জেনারেল ওসমানীকে কেউ মনে রাখেনি
বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী নীরবে চলে গেল। রাষ্ট্রীয় পর্যায় কেউ তাকে স্মরণ করেনি। অথচ বাংলাদেশের নাম যতদিন থাকবে ততদিন আতাউল গণি ওসমানীর নামটি প্রাসঙ্গিক। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তার নাম। তাকে কী জাতি ভুলে গেছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন স্মরণসভায় বক্তারা।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে আতাউল গনি ওসমানীর ৩৮তম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির আয়োজিত স্মরণসভায় এসব বক্তব্য রাখেন আলোচকরা।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, আমরা এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি। প্রশ্ন থেকে যায় মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী জেনারেল ওসমানীকে ভুলে যাওয়া কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা! ওসমানী আমাদের দেশ দিয়েছেন; কিন্তু আমরা তাকে মনের রাখার প্রয়োজন বোধ করছি না।
তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব মানুষই তার কর্ম ও বেঁচে থাকাকালে নিজের বা ভবিষ্যত বংশধর, আত্মীয় বা আপনজনদের জন্য কিছু করে রাখার চেষ্টা করেন। কিছু ব্যতিক্রমী মানুষও আছেন, যারা আজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। জেনারেল ওসমানী তাদেরই একজন।
ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন, তেমনি স্বাধীন দেশেও জাতির দুঃসময়ে কাণ্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন জেনারেল ওসমানী। দেশের বহু ক্রান্তিলগ্নে তিনি জাতিকে নির্ঘাত সংঘাত থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন; দিয়েছেন আলোর দিশা।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতার পথে মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, একটি দেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার রণাঙ্গনের অন্যতম মহারথী; অথচ সেই স্বাধীনতার পক্ষে দাবি করা দলগুলোর কাছেই তিনি বরাবর উপেক্ষিত। এড়িয়ে চলে তাকে সচেতনভাবে। কারণ তিনি ছিলেন নির্লোভ স্পষ্টভাষী।
সভাপতির বক্তব্যে সামসুল আলম বলেন, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ছিলেন বাংলার সূর্যসন্তানদের মধ্যে অন্যতম। ছিলেন ভীষন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন এক মহাপ্রাণ। রাজনৈতিক শঠতা, কপটতার ধারেকাছেও তার অবস্থান ছিল না। সততায় আর সচ্চরিত্রে এক দেবতুল্য মানুষ ছিলেন তিনি।
এমএইচ/