‘ডা. মিলনের স্বপ্নের গণতন্ত্র এখনো অধরা’
শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের আত্মত্যাগের চেতনায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার তথা সংবিধান অনুযায়ী চলাফেরা, মত প্রকাশসহ অন্যান্য অধিকার আদায়ের দাবিতে সম্মিলিত আন্দোলনের ফসল হিসেবে ’৯০-এর স্বৈরাচারের পতন হয়েছিল।
কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য শহীদ মিলনের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক, শোষণ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ডা. মিলনের স্বপ্নের গণতন্ত্র এখনো অধরা।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) ২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ কথা বলেন তারা।
তারা বলেন, সারাদেশ আজ লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটা শেষ হয়নি এখনো।
তারপরও ভোজ্যতেল-চিনি-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন করে লুটপাটের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। চারদিকে দুর্নীতিবাজদের কালো থাবার কারণে সরকারের উন্নয়ন জনগনের মন স্পর্শ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকারে চাইতে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা সিন্ডিকেট অনেক বেশী শক্তিশালী, যোগ করেন তারা।
তারা বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলন আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক জনতার হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছেন। সেখান থেকে তাকে মুছে ফেলার সাধ্য কারও নেই। দেশ-জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে ডা. মিলনের আত্মত্যাগের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেমিক জনতার মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য বারবার আমাদের টগবগে তরুণ সন্তানেরা জীবন বাজি রেখে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।
আমাদের সন্তানদের রক্তস্রোতে অর্জিত জাতীয় অর্জনগুলো আজও ভূলুণ্ঠিত। বারবার আশাহত সাধারণ মানুষ আজ রাজনীতির প্রতি, রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তরুণেরা আজ অসুস্থ ও সুবিধাবাদী রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. মিলনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের অধিকার। আজ সেই অধিকারও প্রশ্নবিদ্ধ। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে গণতন্ত্রকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
এমএইচ/এমএমএ/