চায়, শিক্ষক তার একনিষ্ঠ শিক্ষকতায় দেশপ্রেমের পরিচয় প্রদান করতে পারেন। কবি বলেছেন, ‘তুমি দেশকে যথার্থ ভালবাস তার চরম পরীক্ষা, তুমি দেশের জন্য মরতে পার কি-না।’ আমার দেশের ছেলেরা যুগে যুগে জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা এদেশকে যথার্থ ভালোবাসে। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে তারা তৃপ্তির সহিত জীবন দিয়েছে।তাদের ভাবনা ছিলো আমার জীবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলে এদেশে আর কাউকে আমার মত জীবন দিতে হবে না। মা-বোন ধর্ষিতা হওয়ার পরও হেরে যায়নি। তাদের ভাবনা ছিলো আমার ধর্ষিতা হওয়ার বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলে এদেশে আর কাউকে ধর্ষিতা হতে হবেনা। বিধবার চিন্তা ছিলো আমার পর আর কাউকে বিধবা হতে হবেনা।

আফসোস যে আদর্শ আজ আমাদের মুখে মুখে। আমরা আমাদের বীরাঙ্গনা মায়ের স্বপ্ন, শহীদ ভাইয়ের চেতনা, বিধবা মায়ের আকুতিময় চাহনির মূল্য দিতে পারিনি। কথায় আছে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও তা রক্ষা করতে পারিনি। আমাদের আজ বহিঃশত্রু নেই। আমরা নিজেরাই আজ নিজেদের শত্রু। রক্ষক আজ ভক্ষক। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রুটিরুজির উপকরণে পরিণত। জনগণকে চেতনার বড়ি খাওয়াইয়া নিজেরা নিজের মত করে দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছি। সর্বত্র দুর্নীতি। সরকারি অফিসের পিয়ন থেকে সর্বোচ্চ কর্তা পর্যন্ত প্রায় সবার বিরুদ্ধে দুর্নতির অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও এই অভিযোগ থেকে মুক্ত নন। দুর্নীতির এতোই ছড়াছড়ি যে, খোদ দুর্নীতি দমন কমিশনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখি নৈতিক অবক্ষয়, অপহরণ, ছিনতাই, হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ নানান সমস্যা। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে যতই স্বপ্ন দেখাবার চেষ্টা করুক না কেন, আমরা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও তার কোনো সুফল দেখিনি।

রাজনৈতিক দল গুলো পরস্পরকে দোষারোপ করে কাঁদা ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে দেশের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছেন। সত্যিকার অর্থে আমাদের মধ্যে দেশপ্রেমের বড়ই অভাব। এ কথায় কেহ বা মনোক্ষুন্ন হতে পারে, কেউবা বলতে পারে আমরা কি দেশকে ভালবাসি না? অবশ্যই আমরা সবাই দেশকে ভালবাসি। কিন্তু কিছু কিছু কুলাঙ্গার দেশের স্বার্থ থেকে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থটাকে অনেক বড় করে দেখে।যার ফলে দেশের আজ এই দুর্গতি।আমরা দেশটাকে নিজের করে ভাবতে ভুলে গেছি। দেশের মানুষকে নিজের আপন বংশের মানুষ মনে করতে ভুলে গেছি। নিজ পেটের ধান্ধায় সব ভুলে হিংস্র নেকড়ের রূপ ধারণ করেছি। আজ আমরা এতোই বেপরোয়া যে, যেন সুযোগ পেলে নিজ ভূখন্ডকে বিক্রি করে দিয়ে ইউরোপ আমেরিকায় গিয়ে অবস্থান নেই। নিজেকে নিজে ভালো রাখতে গিয়ে আমরা নিজেদের অস্তিত্বকে ভুলে গেছি। হারিয়ে পেলেছি মায়ের মমতার স্মৃতি। ভুলে যাই এদশের ধুলো-বালির মধ্যেই আমার অস্তিত্ব। আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হেবে। বাংলাকে নিজের মায়ের মত দেখতে হবে। জননী এবং জন্মভূমি আমাদের কাছে পরম শ্রদ্ধেয়া। জননী জন্মদাত্রী স্তন্যে-স্নেহে আমাদের লালন-পালন করে। আর জন্মভূমি আমাদের সবাইকে শস্যে ফলে অন্নে পানীয়ে পুষ্ট করে তোলে। তাই সেও আমাদের জননী। কবি গেয়ে ওঠেন, “তুমি মুখে তুলে দিলে, তুমি শীতল জলে জুড়াইলে, তুমি যে সকল সহা সকল বহা মাতার মাতা”। তাই জননীর কাছে আমাদের যেমন অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে অনুরুপ জন্মভূমির প্রতিও আমাদের সকলের অনেক দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। আমাদেরকে সে কর্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। একটি দেশের মানোন্নয়ন নির্ভর করে সে দেশের জনতার উপর। দেশের নাগরিকের মধ্যে দেশ মাতার ভালোবাসা না থাকলে দেশ মাতা কখনো সাফল্যে ভরপুর হয়না। একটি দেশকে অগ্রযাত্রার দিকে ধাবিত করে দেশ মায়ের টান ও ভালোবাসায়। দেশ প্রেম একটি মানুষকে দেশের প্রতি আত্ম ত্যাগে উৎসাহিত করে। যদি কোন ব্যাক্তি তার দেশের প্রতি নিজেকে ঋনী না মনে করেন তাহলে তার সেই দেশের নাগরিক ও সে দেশের একজন সন্তান দাবি করাই বৃথা।কারন প্রতিটি মানুষের তার দেশের প্রতি সীমাহীন ঋন রয়েছে। আর তা কখনোই শোধ হবার নয়। দেশকে ভিন্ন দেশের নিকট মহিমান্বিত করে তোলার জন্য একমাত্র উপায় হলো স্বদেশে প্রেম। দেশপ্রেম হলো দেশের প্রতি ভালবাসা। কিন্তু আপনি আপনার দেশের জনগণকে ভালো না বেশে আপনার দেশকে ভালবাসতে পারবেন না। আমাদের শপথ করতে হবে না, তবে আমাদের একে অপরকে শক্তিশালী করতে হবে, আমাদের অবশ্যই সাধারণ সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে, সবার ভালোর জন্য অমিল গুলো বাদ দিয়ে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে । আমাদেরকে আমাদের স্বরণীয় বরণীয় ব্যক্তিদের আত্মজীবনী শুধু লেখা পড়া ও বক্তৃতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের জীবনে তাদের চেতনা আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।

দেশের উপকারে যিনি নিবেদিত প্রাণ তিনিই প্রকৃত নাগরিক। পক্ষান্তরে দেশপ্রেমহীন আত্মকেন্দ্রিক ব্যক্তি নিঃসন্দেহে অধমের সমান। সমাজ জীবনে প্রতিনিয়ত এহেন মূর্খের মত বিবেকবর্জিত অমানুষ দেখতেন বলেই হয়তো আমাদের পূর্বসুরি রাজনৈতিক নেতারা প্রথমে মানুষ হওয়ার কথাই বলতেন। কিন্তু পূর্বপুরুষদের মত আদর্শবান রাজনৈতিক নেতা আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। তাই তাঁদের মূল্যবান কথাগুলো স্মরণীয় ও বরণীয় বাণীতে পরিণত হয়েছে। আমরা সবাই নিজেদেরকে যতই লেখক, জ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক বা সচেতন নাগরিক হিসাবে দাবি করি না কেন, আমাদের উচিত হবে আমাদের চিন্তা-চেতনায় সে সব ব্যক্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখা, তাঁদেরকে স্মরণ করা। দেশের রক্ষক হচ্ছেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ রাজনৈতিক নেতা, সরকারি আমলা ও সামরিকে বাহিনীর সদস্যরা। তাদের প্রথম ও একমাত্র কাজই হলো দেশকে ভালোবাসা। দেশটাকে নিজের মায়ের মত করে শ্রদ্ধা করা। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা, সরকারি আমলা ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বহুলাংশে তাদের কর্মজ্ঞান ভুলে পথভ্রষ্ট হয়ে আছেন। নেতারা দেশের স্বার্থ থেকে নিজের ও দলের স্বার্থকে বড় করে দেখছেন। যার প্রকৃত উদাহরণ ফুটে ওঠে হরতাল নামক ধ্বংসযঙ্গের মাধ্যমে। হরতাল অবরোধ দাবি আদায়ের গণতান্ত্রিক উপায় হলেও তারা নিজ দলের স্বার্থে রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর করে দেশের সম্পদ বিনষ্টে একটুও কুণ্ঠাবোধ করেন না। তারা দলের স্বার্থ থেকে দেশে মাতার স্বার্থকে বড় করে দেখলে দেশে কোনো অরাজকতা থাকতো না। সবসময় গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন হয় বলে সরকারি দল দাবি করলেও তারা যখন হেরে বিরোধী দল হয়ে যায় তখন কারচুপির অভিযোগ তুলেন। স্বাধীনতাত্তোর দেশের একটি নির্বাচনেও বিরোধী দল কর্তৃক সরকারি দলকে অভিনন্দন জানাতে দেখলাম না। আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে নতুন করে দেশপ্রেমের বীজ রোপন করতে হবে। রাজনীতিবিদদের সার্বিক কর্মকাণ্ডই উপরেই দেশের ভবিষ্যত নির্ভরশীল। তারা রাজনীতিকে ব্যবসা বা পেশা হিসাবে নয়, সেবা হিসাবে নিতে পারলেই দেশের বর্তমান ভয়াবহ অবস্থার অবসান হবে। দেশের মঙ্গলে দেশের সকল নাগরিকেরও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। দেশকে প্রাণাধিক ভালবাসতে হবে এবং শুধু ভালবাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবেনা, দেশসেবায় ব্রত হতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশপ্রেম নয় কোনো নিছক বিমূত আদর্শ, নয় কতগুলো প্রাণহীন শব্দের সমাহার। আমাদেরকে সোচ্চার কণ্ঠে বলতে হবে, জীবনকে ভালবাসি সত্য কিন্তু দেশের চেয়ে বেশি নয়।

 

লেখক
মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।
ইমেইল-tohaarafat1998@gmail.com
মোবাইল-01781704368

 

Header Ad
Header Ad

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। সর্বশেষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। একইভাবে ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায় নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু এরপর থেকে দুই দশকের বেশি সময়েও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের দৃশ্য দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “ওদের ক্যারিয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ ছিল। মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ওদের প্রাপ্য ছিল। যারা ভালোবেসেছে ও সমর্থন দিয়েছে, তারাও চাইত গ্যালারি ভরা দর্শকের হাততালির মধ্যে তারা বিদায় নিক। কিন্তু সেই সুযোগটা আর হলো না। কেন মাঠে অবসর নেয়নি, সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।”

অনেকে মনে করেন, বোর্ডের পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে। তবে সুজন এই দাবির সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “যখন আমি অবসর নিয়েছিলাম, আগেই জানিয়েছিলাম সেটাই আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু যদি কেউ না জানায়, বোর্ড বুঝবে কীভাবে? ক্রিকেটাররা আগেই বললে বোর্ডও সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে পারে।”

সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে এবং মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তাদের এমন সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন সুজন। তার মতে, “ওরা চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন খেলতে পারত। কিন্তু মাঠ থেকে বিদায় নিলে সেটা আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত।”

মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা না গেলে ভবিষ্যতেও এই ধরনের পরিস্থিতি চলতেই থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৩ মার্চ এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহফুজ আলম গত ১২ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন যে, “জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল।” মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বলেন, মাহফুজ আলম জামায়াত সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা আসলে একটি প্রতিবেশি দেশের গুপ্তচর শাহরিয়ার কবিরদের ভাষার অনুকরণ।

তিনি আরও বলেন, মাহফুজ আলমের উচিত স্মরণ রাখা যে, তিনি একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে এমন মন্তব্য করার অধিকার তার নেই। এমন মন্তব্য দিয়ে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অরাজনৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার উল্লেখ করেন যে, শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গঠিত তদন্ত কমিশনেও জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি অধ্যাপক গোলাম আযম সুপ্রিম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের প্রভাবিত বিচার এবং স্কাইপ কেলেঙ্কারি, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য এবং সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য এই বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নত আল জামায়াতের অনুসারী এবং এর আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আশা প্রকাশ করেন যে, মাহফুজ আলম তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

শফিউল আজম টুটুলকে আহ্বায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে সদস্য সচিব করে নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই কমিটি অনুমোদন দেন।

কমিটির অন্যান্য নেতারা হলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান কামরুজ্জামান কামাল,মো. জাহাঙ্গীর আলম গুলজার, শামিম নুর আলম শিপলু,মো. মাহমুদ হাসান,গোলাম মোস্তফা তাতু,আলম তাজ তাজু,মো. মিজানুর রহমান রনি, মো. মামুনুর রশিদ,আব্দুল্লাহ আল মামুন শিমুল,হাসিবুর রহমান প্লাবন,মো. নূর নবী,মো. আব্দুল বারী তুহিন,মো. রাগিব শাহরিয়ার কৌশিক,মো. শহিদুজ্জামান সৌরভ,মো. ফারহিম ইসলাম মুন্না।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়া সদস্যরা হলেন, আব্দুল বারী হিরা, মহসিন আলী,মুশফিকুর রহমান সুজন চৌধুরী,মেহেদী হাসান পলাশ,মো. হেলাল উদ্দিন,আরিফুল ইসলাম বাপ্পী,স্বাধীন সরদার,কে এম রাব্বি রিফাত স্বচ্ছ,মো. সুরুজ সরকার,মো. মামুনুর রশিদ বুলেট,মো. মাসুদ রানা,মো. শাহরিয়ার হক রাজু,মো. সালমান ফারসী রাজ,মো. শামীম হোসেন, মো. ইস্রাফিল আলম তিতাস,মো. রায়হানুল ইসলাম রিপন,মো.শামস বিন আইয়ুব,মো. আশাদুল ইসলাম,মো. রুহুল আমিন মল্লিক,মো. ইশতিয়াক আহমেদ মিনার,মো. এনামুল হক (দপ্তরের দায়িত্বে),মো. রাকিন হোসেন (সহ-দপ্তরের দায়িত্বে),মো. পাঠান মুরাদ,মো. আশিক আহমেদ শাওন,মো. সবুজ হোসেন,মো. ডলার,শ.ম. আলেফ হোসেন সুমন,মো. শহীদুজ্জামান মুরাদ,মো. রিপন রেজা, এ্যাড, আলতাফ হোসেন উজ্জল,সোহেলী আক্তার শুভ,সোহাগ কুমার কর্মকার,মোঃ ওমর ফারুক (ওমর),মো. স্বাধীন আহমেদ।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
আছিয়ার মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হবে
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল
ধর্ষণের হুমকি পেলেন ভাইরাল কন্যা ফারজানা সিঁথি, অতঃপর...
যমুনা সেতু মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২৫
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি
চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল
টাঙ্গাইলে ‘বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস ও বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’র নাম পরিবর্তন