‘ইমামকে অপমান করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন ইউএনও’
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রূপা বিশ্বাসকে সালাম না দেওয়ায় তিনি একজন ইমামকে যে অপমান অপদস্ত করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এর প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, ইমাম মানে নেতা। ইমামগণ নামাজের যেমন নেতা সমাজেরও নেতা। আর সমাজের নেতা হলো সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি। সমাজের মানুষ যেমন তাদেরকে সম্মান করেন, শ্রদ্ধা জানান, সমিহ করেন তেমনি রাষ্ট্র এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরাও তাদেরকে সম্মান করবেন, এটাই স্বাভাবিক।
নেতারা বলেন, শুধু একজন ইউএনও কেন দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ইমামদের আগে সালাম দেন? কারণ সালাম প্রজাতন্ত্রের কোনো 'কোড অব বিজনেস' নয়, বরং সালাম ইসলাম ধর্মের একটি ধর্মীয় বিধান। রাসুল সা. মুসলমানদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্য মুসলমানকে বেশি বেশি সালাম দিতে। আর ইমাম ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় এবং সামজিক নেতা। তাই সমাজের প্রতিটি শ্রেণিপেশার মানুষের উচিত ইমামদের আগে সালাম দেওয়া। সালাম যেহেতু একটি ধর্মীয় বিধান সেহেতু সালামের কিছু ধর্মীয় নির্দেশনাও আছে।
তারা বলেন, একজন মুসলমান একজন অমুসলিমকে মুসলমানের মতো সালাম দিতে পারে না। পুরুষদের জন্যও মহিলাদের সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ইমাম একজন যোগ্য আলেম হিসেবে ইসলামে সালামের বিধান ভালোভাবেই জানেন। এ জন্য তিনি ইউএনও রূপা বিশ্বাসকে সালাম না দিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিতে অত্যন্ত সঠিক কাজ করেছেন।
তারা আরও বলেন, এর প্রেক্ষিতে কলারোয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলামবিদ্বেষী বেয়াদব রূপা বিশ্বাস ওই ইমামকে যে অপমান অপদস্ত করেছেন, তা চরম শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তিনি দেশের সব ধর্মীয় নেতা এবং ইমামকেই অপমান করেছেন। তিনি দেশের বৃহত্তর ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। এ ধরনের অপরাধের জন্য আমরা ইউএনও রূপা বিশ্বাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এসজি