নয়া পল্টনে পুলিশি হামলার নিন্দা ২০ দলের
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনা উস্কানিতে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
তারা বলেন, ১০ তারিখে বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি অতি সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয় ছিল। সেখানে অতর্কিত পুলিশি অভিযান, লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি চালানোর মতো বর্বোরোচিত আক্রমণ দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে হতবাক করে দিয়েছে।
এ ঘটনায় একজন নিহত, অসংখ্য আহত ও চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে গ্রেপ্তার করা একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশের নিয়ম-বিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এই নেতারা এই ঘটনাকে সমাবেশ বানচাল করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের একটি অংশ উল্লেখ করে বলেন, যে সরকার বিরোধী দলের একটি সাধারণ সমাবেশ অনুষ্ঠান মেনে নিতে পারে না, সেই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কীভাবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব সেটাই বিবেচ্য বিষয়। সরকারের অসহিষ্ণু মনোভাব ও আক্রমণাত্মক আচরণই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে।
তারা অবিলম্বে বিএনপির সব নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং ১০ তারিখে নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত সরকারকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিবৃতি দাতারা হলেন, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
এসএন