'উন্নয়ন বলে দেশকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে'
গণফোরম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, ‘দেশ আইনের ভিত্তিতে পরিচালিত না হয়ে পরিচালিত হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের সুবিধা মতো, যা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকেও হার মানায়। বিরোধী মতের সভা সমাবেশে বাধা, হামলা, গণপরিবহন বন্ধ ও নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রতো নয়ই বরঞ্চ ফ্যাসিবাদের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করছে।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতা স্থায়ী করতে দেশের জনগণের লুটপাট করা অর্থ রক্ষা করতে এরা পাগল হয়ে গেছে। প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে গণতন্ত্রকামী জনতার উপর আক্রমণ করে আবার তাদের উপরেই দোষ চাপিয়ে মামলা দেওয়া হচ্ছে। উন্নয়ন উন্নয়ন বলতে বলতে দেশকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ সরকার।’
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মোস্তফা মোহসীন বলেন, ‘দুঃশাসনের যাঁতাকলে জনগণ পিষ্ট হয়ে জনজীবন বিধ্বস্ত। কি আশ্চর্য জ্বালানী উপদেষ্টার বক্তব্য! বিদ্যুৎ নাই, তা কেনার অর্থ ও নাই! তাহলে বিদ্যুতের জন্য খরচ দেখানো হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা কোথায় গেল? রিজার্ভ তো স্বয়ংসম্পূর্ণ হঠাৎ টাকা কোথায় উধাও হয়ে গেল? কোন কিছুর সমাধান এই দখলদার আওয়ামী লীগ সরকার দিতে পারবে না। দেশের বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার।
সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, ‘কি করছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার? যখন যাকে খুশি চাকুরিচ্যুত করছে, জোর করে অবসরে পাঠাচ্ছে, ওএসডি করে রাখছে। কেন এসব করছে? যাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে তাদের কথামতো অবৈধ কর্মকাণ্ড না করলে চাকরি থাকবে না। এটা স্পষ্ট অপরাধ। বিদ্যুৎ সংকট, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, নিয়ন্ত্রনহীন জ্বালানী তেল ও মুদ্রাস্ফীতি সবকিছুর জন্য এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের ছত্রছায়ায় অসহনীয় লুটতরাজ দায়ী। জন জোয়ারে রাতের ভোটে ক্ষমতা দখল করা ভোট চোর সরকারের পতনের ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে।’
বক্তব্যে রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ নাসির হোসেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া, যুব সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ছাত্র সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক জনাব এম এ মার্শাল কাদের, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বাবুল, কামাল উদ্দিন সুমন, রবিউল ইসলাম রবি, শেখ শহিদুল ইসলাম, রিয়াদ হোসেন, নকিব আহমেদ প্রমুখ।
এমএইচ/এএস