শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ড. কামালের গণফোরামের ভ‌বিষ্যত কী

রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের ৩০ বছর পার না হতেই ভাঙন ধরেছে গণফোরামে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে বিভক্তি প্রতিষ্ঠা পায় দলটিতে।

আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ১৯৯২ সালে নতুন দল গণফোরাম গঠন করেন সংবিধান প্রণেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভার সদস্য ড. কামাল হোসেন।

গণফোরাম গঠনের পর বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক জোট করে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক জোট করেন তিনি। ড. কামাল হোসেন নিজেই ছিলেন এ জোটের নেতৃত্বে।

বাইরে ঐক্যের ডাক দিলেও নিজ দলের ভেতর ঐক্য টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন ড. কামাল হোসেন। এই ব্যর্থতায় গণফোরামের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠন করা এই গণফোরামের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও টিকে থাকার সম্ভবনা নিয়ে কথা হয় দুইজন বিশ্লেষকের সঙ্গে। বিশ্লেষকদের মতে, টিম টিম করে জ্বলতে থাকা দলটির সম্ভবনা আরও কমে গেল।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘তাদের বিভক্তি হয়েছে কি-না সেটা নিয়ে তো প্রশ্ন রয়েছে। পত্রিকায় দেখেছি নতুন কমিটি হয়েছে। এটাই বিভক্তি কি-না তাও তো বলতে পারছি না। আর রাজনীতির মাঠে গণফোরামের এমনিতেই তেমন কোনো অবস্থান ছিল না। ভাগ হলেই কী আর না হলেই কী? কাজেই গণফোরামের ভাগ হওয়া না হওয়া নিয়ে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না রাজনৈতিক অঙ্গনে। মূলত তাদের নেতৃত্বে দ্বন্দ্বের কারণেই হয়তো আলাদা হয়েছে। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, বাইরের কারো প্ররোচনায় এমনটি হলো কি-না সেটাও ভেবে দেখতে হবে।’

উল্লেখ্য, ড. কামাল হোসেন নিজে ঐক্যের ডাক দেন অথচ নিজের ঘরের ঐক্য ধরে রাখতে পারেন না বলে সমালোচনা রয়েছে। তার দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া দল থেকে বেরিয়ে গণ অধিকার পরিষদ নামে নতুন দলের আহ্বায়ক হয়েছেন। এবার মোস্তফা মোহসীন মন্টু সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গণফোরামের বিভক্তি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তো মোটাদাগে উদার গণতান্ত্রিক মতাদর্শ, যেটাকে বলে মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষতা এগুলোকে যারা ধারণ করে এরকম দলের সংখ্যা কিন্তু কম। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মকে হাইলাইট করা দলের সংখ্যা বেশি। গণফোরাম মধ্যপন্থী একটি দল। তাদের গঠনতন্ত্র পড়ার সুযোগ আমার হয়েছে। উদার গণতান্ত্রিক দল বলতে যা বুঝায়, অন্তত কাগজপত্রে সেটা আছে। এ ধরনের দল বিকশিত হতে পারাটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভালো। কারণ বাংলাদেশে এমন অনেকে আছে–যারা গণতান্ত্রিক মূল্যেবোধে বিশ্বাস করে না; কিন্তু জনপ্রিয়। তারা গণহত্যায় বিশ্বাস করে, তারা উগ্রবাদে বিশ্বাস করে, তারা সংখ্যালঘুদের বিতারণ বা নির্যাতনে বিশ্বাস করে, যা তাদের কর্মকাণ্ডে দেখা যায়; কিন্তু তারা অনেক জায়গায় ভোটে জেতে। গণফোরাম এ থেকে আলাদা একটা দল। উদার গণতান্ত্রিক দলের যে বৈশিষ্ট্য কাগজেপত্রে তা আছে বা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে যেটা দেখেছি, নেতৃত্বের সংকট বা নেতৃত্বের কোন্দল। এটা কোনোভাবেই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকল না। দেখা গেল আর একত্রিত করা গেল না। একত্রিত করা গেলে অন্তত ভালো হতো। এটা ডানপন্থী না, ধর্মপন্থীও না, গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রে যা থাকে, তাদের মধ্যে সেটা আছে। সেদিক থেকে ভেঙে যাওয়াটা তো ভালো খবর নয়। ড. কামাল হোসেন সাহেব কেন ধরে রাখতে পারলেন না, সেটা তারাই বলতে পারবেন। বাইরে থেকে যেটা মনে হচ্ছে, অতি উচ্চ মহাশিক্ষিত বনাম সাধারণ পলিটিশিয়ান–এরকম একটা বিভেদ মনে হয় তৈরি হয়ে গেছে কি-না? এলিট, নন-এলিট ব্যাপার আছে কি-না? যা-ই হোক, আসলে টিম টিম করে জ্বলতে থাকা উদার গণতান্ত্রিক দলগুলো তাদের টিকে থাকা আরও এক দফা দুর্বল হয়ে গেল।’

শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই এ পরিস্থিতি হয়েছে। ড. কামাল হোসেনকে মাথায় রেখেই বলছি, এই যে তার অনুসারী যারা, কেন এক জায়গায় একত্রিত করতে পারছেন না? কি সমস্যা? এক দল বলছে, উড়ে এসে জুড়ে বসছে। আরেক দল হয়তো বলছে, আমি তো অনেক জানি-বুঝি, এরকমই চলছে দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের মেরুকরণের চেয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, কে কোথায় নিজেকে ফিট করাবেন দলের মধ্যে, সেই জায়গাতে বেশি মনোযোগী।

বিভক্তি হওয়ার পর গণফোরামের ভবিষ্যৎ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির বর্তমান এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ভবিষৎ তো আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। তারা (মন্টু-সুব্রত) চলে যাওয়াতে দলের কোনো ক্ষতি হয়নি।’ গণফোরাম কি দুই ভাগ হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমি তা মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের তো রেজিস্ট্রেশন নাই। হয়তো তারা নতুন করে রেজিস্ট্রেশন নেবেন। তবে গণফোরাম নামে রেজিস্ট্রেশন দেবে বলে আমার মনে হয় না; অন্তত আইনে তা-ই বলে।’ নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে গণফোরামের ভাঙন হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা মনে করি না। গত ২৮ বছর পার হয়েছে এই দলের। নেতৃত্বের দুর্বলতা পেছনে ছিল, ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে বলবে। পেছনে নেতৃত্বের দুর্বলতা ছিল বলেই তো দলটার অগ্রগতি হয়নি। ড. কামাল হোসেনের মতো যোগ্যতম নেতৃত্ব থাকার পরেও তার আশপাশে যারা ছিলাম, তাদের অযোগ্যতার কারণেই হয়নি।’

ড. কামাল হোসেন তাদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তার মানে কি তিনি মেনে নিয়েছেন? আ ও ম শফিকুল্লাহ বলেন, ‘তিনি ওটার প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি তো আওয়ামী লীগ-বিএনপিকেও শুভেচ্ছা জানান। তিনি সবাইকে চান। ড. কামাল হোসেন বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হন। ঐক্য হলেই সৃষ্টি হয়। ঐক্য না থাকলে সৃষ্টি চলে যায়, এইটা তার বক্তব্য। এটা তিনি বিশ্বাসও করেন। জানি না, কি থেকে শুভেচ্ছা জানালেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণফোরাম একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল। দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র অনেক কিছুই গেছে ড. কামাল হোসেনের উপর দিয়ে। তাকে অনেকেই ব্যবহার করেছেন। আওয়ামী লীগও ব্যবহার করেছে তাদের প্রয়োজনে, বিএনপিও ব্যবহার করেছে। আমি আশা করব, আমরা আর ব্যবহৃত হব না।’

দলটির নির্বাহী সদস্য মোশতাক আহমাদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পার্টির অধিকাংশ লোক আমাদের দিকে। যদিও তারা অনেক লোকের জমায়েত করেছে। আমি দপ্তরে থাকার কারণে সবাইকে চিনতাম। কারা গেছে সবাইকে চিনি। নির্বাচন কমিশনে গণফোরামের যে রেজিস্ট্রেশন আছে, সেখানে আমাদের নতুন অফিসের ঠিকানা এবং কমিটির তালিকা আছে। নিবন্ধন তো আমাদের সাথে, আমরা টিকে থাকব না এটা ঠিক না। আমরা কাউন্সিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তারা যখন দেখল জেলাগুলোতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি, তখন তারা হুলুস্থুল করে কমিটি করল।’

তিনি আরও জানান, গণফোরামের ৫০-৫৫টি জেলায় যোগাযোগ আছে। বলেন, ‘কাউন্সিলের আগে ২৫টি জেলায় সম্মেলন করার তালিকা করেছিলাম। এর মধ্যে দুটি জেলায় হয়ে গেছে। ময়মনসিংহ আর নেত্রকোনায় কাউন্সিল হয়েছে। জানুয়ারিতে আমরা জাতীয় কাউন্সিলল করব। আমরা লোক দেখানো কাউন্সিল করব না। একটা দলের যে আঙ্গিকে কাউন্সিল হয়, সেভাবেই করব।’

এসএম/এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত