সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ড. কামালের গণফোরামের ভ‌বিষ্যত কী

রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের ৩০ বছর পার না হতেই ভাঙন ধরেছে গণফোরামে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে বিভক্তি প্রতিষ্ঠা পায় দলটিতে।

আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ১৯৯২ সালে নতুন দল গণফোরাম গঠন করেন সংবিধান প্রণেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভার সদস্য ড. কামাল হোসেন।

গণফোরাম গঠনের পর বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক জোট করে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক জোট করেন তিনি। ড. কামাল হোসেন নিজেই ছিলেন এ জোটের নেতৃত্বে।

বাইরে ঐক্যের ডাক দিলেও নিজ দলের ভেতর ঐক্য টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন ড. কামাল হোসেন। এই ব্যর্থতায় গণফোরামের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠন করা এই গণফোরামের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও টিকে থাকার সম্ভবনা নিয়ে কথা হয় দুইজন বিশ্লেষকের সঙ্গে। বিশ্লেষকদের মতে, টিম টিম করে জ্বলতে থাকা দলটির সম্ভবনা আরও কমে গেল।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘তাদের বিভক্তি হয়েছে কি-না সেটা নিয়ে তো প্রশ্ন রয়েছে। পত্রিকায় দেখেছি নতুন কমিটি হয়েছে। এটাই বিভক্তি কি-না তাও তো বলতে পারছি না। আর রাজনীতির মাঠে গণফোরামের এমনিতেই তেমন কোনো অবস্থান ছিল না। ভাগ হলেই কী আর না হলেই কী? কাজেই গণফোরামের ভাগ হওয়া না হওয়া নিয়ে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না রাজনৈতিক অঙ্গনে। মূলত তাদের নেতৃত্বে দ্বন্দ্বের কারণেই হয়তো আলাদা হয়েছে। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, বাইরের কারো প্ররোচনায় এমনটি হলো কি-না সেটাও ভেবে দেখতে হবে।’

উল্লেখ্য, ড. কামাল হোসেন নিজে ঐক্যের ডাক দেন অথচ নিজের ঘরের ঐক্য ধরে রাখতে পারেন না বলে সমালোচনা রয়েছে। তার দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া দল থেকে বেরিয়ে গণ অধিকার পরিষদ নামে নতুন দলের আহ্বায়ক হয়েছেন। এবার মোস্তফা মোহসীন মন্টু সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গণফোরামের বিভক্তি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তো মোটাদাগে উদার গণতান্ত্রিক মতাদর্শ, যেটাকে বলে মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষতা এগুলোকে যারা ধারণ করে এরকম দলের সংখ্যা কিন্তু কম। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মকে হাইলাইট করা দলের সংখ্যা বেশি। গণফোরাম মধ্যপন্থী একটি দল। তাদের গঠনতন্ত্র পড়ার সুযোগ আমার হয়েছে। উদার গণতান্ত্রিক দল বলতে যা বুঝায়, অন্তত কাগজপত্রে সেটা আছে। এ ধরনের দল বিকশিত হতে পারাটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভালো। কারণ বাংলাদেশে এমন অনেকে আছে–যারা গণতান্ত্রিক মূল্যেবোধে বিশ্বাস করে না; কিন্তু জনপ্রিয়। তারা গণহত্যায় বিশ্বাস করে, তারা উগ্রবাদে বিশ্বাস করে, তারা সংখ্যালঘুদের বিতারণ বা নির্যাতনে বিশ্বাস করে, যা তাদের কর্মকাণ্ডে দেখা যায়; কিন্তু তারা অনেক জায়গায় ভোটে জেতে। গণফোরাম এ থেকে আলাদা একটা দল। উদার গণতান্ত্রিক দলের যে বৈশিষ্ট্য কাগজেপত্রে তা আছে বা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে যেটা দেখেছি, নেতৃত্বের সংকট বা নেতৃত্বের কোন্দল। এটা কোনোভাবেই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকল না। দেখা গেল আর একত্রিত করা গেল না। একত্রিত করা গেলে অন্তত ভালো হতো। এটা ডানপন্থী না, ধর্মপন্থীও না, গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রে যা থাকে, তাদের মধ্যে সেটা আছে। সেদিক থেকে ভেঙে যাওয়াটা তো ভালো খবর নয়। ড. কামাল হোসেন সাহেব কেন ধরে রাখতে পারলেন না, সেটা তারাই বলতে পারবেন। বাইরে থেকে যেটা মনে হচ্ছে, অতি উচ্চ মহাশিক্ষিত বনাম সাধারণ পলিটিশিয়ান–এরকম একটা বিভেদ মনে হয় তৈরি হয়ে গেছে কি-না? এলিট, নন-এলিট ব্যাপার আছে কি-না? যা-ই হোক, আসলে টিম টিম করে জ্বলতে থাকা উদার গণতান্ত্রিক দলগুলো তাদের টিকে থাকা আরও এক দফা দুর্বল হয়ে গেল।’

শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই এ পরিস্থিতি হয়েছে। ড. কামাল হোসেনকে মাথায় রেখেই বলছি, এই যে তার অনুসারী যারা, কেন এক জায়গায় একত্রিত করতে পারছেন না? কি সমস্যা? এক দল বলছে, উড়ে এসে জুড়ে বসছে। আরেক দল হয়তো বলছে, আমি তো অনেক জানি-বুঝি, এরকমই চলছে দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের মেরুকরণের চেয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, কে কোথায় নিজেকে ফিট করাবেন দলের মধ্যে, সেই জায়গাতে বেশি মনোযোগী।

বিভক্তি হওয়ার পর গণফোরামের ভবিষ্যৎ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির বর্তমান এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ভবিষৎ তো আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। তারা (মন্টু-সুব্রত) চলে যাওয়াতে দলের কোনো ক্ষতি হয়নি।’ গণফোরাম কি দুই ভাগ হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমি তা মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের তো রেজিস্ট্রেশন নাই। হয়তো তারা নতুন করে রেজিস্ট্রেশন নেবেন। তবে গণফোরাম নামে রেজিস্ট্রেশন দেবে বলে আমার মনে হয় না; অন্তত আইনে তা-ই বলে।’ নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে গণফোরামের ভাঙন হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা মনে করি না। গত ২৮ বছর পার হয়েছে এই দলের। নেতৃত্বের দুর্বলতা পেছনে ছিল, ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে বলবে। পেছনে নেতৃত্বের দুর্বলতা ছিল বলেই তো দলটার অগ্রগতি হয়নি। ড. কামাল হোসেনের মতো যোগ্যতম নেতৃত্ব থাকার পরেও তার আশপাশে যারা ছিলাম, তাদের অযোগ্যতার কারণেই হয়নি।’

ড. কামাল হোসেন তাদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তার মানে কি তিনি মেনে নিয়েছেন? আ ও ম শফিকুল্লাহ বলেন, ‘তিনি ওটার প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি তো আওয়ামী লীগ-বিএনপিকেও শুভেচ্ছা জানান। তিনি সবাইকে চান। ড. কামাল হোসেন বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হন। ঐক্য হলেই সৃষ্টি হয়। ঐক্য না থাকলে সৃষ্টি চলে যায়, এইটা তার বক্তব্য। এটা তিনি বিশ্বাসও করেন। জানি না, কি থেকে শুভেচ্ছা জানালেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণফোরাম একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল। দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র অনেক কিছুই গেছে ড. কামাল হোসেনের উপর দিয়ে। তাকে অনেকেই ব্যবহার করেছেন। আওয়ামী লীগও ব্যবহার করেছে তাদের প্রয়োজনে, বিএনপিও ব্যবহার করেছে। আমি আশা করব, আমরা আর ব্যবহৃত হব না।’

দলটির নির্বাহী সদস্য মোশতাক আহমাদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পার্টির অধিকাংশ লোক আমাদের দিকে। যদিও তারা অনেক লোকের জমায়েত করেছে। আমি দপ্তরে থাকার কারণে সবাইকে চিনতাম। কারা গেছে সবাইকে চিনি। নির্বাচন কমিশনে গণফোরামের যে রেজিস্ট্রেশন আছে, সেখানে আমাদের নতুন অফিসের ঠিকানা এবং কমিটির তালিকা আছে। নিবন্ধন তো আমাদের সাথে, আমরা টিকে থাকব না এটা ঠিক না। আমরা কাউন্সিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তারা যখন দেখল জেলাগুলোতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি, তখন তারা হুলুস্থুল করে কমিটি করল।’

তিনি আরও জানান, গণফোরামের ৫০-৫৫টি জেলায় যোগাযোগ আছে। বলেন, ‘কাউন্সিলের আগে ২৫টি জেলায় সম্মেলন করার তালিকা করেছিলাম। এর মধ্যে দুটি জেলায় হয়ে গেছে। ময়মনসিংহ আর নেত্রকোনায় কাউন্সিল হয়েছে। জানুয়ারিতে আমরা জাতীয় কাউন্সিলল করব। আমরা লোক দেখানো কাউন্সিল করব না। একটা দলের যে আঙ্গিকে কাউন্সিল হয়, সেভাবেই করব।’

এসএম/এসএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ