সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ড. কামালের গণফোরামের ভ‌বিষ্যত কী

রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের ৩০ বছর পার না হতেই ভাঙন ধরেছে গণফোরামে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে বিভক্তি প্রতিষ্ঠা পায় দলটিতে।

আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ১৯৯২ সালে নতুন দল গণফোরাম গঠন করেন সংবিধান প্রণেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভার সদস্য ড. কামাল হোসেন।

গণফোরাম গঠনের পর বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক জোট করে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক জোট করেন তিনি। ড. কামাল হোসেন নিজেই ছিলেন এ জোটের নেতৃত্বে।

বাইরে ঐক্যের ডাক দিলেও নিজ দলের ভেতর ঐক্য টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন ড. কামাল হোসেন। এই ব্যর্থতায় গণফোরামের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠন করা এই গণফোরামের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও টিকে থাকার সম্ভবনা নিয়ে কথা হয় দুইজন বিশ্লেষকের সঙ্গে। বিশ্লেষকদের মতে, টিম টিম করে জ্বলতে থাকা দলটির সম্ভবনা আরও কমে গেল।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘তাদের বিভক্তি হয়েছে কি-না সেটা নিয়ে তো প্রশ্ন রয়েছে। পত্রিকায় দেখেছি নতুন কমিটি হয়েছে। এটাই বিভক্তি কি-না তাও তো বলতে পারছি না। আর রাজনীতির মাঠে গণফোরামের এমনিতেই তেমন কোনো অবস্থান ছিল না। ভাগ হলেই কী আর না হলেই কী? কাজেই গণফোরামের ভাগ হওয়া না হওয়া নিয়ে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না রাজনৈতিক অঙ্গনে। মূলত তাদের নেতৃত্বে দ্বন্দ্বের কারণেই হয়তো আলাদা হয়েছে। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, বাইরের কারো প্ররোচনায় এমনটি হলো কি-না সেটাও ভেবে দেখতে হবে।’

উল্লেখ্য, ড. কামাল হোসেন নিজে ঐক্যের ডাক দেন অথচ নিজের ঘরের ঐক্য ধরে রাখতে পারেন না বলে সমালোচনা রয়েছে। তার দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া দল থেকে বেরিয়ে গণ অধিকার পরিষদ নামে নতুন দলের আহ্বায়ক হয়েছেন। এবার মোস্তফা মোহসীন মন্টু সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গণফোরামের বিভক্তি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তো মোটাদাগে উদার গণতান্ত্রিক মতাদর্শ, যেটাকে বলে মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষতা এগুলোকে যারা ধারণ করে এরকম দলের সংখ্যা কিন্তু কম। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মকে হাইলাইট করা দলের সংখ্যা বেশি। গণফোরাম মধ্যপন্থী একটি দল। তাদের গঠনতন্ত্র পড়ার সুযোগ আমার হয়েছে। উদার গণতান্ত্রিক দল বলতে যা বুঝায়, অন্তত কাগজপত্রে সেটা আছে। এ ধরনের দল বিকশিত হতে পারাটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভালো। কারণ বাংলাদেশে এমন অনেকে আছে–যারা গণতান্ত্রিক মূল্যেবোধে বিশ্বাস করে না; কিন্তু জনপ্রিয়। তারা গণহত্যায় বিশ্বাস করে, তারা উগ্রবাদে বিশ্বাস করে, তারা সংখ্যালঘুদের বিতারণ বা নির্যাতনে বিশ্বাস করে, যা তাদের কর্মকাণ্ডে দেখা যায়; কিন্তু তারা অনেক জায়গায় ভোটে জেতে। গণফোরাম এ থেকে আলাদা একটা দল। উদার গণতান্ত্রিক দলের যে বৈশিষ্ট্য কাগজেপত্রে তা আছে বা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে যেটা দেখেছি, নেতৃত্বের সংকট বা নেতৃত্বের কোন্দল। এটা কোনোভাবেই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকল না। দেখা গেল আর একত্রিত করা গেল না। একত্রিত করা গেলে অন্তত ভালো হতো। এটা ডানপন্থী না, ধর্মপন্থীও না, গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রে যা থাকে, তাদের মধ্যে সেটা আছে। সেদিক থেকে ভেঙে যাওয়াটা তো ভালো খবর নয়। ড. কামাল হোসেন সাহেব কেন ধরে রাখতে পারলেন না, সেটা তারাই বলতে পারবেন। বাইরে থেকে যেটা মনে হচ্ছে, অতি উচ্চ মহাশিক্ষিত বনাম সাধারণ পলিটিশিয়ান–এরকম একটা বিভেদ মনে হয় তৈরি হয়ে গেছে কি-না? এলিট, নন-এলিট ব্যাপার আছে কি-না? যা-ই হোক, আসলে টিম টিম করে জ্বলতে থাকা উদার গণতান্ত্রিক দলগুলো তাদের টিকে থাকা আরও এক দফা দুর্বল হয়ে গেল।’

শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই এ পরিস্থিতি হয়েছে। ড. কামাল হোসেনকে মাথায় রেখেই বলছি, এই যে তার অনুসারী যারা, কেন এক জায়গায় একত্রিত করতে পারছেন না? কি সমস্যা? এক দল বলছে, উড়ে এসে জুড়ে বসছে। আরেক দল হয়তো বলছে, আমি তো অনেক জানি-বুঝি, এরকমই চলছে দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের মেরুকরণের চেয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, কে কোথায় নিজেকে ফিট করাবেন দলের মধ্যে, সেই জায়গাতে বেশি মনোযোগী।

বিভক্তি হওয়ার পর গণফোরামের ভবিষ্যৎ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির বর্তমান এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ভবিষৎ তো আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। তারা (মন্টু-সুব্রত) চলে যাওয়াতে দলের কোনো ক্ষতি হয়নি।’ গণফোরাম কি দুই ভাগ হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমি তা মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের তো রেজিস্ট্রেশন নাই। হয়তো তারা নতুন করে রেজিস্ট্রেশন নেবেন। তবে গণফোরাম নামে রেজিস্ট্রেশন দেবে বলে আমার মনে হয় না; অন্তত আইনে তা-ই বলে।’ নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে গণফোরামের ভাঙন হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা মনে করি না। গত ২৮ বছর পার হয়েছে এই দলের। নেতৃত্বের দুর্বলতা পেছনে ছিল, ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে বলবে। পেছনে নেতৃত্বের দুর্বলতা ছিল বলেই তো দলটার অগ্রগতি হয়নি। ড. কামাল হোসেনের মতো যোগ্যতম নেতৃত্ব থাকার পরেও তার আশপাশে যারা ছিলাম, তাদের অযোগ্যতার কারণেই হয়নি।’

ড. কামাল হোসেন তাদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তার মানে কি তিনি মেনে নিয়েছেন? আ ও ম শফিকুল্লাহ বলেন, ‘তিনি ওটার প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি তো আওয়ামী লীগ-বিএনপিকেও শুভেচ্ছা জানান। তিনি সবাইকে চান। ড. কামাল হোসেন বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হন। ঐক্য হলেই সৃষ্টি হয়। ঐক্য না থাকলে সৃষ্টি চলে যায়, এইটা তার বক্তব্য। এটা তিনি বিশ্বাসও করেন। জানি না, কি থেকে শুভেচ্ছা জানালেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণফোরাম একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল। দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র অনেক কিছুই গেছে ড. কামাল হোসেনের উপর দিয়ে। তাকে অনেকেই ব্যবহার করেছেন। আওয়ামী লীগও ব্যবহার করেছে তাদের প্রয়োজনে, বিএনপিও ব্যবহার করেছে। আমি আশা করব, আমরা আর ব্যবহৃত হব না।’

দলটির নির্বাহী সদস্য মোশতাক আহমাদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পার্টির অধিকাংশ লোক আমাদের দিকে। যদিও তারা অনেক লোকের জমায়েত করেছে। আমি দপ্তরে থাকার কারণে সবাইকে চিনতাম। কারা গেছে সবাইকে চিনি। নির্বাচন কমিশনে গণফোরামের যে রেজিস্ট্রেশন আছে, সেখানে আমাদের নতুন অফিসের ঠিকানা এবং কমিটির তালিকা আছে। নিবন্ধন তো আমাদের সাথে, আমরা টিকে থাকব না এটা ঠিক না। আমরা কাউন্সিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তারা যখন দেখল জেলাগুলোতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি, তখন তারা হুলুস্থুল করে কমিটি করল।’

তিনি আরও জানান, গণফোরামের ৫০-৫৫টি জেলায় যোগাযোগ আছে। বলেন, ‘কাউন্সিলের আগে ২৫টি জেলায় সম্মেলন করার তালিকা করেছিলাম। এর মধ্যে দুটি জেলায় হয়ে গেছে। ময়মনসিংহ আর নেত্রকোনায় কাউন্সিল হয়েছে। জানুয়ারিতে আমরা জাতীয় কাউন্সিলল করব। আমরা লোক দেখানো কাউন্সিল করব না। একটা দলের যে আঙ্গিকে কাউন্সিল হয়, সেভাবেই করব।’

এসএম/এসএ/

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২

দুর্ঘটনা কবলিত ইজিবাইক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়েম ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরামপুর পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া গ্রামের মজিবরের ছেলে ইজিবাইক চালক নুরুজ্জামান হোসেন (৩৫) এবং একই উপজেলার সোনাকানি গ্রামের আনোয়ারের ছেলে ইফতেখার রহমান সায়েম ইসলাম (১৬) ও বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিরামপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজেদ আলী জানায়, বিকেলে কোচিং শেষে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী সায়েম নিহত হন এবং আহত অবস্থায় ইজিবাইকের চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের দাবি করেছেন। তবে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ মি‌লিয়ন নি‌য়ে ট্রাম্পের এ অ‌ভিযোগ সত্য নয় বলে দা‌বি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১১৭ ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বদলি করা কর্মকর্তাদের ১৯ মার্চের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে পরদিন থেকে তাদের তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য করা হবে।

সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এর আগেও কয়েক দফায় বড় রদবদল হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২০ নভেম্বর আগের পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলামকে সরিয়ে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাহারুল আলমকে।

নতুন আইজিপি দায়িত্বে আসার পর বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় আরেকটি আদেশ এলো।

এসব কর্মকর্তাকে ডিএমপি, এসবি, সিআইডি, র‌্যাব, জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, পিবিআই, এপিবিএন ও ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

বদলি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা ১ ও তালিকা ২ দেখতে ক্লিক করুন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১
দল না পাওয়া সেই আজিঙ্কা রাহানে কেকেআরের নতুন অধিনায়ক
ওএসডি হলেন দেশের ২৯ সিভিল সার্জন
উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকী ঠিক আছেন: প্রিন্স মাহমুদ
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম