ঢাকায় কর্মসূচি সরকারের ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত: ববি হাজ্জাজ
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস বা ১০ ডিসেম্বরে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্টতই ভীত। কারণ, তারা আজ জনবিচ্ছিন্ন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে জাতীয় পার্টির মত গৃহপালিত বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়ে এক যুগের বেশি সময় ধরে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে দেশ পরিচালনার ফলে জনগণ আজ আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক লুট, অর্থপাচার, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সংকটসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে জনগণ আজ ক্ষুব্ধ।’
এ কারণেই সরকার গণবিষ্ফোরণের আশঙ্কা করছে। ফলশ্রুতিতে, বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর যেকোনো বড় জমায়েত বিশেষ করে ঢাকায় যেকোনো কর্মসূচি মানেই সরকারের কাছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, যোগ করেন তিনি।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৃহষ্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) এক ভিডিও ব্রিফিং এ ববি হাজ্জাজ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত জোটের ডাকা অবরোধের সময় ঘটা চলন্ত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, ভাঙচুরের ঘটনা আমাদের মনে আছে। আমরা চাই না সেই অন্ধকার রাজনীতিতে দেশ আবার ফিরে যাক। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে চূড়ান্ত কলঙ্কজনক অধ্যায়। রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে এবং পরস্পরের মধ্যে রেষারেষি বন্ধ না হলে আমরা আমাদের তিক্ত অতীতকে মুছতে পারব না। এমতাবস্থায় আমাদের প্রস্তাব হলো আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন করা। তবে এর আগে প্রয়োজন সরকারের সহনশীন আচরণ।
ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘গণগ্রেপ্তার এবং গুলিবর্ষণ করে সরকার পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে তুলেছে। এসব পরিত্যাগ করে এবং আটককৃত বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে দলটির সমাবেশের জন্য গ্রহণযোগ্য স্থানের প্রস্তাব দিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
একইসঙ্গে বিএনপির প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, সরকারের অগণতান্ত্রিক এবং স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিবাদে আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে দলীয় এমপিদের সংসদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিতে। রাজনৈতিক ভুলগুলো শুধরে নিয়ে বিএনপিকে ভবিষ্যত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের ভাবনাও এই সমাবেশ থেকে তুলে ধরতে হবে।’
বিফ্রিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনডিএম এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ুন পারভেজ খান, যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি এবং আইন বিষয়ক যুগ্ম বিভাগীয় সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম।
এনএইচবি/এমএমএ/