ব্রাজিলের বাংলাদেশ দূতাবাসে উদযাপিত হলো ঈদ পুনর্মিলনী ও বৈশাখী উৎসব
যথাযোগ্য মর্যাদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ব্রাজিলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং ব্রাজিলীয় অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ব্রাসিলিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে উদযাপিত হলো পবিত্র ঈদুল ফিতর পুনর্মিলনী এবং বৈশাখী উৎসব।
বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার (৮ মে) এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ণিল ব্যানার ও রঙ্গীন ফেস্টুনে সুসজ্জিত দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের দিন কূটনীতিক, ব্রাজিলীয় মুসলিম এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
দূতাবাস পরিবার এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর মতবিনিময়পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই আনন্দঘন আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতে সবার মাঝে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দেন এবং প্রবাসী সকলের যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাস সর্বদা পাশে থাকবে–এ মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
ব্রাজিলে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সততা ও নিষ্ঠার প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত মানবপাচারসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে তাদের দূরে থাকার আহবান জানান। তিনি মাদকদ্রব্যের ভয়াবহতা তুলে ধরে সকল পিতা-মাতাকে অনুরোধ করেন এ সম্পর্কে তাদের সন্তানদের সচেতন করে গড়ে তুলতে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশু-কিশোরদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সম্বন্ধে জানতে ও শিখতে উৎসাহ দেন এবং বিদেশী ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা চর্চা অব্যহত রাখতে অভিভাবকদের অনুরোধ করেন।
২৫ বৈশাখ এবং ১১ জ্যৈষ্ঠ যথাক্রমে রবীন্দ্র ও নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দূতাবাস পরিবার কবিগুরুর গান এবং বিদ্রোহীকবির গান পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে অভ্যাগতদের সম্মানে ঈদ এবং নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী পিঠা মিষ্টান্নসহ মুখরোচক বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয়।
আরইউ/এসএ/