সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে প্রবাসীরা সোচ্চার’

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত নির্মম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে কানাডায় 'টরেন্টো ফিল্ম ফোরাম' এক গণসমাবেশের আয়োজন করে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আরও কয়েকটি সংগঠন ওই আয়োজনে অংশ নেয় l সেই গণসমাবেশ আয়োজনের প্রেক্ষাপট ও আগামীর পরিকল্পনা বিষয়ে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিস রফিকের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফারজানা নাজ শম্পা। নিচে এর চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো

ঢাকাপ্রকাশ: টরেন্টোতে গত ১ অক্টোবর কেন গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়?

মনিস রফিক: টরন্টোতে গত শনিবার (১ অক্টোবর) সমাবেশ আয়োজনের মূল কারণ ছিল, ৩ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে যে আলোচনা হয়েছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করা। এ বিষয়ে নৈতিক সমর্থন দেওয়া এবং জনগণকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করানো। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছর পর এই প্রথম জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশে সংঘটিত ভয়াবহতম, বীভৎস, বর্বর গণহত্যাও জেনোসাইড নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী বাঙালিরা সোচ্চার হয়েছে এই জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য।

ঢাকাপ্রকাশ: কানাডার টরেন্টোর গণসমাবেশের আয়োজক কোন সংগঠন? এতে কোন কোন সংগঠন অংশ নেয়?

মনিস রফিক: টরন্টোতে এই সমাবেশের আয়োজক সংগঠন ছিল টরন্টো ফিল্ম ফোরাম। টরন্টো ফিল্ম ফোরামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই সমাবেশকে সফল করার জন্য পিডিআই কানাডা, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কানাডা, ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রাইম স্ট্রাটেজি ফোরাম, ছায়ানট, নাট্যসংঘ কানাডা, ম্যাক এন্টারটেইনমেন্ট, কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, অন্যমেলা টরন্টো, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাপ্তাহিক ‘বাংলাকাগজ’ এবং প্রজন্ম ৭১ এর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

তবে বিশ্বব্যাপী এ সমাবেশ আয়োজনের মূল সংগঠন হচ্ছে, নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ-BASUG, ‘আমরা একাত্তর’ এবং ‘প্রজন্ম ৭১’। সাবেক ছাত্রনেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস নাসির উদ দুজা মূলত টরন্টো ফিল্ম ফোরামকে এই সমাবেশ আয়োজন করা জন্য আহ্বান জানান। এর প্রধানতম কারণ ছিল, গত ২০১৫ সাল থেকে টরন্টো ফিল্ম ফোরাম ২৫শে মার্চের কালো রাত এবং ১৪ই ডিসেম্বরের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ৩০০০ ড্যানফোর্থ এলাকায় ’৭১ এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে সমাবেশ ও প্রদীপ মিছিল করে আসছে।

নাসির উদ দুজার মাধ্যমে টরন্টো ফিল্ম ফোরামের প্রতিনিধি নিয়মিতভাবে ঢাকার আয়োজক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। বিশেষ করে ‘আমরা একাত্তর’ এর সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস মাহাবুব জামান এর সঙ্গে সমাবেশের ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সমন্বয় করা হতো।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার বিবেচনায় এই গণসমাবেশ সার্বিকভাবে কতটা সার্থক?

মনিস রফিক: এই সমাবেশ একটি সার্থক গণসমাবেশ। এর প্রধানতম কারণ, এখানে বিভিন্ন শ্রেণির এবং স্তরের মানুষের উপস্থিতি ছিল, সেই সঙ্গে এই সমাবেশে উপস্থিতির সংখ্যাও অনেক ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ৩০০০ ড্যানফোর্থের ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তারপর সন্ধ্যা ৭টায় সমাবেশে উপস্থিত সদস্যরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে গান গাইতে গাইতে টরন্টোর ডেন্টোনিয়া পার্কে অবস্থিত শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেয় এবং ৭১ এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার শপথ নেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আগামীতে আরও কী কোনো উদ্যোগ আছে?
মনিস রফিক: এই দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বড় আকারে সমাবেশ করা, কানাডার ফেডারেল এবং বিভিন্ন প্রভিন্সের মানবাধিকার পরিষদে এ দাবির সমর্থনের পক্ষে চিঠি দেওয়া, স্থানীয় এমপিপি এবং এমপিদের মাধ্যমে এ বিষয়টি প্রভিন্স এবং ফেডারেলের বৈদেশিক মন্ত্রীদের কাছে তুলে ধরা। এ ছাড়া, অনলাইনে এ ব্যাপারে গণ সমর্থনের প্রক্রিয়া শুরু করা। কানাডার অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে এ দাবির পক্ষে সমাবেশ করা হবে। যদিও সেটার তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশ-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৮  

ছবিঃ সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাসব্যাপীর কর্মসূচীর অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করার সময় সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খান সাবেশ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে আহত পুলিশ সদস্যদের নাম জানাতে পারেননি ওসি।

টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খোরশেদ আলম জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসাবে লিফলেট বিতরণ করছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অন্যান্য নেতাকর্মীরা সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে ঘোরাও করে রাখে। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হন।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, ঘটনার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়রা ধরে রাখে। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে ওসির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি।

Header Ad
Header Ad

সড়ক ছেড়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা, পরবর্তী কর্মসূচি রাত ১১টায়  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রায় ২ ঘণ্টার অবরোধ শেষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর তারা অবরোধ তুলে নিয়ে মিছিল করতে করতে ক্যাম্পাসে ফিরে যান। তবে রাত ১১টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাত ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।

এরআগে, সন্ধ্যা ৬টায় তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের এমন মন্তব্যে ঘিরে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ নামে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, অবরোধ ছাড়ার ফলে এরইমধ্যে যান চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন। যান চলাচল শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যশোর সীমান্তে মালিকবিহীন ২৩ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

যশোর ৪৯ বিজিবির আওতাধীন একাধিক সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ফেন্সিডিল, বিয়ার ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পৃথক পৃথক সীমান্তে অভিযান চালিয়ে উক্ত মাদক ও অন্যান্য পন্য আটক করা হয়েছে।

যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান,নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যশোরের বর্নি, ধান্যখোলা, কাশিপুর আমড়াখালী এবং বেনাপোল বিওপি'র সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ফেন্সিডিল, বিয়ার কম্বল, শাড়ি থ্রী-পিচ, চকলেট, ফুচকা, কিসমিস, তৈরী পোষাক এবং কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করা হয়।

আটক মালামাল বেনাপোল কাস্টমসে এবং মাদক দ্রব্যথানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশ-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৮  
সড়ক ছেড়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা, পরবর্তী কর্মসূচি রাত ১১টায়  
যশোর সীমান্তে মালিকবিহীন ২৩ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক
জুলাই আহতদের আন্দোলনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বৃদ্ধকে গণপিটুনি    
জানা গেল বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ    
বিএনপির পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠানো অযৌক্তিক : তথ্য উপদেষ্টা  
প্রেস সচিবের পর শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেন উপদেষ্টা আসিফ  
বছরের প্রথম মাসেই এলো সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স    
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি শুরুর দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
বিখ্যাত লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভিন আইসিইউতে
খাল খননের উদ্বোধনে লাল গালিচা! ব্যাখ্যা দিল সিটি করপোরেশন  
আবারও বাড়লো এলপি গ্যাসের দাম    
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ বাবার প্রতিনিধিত্ব করবেন জাইমা  
তিতুমীরকে নয় রাজশাহী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা উচিত : শিক্ষা উপদেষ্টা  
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও ইনকিলাব মঞ্চের
চার দাবিতে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কুবি শিক্ষার্থীদের
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন : টাঙ্গাইলে ৮টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
যে কারণে বিসিবি নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন হান্নান সরকার
নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের কোনো আস্থা ছিল না:নির্বাচন কমিশনার