রাসেলই ভার্জিনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ২০১৪ সালে সংগঠিত এক অপ্রীতিকর ঘটনায় ভার্জিনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে জি আই রাসেলকে এক বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছর পার হওয়ার পরও তার সাময়িক অব্যাহতি প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ কোনো বিবৃতি দেয়নি।
দীর্ঘ প্রায় আট বছর প্রতীক্ষার পর জি আই রাসেল বিষয়টি আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নজরে আনলে বিষয়টি বিবেচনায় নেয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। অবশেষে ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জি আই রাসেলকে পুনরায় ভার্জিনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পুর্ণবহাল করে। যা ১৭ এপ্রিল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। দলের প্রতি নিষ্ঠা দলের নিয়ম কানুন মেনে চলায় জি আই রাসেলকে তার স্বপদে পুর্ণবহাল করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনে জি আই রাসেল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। জন্ম থেকেই তিনি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ঢাকা মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্রলীগের তিনি অন্যতম নেতা ছিলেন এবং ওয়াশিংটনে আসার পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করেন।
এ ছাড়াও জি আই রাসেল ওয়াশিংটনে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জড়িত রয়েছেন। তিনি আমেরিকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি। ২০২১ সালে তিনি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ৩৫তম ফোবানা সম্মেলনে কনভেনারের দায়িত্ব পালন করেন যা ফোবানার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ ছাড়াও তিনি ২০১১ সালে কনভেনার এবং ২০০৯ সালে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। করোনাকালীন তিনি ও তার সংগঠন এবিএফএস বৃহত্তর ওয়াশিংটনে ৩/৪ শ পরিবারকে মাসব্যাপী খাদ্য ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেন।
আরএ/